-
কবিতা- নিমজ্জিত মন..
নিমজ্জিত মন…
-সত্যদেব পতিবিকেলের সোনালী রৌদ্র চাদর এনে দেয় হতাশাময় রাত …
বিশ্বাসের বর্মভেদ হয় দিনান্তে সূর্যাস্তের পর,
প্রতি সন্ধ্যায় লক্ষ শঙ্খধ্বনি আর ঘন্টা কাঁসর ঝাঁজরের মঙ্গল আরতি হয় মন্দির গীর্জায়…
মসজিদে আজান আর গুরদুয়ারায় সুন্দর গুরু বন্দনা,
সবমিলে মনে অসীম প্রশান্তি।
রাতের সুনীল আকাশে কোটি নক্ষত্র সুদুর নীহারিকায়…
নিশীথ স্নিগ্ধ আলো দেয় নিজের মতো,
আমার মনের ঘরে একটা পুর্নচাঁদের ঊজ্জ্বল আলো।
তোমার ভালোবাসার আগুন হৃদয় তৃপ্ত করে,
ক্ষেত্রজ রাতের অশ্লীলতা আমাকে মাতাল করে তোমার মদিরার চোখ।
একটু উষ্ণ আলিঙ্গনের জন্য মন হয় উতলা,
মহাসাগরীয় তরঙ্গ ওঠে বুকে
আবার একটা খোলা চিঠি জমায়িত অনল অনিলের তলায়,
জোছনাময় রাতে দুর মাঠে আমার আপন ঐ বাউল বাতাস আমাকে ডুবিয়ে রাখে আপন করে।
এই রাত হবে ইতিহাস….
সুপ্ত মনের ছোট্ট হৃদয়ে জমায়িত স্বাদ জিহ্বা অনুভব করবে প্রতি মুহুর্তে নিমজ্জিত মনে শুধুই তোমাকে । -
কবিতা- তুমি অনুপমা…
তুমি অনুপমা…
-সত্যদেব পতিআজি এ প্রভাতে লুপ্ত কিরণে কোন রূপে হেরি জননী?
ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রবল বাতাস উথাল পাথাল ধরনী….
এলো বৈশাখে কালবৈশাখী
ঘর ছাড়া হলো কতশত পাখি,
তাণ্ডব চলে গাছ গাছালিতে
প্রণমে করিছে আকুতি…
তুমি বৈশাখ দুরন্ত হয়ে করো ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি।
সকালের রবি লুকায়েছে মুখ
তারে দেখিবারে সবে উৎসুক..
কালো মেঘ ধায় আকাশের গায় মুখভার করে জননী,
অবগুন্ঠনে তুমি এলোকেশী
রনহুঙ্কারে হানো অশনি।
কড় কড় করে বজ্রনিনাদ,
ঐ দুরে কোথা ঘটিল প্রমাদ..
জল থৈ থৈ ভরা মাঠ ঘাট,
বন্ধ রয়েছে সব দোকান পাট।
আমি বাতায়নে নীরব নয়নে দেখি তব আস্ফালন,
তুমি ত্রাহি মাং তুমি পারো সবই তুমিই রুদ্র পবন ।
কখনো তোমার প্রলয় নাচন কখনো ময়াল হেরি,
কখনো আবার রনহুঙ্কারে বাজাও ডঙ্কা রনভেরী…
কভু নীলাকাশে নীল নিলীমায় করেছ গদ্যময়.
কভূ করিয়াছ শ্রাবণ ধারায়
ঊচ্ছল জলাশয়।
তোমার ঊপমা তুমি হয়ে থাকো,
তোমার কাজের কিছু বুঝি নাকো …..
তুমি অনন্য তুমি শান্ত অফুরান তব ক্ষমা,
তুমিই প্রকৃতি পুরুষও তুমি
তুমিই অনুপমা। -
অণু কবিতা- স্বপ্নীল রাতে…
স্বপ্নীল রাতে…
-সত্য দেব পতিসুনীল আকাশে রুপোলী ইন্দু জোছনা ঝালর ফেলিছে,
হাজারো তারকা অম্বরে আজি
রাতের বিহগা গাহিছে-
দুরে নিপশাখে রাতজাগা পাখি
নিরখে খুদিত উদরে,
তমাল তরুতে নেমেছে রাত্রি
মরু পর্বত সাগরে…
ঘুমের সাগরে স্বপ্নের মেলা রঙিন খুশির রাশি,
সকালের উষা উজ্জ্বল হয়ে হাসিবে রোদ্র হাসি। -
চুপ কথা আজ রূপকথা!
চুপ কথা আজ রূপকথা!
-সত্য দেব পতিহঠাৎ করেই একটা দমকা হাওয়া,
বন্ধ করলো সকল আসা যাওয়া!
আমি এখন বকুল শাখের পাখি;
তোকে শুধুই দুর হতে দেখি-
জানি আমি তোর স্বপ্নে নেই
তাইতো এখন নিজের মতো রই।তোর আকাশে কতো চাঁদের মেলা-
আজ ভুলেছিস আগের পুতুল খেলা,
আমার এখন বিকেল বেলার রোদ-
তোর প্রেম তাই নিচ্ছে প্রতিশোধ;
আমার মনে আজো তোরই ছবি,
এখন তুই নামকরা এক কবি।মনে পড়ে প্রখর জৈষ্ঠ দুপুর’
আম বাগানে কাটতো সারা বেলা?
তখন আর বয়স কতো হবে,
আমার ষোলো তুই তো ছোট্ট মেলা।পাকা আমের গন্ধ নিতাম শুকে`
মিষ্টি গুলো বাড়িয়ে দিতাম তোকে;
পাড়ার যতো ছিল আপন জন-
বলতো হেসে আমরা আপনজন।কতো খুশীর বন্যা বইতো তখন!
আজকে তোর বয়স হলো যেমন-
তুই এখনো আমার কথা ভাবিস?
নাকি আময় বলিস বুড়ো রাবিশ!আমি কিন্তু আজও আছি একা,
যদি কোনোদিন হয় নিমেষে দেখা!
সংসারে আজ বড্ড আমার লোভ-
তোকে না পেয়ে তাইতো এতো ক্ষোভ;
হয়তোবা আসবি না আর ফিরে –
আমার মনের এই ভাঙা মন্দিরে।আমি কিন্তু অমল হয়েই আছি-
সকাল সাঁঝে তোরই কাছাকাছি,
তুই তো এখন নামকরা এক কবি!
রোজ কাগজের প্রথম পাতায় ছবি;
যদি পারিস আসিস একটি বার,
কাছে এসে বলিস এখনো বন্ধু তুই আমার। -
মালো পাড়ার বিটি
মালো পাড়ার বিটি
-সত্যদেব পতিমালো পাড়ার গলির ভিতর আমার বাপের ভিটা,
মা টো সেই কবেই ম’লৌ মনেও নাইকৌ সিটা!
বড়জ্যাঠা মস্ত সিয়ান বলে পাড়া লুকে-
জ্যেঠিও তাই কথা দিয়ে শাসন করে চখে।বাবা আমার মেজছিলা সাধাসিধা মন,
শুনেছি ঐ জ্যেঠির লেগে মায়ের হয়েছে মরণ!
ছুটুকাকা পড়ালেখায় দিল ক’ টা পাশ-
বাপটা তখন রিস্কা চালায় করেছে হাঁসফাঁস…
পয়সাগুলান খরচা করে দুটা ভাইয়ের ল্যাগে
রোগের ওষুধ নাই পাইলো তাই মাটো গেল ভ্যেগে।আমার তখন বয়েস কতৌ? বছর দুটেক ছিল –
মায়ের মরায় বড় জ্যেঠি বেজায় খুশি প্যাল,
ঘরে ছিল এনেক ভেড়ী দুধও দিথ গাদা
সিটোই খ্যাতম উদরপুরে চলথ না তো কাঁদা।সকাল থেকেন কাজ কম্মে বাপের সময় নাই…
দিনের পরে রাত্যের বেলি একটু দেখা পাই,
পেঁরাই গেল ললেকলে যেমনি পাঁচটা বছর..
গায়ের মাথা আসেঁ বললেক বেশ হয়েছে গতর,
কালকে থেকে যেতি হবেক ঘর কামন্যার কাজ
ভুলতে হবেক সকল কিছুই ছাড়তে হবেক লাজ।ছুটুকাকা আগৈল খুলে বৈলল্য উচৌঁ গলা,
সময় ইখন বৈদলে গ্যাছে ইখান থ্যাকান পালা-
বাবু ব্যৈলাক এত দিম্যাক কথায় কুড়্যাঁয় পাওয়া?
মালোর বিটি বাবুর ঘরে ই করবে আশা যাওয়া।কথার প্যাঁচ টা জ্যানথ ভালো ই আমার ছুটুকাকা,
সেদিন বাবু ঘুরেই গ্যাল প্যালো আগুন ছ্যাঁকা-
ছুটুকাকা বললৌ খুকি আমার সঙ্গে চল
ইস্কুলে তুর নাম লেখাবো পড়বি কি না বল?
স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম কাকার মতন হবৌ
সিটাও ইবার সত্যি করেই লুকে দেখায় দিব।পিঁরায় গ্যালৌ কটা বছর কতৌ উঠান পড়ন,
ছুটুকাকা পড়াঁ নিয়ে খুব কৈরথ যতন-
আটটা বছর ইস্কুলটায় সবাই চিনে গ্যাছে
হেডমাষ্টার রতন বাবু ডাইকলো সেদিন কাছে!
বললৌ মুকে আদর করে একটু বেশী পড়
তুখে দিঁয়ে মালো পাড়ায় তুলবো শিক্ষা ঝড়।কসম নিয়ে করলি শুরু পড়াশুনার কাজ
ঐ জগতে একলা যেন গ্যড়বো এক সমাজ-
সরকারি পাশ ভালোই দিলাম কতৌ কাগজে ছবি,
মোড়ল বাবু মন্ত্রী নেতা সবাই তখন কবি… -
মহাসাগরের একা
মহাসাগরের একা
-সত্যদেব পতিকথা ছিল পাড়ি দিতে হবে জীবন সাগর-
পার হবো শত দুঃখে ডুবে একদিন পাবো সুখের ঠিকনা;
জীবনের ধারাপাতে কতো রবে চড়াই উতরাই’
ভেজা শরীর হবে ভারি তবুও এগোতে হবে।ভালোবাসার ভেলা ভাসিয়ে দেবো আকাশ গঙ্গায়,
যেখানে মেঘের দল অনেক ধুলো ময়লা নিয়ে ভাসছেে-
থামবে না আমাদের তরী এগোবে সামনে দিকে;
একটা পুবালী বাতাসের গায়ে মাখাবো বসন্ত রং।তোমার হাতে শক্ত করে ধরে আমার হাত একদিন ঠিক পৌঁছে যাবো,
কতো রঙিন ছবি দেখে ছিলাম দু’জনে-
সুরধ্বনিকে সাক্ষী রেখে করেছি প্রতিজ্ঞা;
ভবতারিনী করেছে আশীর্বাদ আমাদের মাথায়।তবুও আজ কেন এতো শঙ্কা কেন সব হারানোর ভয়?
বিভক্ত মন নিয়ে নয় নতুন উদ্যমে থাক অঙ্গীকার,
চলো না আবার গাঁথি জীবনের জয়মালা শক্ত রেশমে-
ভালোবাসার আগুন শীতল রাতের শিশির হয়ে
পড়বে এই মাটির বুকে।চিরহরিতের সমারোহ হোক প্রেমের পৃথিবীতে;
শূন্য থেকে শুরু হোক পথচলা আজকের বসন্তে-
ভালোবাসার আকাশে চাঁদের জোছনা ঝালর, রূপকথার মতো আলোকিত হোক পৃথিবীময়!
কেন আজো ভাবছি এই মহাসাগরের একা… -
হ্যাঁচকা টান
হ্যাঁচকা টান
-সত্যদেব পতিকতোদিন হলো কৃষ্ণচুড়া পাগড়ি পরেনি,
মাটির ওপর একপায়ে করছে অনাদি অপেক্ষা!
সে একদিন আমাকে চুপি আরে একটু রং চাইলো-
অবাক হয়ে বলেছিলাম আমি দেবো?
তার আনত প্রশাখার পরশ দিয়ে বললো হ্যাঁ তুমি।প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় তার গন্ধ পাচ্ছি সেই দিন থেকেই,
সবুজে অবুজে মেলামেশা ;
আমি যখন তার ঘন ছায়া নীচে স্নান করি সে আমাকে সলাজ চোখে লুকিয়ে দেখে!
কনোকোনো এক বসন্ত দুপুরে নির্জনে চায় আলিঙ্গন।
রাতের আকাশে চাঁদের জোছনা ঝালর যখন তাকে সোহাগ করে তখন আমার মনে কষ্ট হয়,
আমি ভাবি সে আমার একান্ত জোছনা ছোঁবে কেন?
অভিমান করলে সে বুঝতে পেরে বলে নিজেকে বিশ্বাস করো তৌ!
রাতের স্বপ্ন পোড়ায় মন।আমার দেখা স্বপ্ন সেও দেখে নির্ঘুম চোখে,
বিনিদ্র রজনী প্রাতে সে বলে আমি কি তোমার ঘরে আসতে পারবো কনোদিন?
কেন নয় সেওতো জীবন্ত প্রাণ খুলে শ্বাস নেয়;
ঐ গাছটা সেও একটা ভালোবাসার কথা বোঝে-
সেও বলে মনে হয় কোনো এক আদিম বাতাসে ভর করে হ্যাঁচকা টানে ছিড়ে ফেলি সমস্ত শিকড়।
একঝাঁক লাল ফুলের সৌরভ নিয়ে ছুটে যাবে আর একটা গাছের কাছে মিলিত হবে দু’জনেই… -
ধর্ষক সমাজ
ধর্ষক সমাজ
-সত্যদেব পতিঅত্যাধুনিক সমাজের কুশীলব আমরা সবাই,
কখনো বিষয় বিশ কখনো ধর্মের তকমা-
সমাজ বিবর্তনের কান্ডারী সেজে কেউ করছে ধর্ষণ নিজের বিবেকের।কোথাও চলছে অরাজনৈতিক চেতনার বলিদান
নারী পুরুষ নির্বিশেষে;
এই সমাজে এখন নগ্ন ছবি ক্যালেন্ডার দিয়ে সাজানো হয় সম্পর্কের বাসর!
যাত্রাদলের কুশীলব হয়ে প্রেম অভিনীত হচ্ছে মনের রঙ্গ মঞ্চে ;
বিশ্বাসের দড়িতে মোমের প্রলেপ একটা আগুনের ফুলকি নিমেষে জ্বালিয়ে করে দাবানল।সময়ের কসাঘাতে বিদীর্ণ করে আপন অস্তিত্ব,
দুরের আলো দেখে সবাই ছুটছে লক্ষ্যহীন ভাবে-
চোখের সামনে পুড়ে যায় মানবিক মূল্যবোধ!
বেইমানী তার শানিত ছুরি দিয়ে গলা কেটে যায়
মনুষ্যত্বের।বিলাসী মনে পরশমনী ছোঁয়া পেতেই উতলা,
সন্ধ্যা প্রদীপের আলোতে যেমন পতঙ্গ করছে প্রাণপাত-
সবকিছু বুঝেও নিজেকে করছে আত্ম বিসর্জন ;
বড়ো জানতে ইচ্ছে করে সত্যি কি আমরা ভালো আছি শান্তিতে আছি?
নাকি আমাদের সৃষ্ট সমাজে নিজের অস্তিত্বের লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের ধর্ষণ দেখছি প্রতি মূহুর্তে….
নিজেকে আড়াল করে রেখে অন্যদের বলছি ধর্ষক;
আর দোষারোপ করছি দৃষ্ট সমাজকে। -
এমন তো মনে হয় যখন আমি একা
এমন তো মনে হয় যখন আমি একা
-সত্যদেব পতিকি নিয়ে লিখবো বলতে পারো আমার কলমের কালি তলানিতে
নিব আর জিভ বিভক্তি চাইছে, তর্জনিতে টান ধরছে চোখের চশমার পাওয়ার লাগবে –
পেটে ক্ষুধাতুর দাবানল মাথার চুলে কিলবিলে উকুনের ঝাঁক,
বুদ্ধি বলছে মনন চাই পরিবেশ আগুন দহনে দাহ্যমান এরপর কি লেখার কোনো জায়গা থাকে?যে নীল পাখিটা একদিন জেনেছিল
তার ছিল নিজস্ব একটুকরো আকাশ। তার চোখে এখন শুধুই আতঙ্ক আর ভবিষ্যতের আশঙ্কা। সম্পর্ক শুধু তো গ্রহণ নয়, সমর্পণও
নির্জন ছায়াপথে হেটে যেতে যেতে এক আঁজলা জল, টুপটাপ বৃষ্টি এতদিন এই রকম স্বপ্ন দেখে আসছি তোমার মনের আকাশে আমি একমাত্র চাঁদ! -
আধাঁরের মুসাফির
আধাঁরের মুসাফির
-সত্যদেব পতিজীবনের কথা অনেক শুনেছি এখনো সেখানে সুবাস পাই যখন একলা থাকি,
ভালোবাসা বুকে নিয়ে কাটাতে চায় গভীর রাত –
নিশ্চল চাঁদের আলো মুগ্ধতা জানিয়ে যায়;
অপেক্ষা করছি সুন্দর সকালের।ভোরের আলোতে সব কটা শিউলি ঝরে সুন্দর করে ধরনীর মাটিকে;
রাত জাগা রক্তিম চোখে সবকিছুই যেন রক্তাভ লাগে!
সকালের উষা উজ্জ্বল হয় ঠিক,
কোথাও একটা খামতি অনুভব করি।সৌদাগরের লাল চোখে দেখতে পাই নীল পাখিটা
ছটপট করছে খাঁচা থেকে মুক্তি চায় সেও,
ভালোবাসা বুকে নিয়ে কাটাতে চায় অমসৃণ রাত!
বুকের ক্ষরিত রক্ত জমাট বেঁধে থাকে শীতল রাতের বৈভবে;
কারো জন্য একরাশ রঙিন স্বপ্ন নিয়ে-
কিন্তু সে এসে ও ফিরেছে বহুবার।কোনো অবচেতন মনে বসন্তের অপেক্ষা করে নিয়ত কাল,
আমার সকালে কখনো আষাঢ়ী মেঘ কখনো শরতের আকাশের ছায়া ঘন বিকেল!
হৃদয়ের মৌতাতে তুলে রাখা স্মৃতির কবিতা –
এ মন কি চিরকাল আঁধারের মোসাফির হয়ে রইবে নাকি সে দেখবে বসন্তের রঙিন সকাল?