• কবিতা

    পাওনা

    পাওনা
    -সত্যদেব পতি

     

    আজকে আমার মেঘলা আকাশ বসন্ত সকালে,
    তোমার দেওয়া বার্তা পেলাম যখন তুমি গেলে!
    নীল খামেতে কান্না ভেজা কথার ছিল রাশি;
    কান্না তোমার বাজলো কানে রাখালিয়া বাঁশি।

    যেদিন তুমি চলে গেছো সজল চোখের পাতা,
    নীরব হয়ে ছিলাম বসে নিয়ে বুকের ব্যাথা!
    স্বজন সাথী সবাই মিলে বোঝায় কতো ভাবে-
    একলা আমি নীরব নিথর তোমার অনুভবে।

    আপন কাজের অছিলাতে সবাই গেল চলে-
    একলা বসে সেদিন থেকে ভাসছি নয়ন জলে,
    হঠাৎ কখন চমকে দেখি নিশীথ স্বপন ভাঙা;
    রাত নির্ঘুম পাগলের মতো দু’ চোখ হয়েছে রাঙা।

    সকালের উষা উজ্জ্বল নয় মেঘের শাসনে ঢাকা”
    আমার হৃদয় মর্মে মরিছে তুমি হীন আমি একা-
    কানে শুনি আজো নুপুরের ধ্বনি বাজে কঙ্কন রনি,
    কখনো আবেশে দু’চোখ মুদেছি যদি সেই ডাক শুনি।

    পথ প্রান্তে ফেলে গেছো তুমি আপন বক্ষে হোতে!
    আমি ধূলা পরে এখনো কাতর বাহিত জীবন স্রোতে ;
    আমি অভাজন মাণিক রতন হেলায় হারিয়ে কাঁদি,
    যদি আসো ফিরে এ নদীর তীরে এবার রাখিব বাঁধি।

    শুধু ছিল প্রেম আর ভালো বাসা যত্ন ছিল না মনে,
    তাই চলে গেলে আমাকে না বলে সেদিন সন্ধিক্ষণে!
    ক্ষণিকের ত্বরে নোঙর করেছো আমার শুকনো ঘাটে-
    আসিয়া জোয়ার করিল প্রমাদ জল ভরে দিলো মাঠে,
    সোনার ফসল সবই গেল ডুবে পচন ধরিলো নীচে,
    শুধু হা হুতাস সিক্ত বাতাস পাওনা হলো না সেচে।

  • কবিতা

    জীবন নদীর শুকনো চর!

    জীবন নদীর শুকনো চর!
    -সত্য দেব পতি

     

    শেষ শীতের সকালে উজ্জ্বল সূর্য্য প্রভা,
    মনের দর্পণে নিজের ভুত ভবিষ্যতের ছবি-
    এখনো বিশ্বাসের সরল দন্ডে করি সম্পর্কের মাপ;
    দুরে অহংকারী শৌর্য্যালয়ের নিপুণ কর্মশালা –
    তবুও আমি তা থেকে শত যোজন দুরে থাকি।

    বদলে যাওয়া উৎশৃঙ্খল উলঙ্গ সময়ের তান্ডব,
    রসহীন চেতনার গৃহ জ্বালিয়ে খাক করে দেয়-
    তবুও বিশ্বাসের নদীর জলে শীতল প্রবাহ বিদ্যমান;
    রাস্তার উপর অবাঞ্ছিত মানুষের জটলা কখনো ভয় জাগিয়ে তোলে নিকশতার।

    এখন মনে হয় ঐ শীর্ণকায় জীবন নদীর বালুকা রাশিতে পড়ে আছে নির্লজ্জ বর্তমান!
    হয়তো কোনো বর্ষা দিনে আকুল করা মেঘ এসে
    আবারো ভাসাবে দু’কুল?
    সবুজের সমারোহ ডেকে বলবে নদী তুমি এখন
    সম্পূর্ণতা পেয়েছো তোমার গর্ভে এখন সোনা ফলেছে,
    কয়েকদিন পর উঠবে প্রসব বেদনা জন্ম হবে
    হরিৎক্ষেত্র সন্তানের –
    বুকের মধ্যে এই আশা নিয়ে আমি রইলাম অপেক্ষা করে আমার জীবন নদীর শুকনো চরে।

  • কবিতা

    আর্তনাদ

    আর্তনাদ
    -সত্য দেব পতি

     

     

    বাস্তবের কঠিন কসাঘাতে বিদীর্ণ হিয়া …
    ভৌগলিক অবস্থান মাপে প্রেমের দৈর্ঘ্য,
    ক্ষতবিক্ষত জীর্ণ মনে শুধুমাত্র গোধূলির অস্তরাগ।

    তোমার মুখচন্দ্রিমায় গভীর সূখময় নিবিড়তা,
    তাইতো আজকে আবারো লিখতে হবে –
    ভালোবাসার সুদূর প্রসারিত প্রেমের পরিভাষা ;
    সোহাগ পরশে পান করতে চায় অমৃত ।

    বিলাসী মনের সৌন্দর্য্যতায় ভালোবাসা রঙিন;
    মনের আকাশে নীল চাঁদের জোছনা –
    বিশ্বাসের বাগানে ফুলের মোতাতে অলির সমাগম,
    তবুও কোনো অজানা তথ্য কাঁটা হয় পথে,
    ব্যাকুল করা অব্যক্ত কথা রাশি দহন জ্বালা
    দেয় নীল রক্ত প্রবাহিত অলিন্দে!
    শর্ত হীন বাস্তবের অলিখিত চুক্তি মনের দর্পনে “
    সেই শর্তগুলো মানসিক যন্ত্রণার আগুনে পোড়ে;
    একমুঠো সাদা ছাই হয়ে যায় চেতনার চিতায়।

    আমি অবাক নয়নে দেখেছি অসহায় প্রেমের ক্লান্তিময় রূপ,
    কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনি পেয়েছি তার সকরুণ অসহায় আর্তনাদ রক্তাক্ত হয়েছে হৃদয়!
    বিশ্বাসের দড়িতে টান পড়েছে শতবার-
    তবুও এগিয়ে চলেছি আপন গতিতে জমাটি
    আধাঁর পেরিয়ে আলোর ঠিকানায়।

  • কবিতা

    নির্জনে একা…!

    নির্জনে একা…!
    -সত্য দেব পতি

     

     

    বিশ্বাসের আলোকময় সকালে
    তাজা নিঃশ্বাস নেওয়ার অঙ্গীকার,
    রাতের বৈভবে ফেলে আসা স্বপ্ন-
    মনের দর্পনে আবছা প্রতিচ্ছবি।

     

    তোমার মূখে ম্রিয়মান হাসি
    আমার অপেক্ষার প্রহর,
    ব্যাকুল করা অব্যক্ত কথা রাশি
    আমাকে ভাবায় রাতভর।

     

    তোমার মুখচন্দ্রিমায় গভীর সূখময় নিবিড়তা,
    আমার খোলা আকাশের গায়ে টুকরো মেঘ-
    বিশ্বাসের জানলায় তবু কেন বাতাসের নীরবতা,
    তোমার বিরহী মনে বাড়ছে ঝড়ের বেগ।

     

    রাতে চাঁদের আলোয় কালকে ছিল নিদাঘ!
    তবে সকালের রবি ঝলমলে আলোরেখা,
    লাগামহীন মন ছুটে চলে যেন ভৈরবী রাগ-
    সবাকার সাথে বসে আছি তবু,
    আমি নির্জনে একা।

  • কবিতা

    তবু ও ভাবতে হয়

    তবু ও ভাবতে হয়
    -সত্যদেব পতি

     

     

    শৈশব থেকে কৈশোর আত্মীয় অনাত্মীয়ের গুরু গম্ভীর অদৃশ্য বেড়াজালে ছিল জীবন,
    আপন সীমানা অতিক্রম হলো সেই কলেজে-
    নিঃশব্দ ছিল না সময়।

    মনের আকাশ গঙ্গায় সবেমাত্র জোয়ারের জল,
    ভালোবাসা কখন এসে বাসা বাঁধে,
    সেকথা বোঝার আগেই লীন হয় মন-
    সকালের সূর্য্যালোকের মতো ঝলমলে মন
    কতো রঙিন স্বপ্ন মাখা দিন ছিল যৌবনে।

    তোমার আগমনী বুঝতে না পারলেও অনুভবে ছিল তোমার নতুন গন্ধ,
    সবকিছুই ছিল রঙিন উচ্ছাসে বিহ্বল-
    কলেজ ক্যাম্পাসের উদ্দ্যানে কতো ফুলের সমাহার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছিল আমাদের।

    তোমার কাজলকালো চোখ, আষাঢ়ি মেঘ চুলের ঘনঘটা আমি একান্তে মুগ্ধ হোতাম-
    হঠাৎ এক শরৎ বেলায় হলো পরিচয়,
    বন্ধু হলাম দুজনে….
    সেই বন্ধুত্ব কখন প্রেম হয়েছিল তা বুঝিনি।

    বেশ তো ছিলাম তবে কেন বাড়লো ব্যকুলতা?
    একদিন অদর্শনে নেমে আসতো শ্রাবণী বর্ষা,
    মুষলাধারে হতো বরিষণ অবিরাম…
    সবকিছুই যেমন শুরু হয় ঠিক তেমনই আছে সমাপন, সেদিন ভাঙলো ধৈর্য্য ভরা বাঁধ।

    ভাদুরে বানের মতো সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেল
    তোমার আমার মাঝখান দিয়ে…
    আমাদের সাজানো বাগানে অঝোরে শ্রাবণ এলো লহমায়!
    তোমার আমার মাঝখানে সৃষ্টি হলো বৈষম্য নদী।

    আজ তুমি দূর আকাশের চাঁদ,
    তোমার পরশ আজ আমায় হরষিত করেনা-
    তোমার চাঁদনী রাত আমার জন্য আলো দেয় না..
    তোমার আকাশে আজ নবীন সূর্য্য!
    আমার ভালো বাসার প্রাসাদে তবু ও তোমার সিংহাসন পাতা শুধু তোমার জন্য,
    কারণ সেখানে আমি আর কাউকে দেখতে পারবো না বলে।

    স্মৃতির পরতে তোমার লেখা চিঠি গুলো
    আকাশের গায়ে ভাসমান মেঘের ভাঁজে রাখা,
    আমার দেখা স্বপ্ন গুলো সময়ের দর্পনে বন্দি!
    আজো মনে হয় তুমি ফিরবে এখানে,
    সেই জন্য আমি আজও একান্তে ভাবি তোমার কথা আমাদের কথা ভুলে যাওয়া যায় না…
    সেই জন্য আমাকেই ভাবতে হয়।

  • কবিতা

    ছেঁড়া কাপড়ে…

    ছেঁড়া কাপড়ে…
    -সত্যদেব পতি

     

     

    অন্ধ গলির বন্দি পাখিটা অঘোরে ডানা ঝাপটায়,
    নিশুতি রাত ঝমঝম বৃষ্টিতে নূপুরের রুমঝুম শব্দ – – –
    বাবুদের জলসায় অসহায় ফুটন্ত যৌবন…
    বিশ্বাসে অপমৃত্যু ঘটছে বিদগ্ধ আঁধারে,
    গরীবের পরিধানে একটুকরো ছেঁড়া কাপড়,
    সকালের কুঁড়ি এখন পান পেয়ালার ফুটন্ত গোলাপ,,,
    রাতের অমানিশায় পূর্ণিমার চাঁদ…
    তরতাজা যৌবনে হাজার অলির মাদকীয় চোখ—-
    নীল আলোর ঝর্নাধারায় কামনার লেলিহান শিখা,
    জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করছে হায়নার লোলুপ দৃষ্টি…
    নিরুপায় হয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে
    ঐ নরখাদকের খাবার থালায়,
    কারন ঐ সব বাবুদের হাতে বিক্রিত পন্য হয়েছে আজ রাতে….
    দুচোখের শ্রাবণ ধারা লুকিয়ে এক মুখ কৃত্তিম হাঁসি নিয়ে নগ্নতার  আসনে একাই
    গাইছে জীবনের গান
    তার যৌবনের মৌবনে অসহায়তার কুসুম—
    বিদ্রুপে হাঁসি হাঁসছে নিয়তি…
    রাত শেষে সেখান থেকে নিয়ে যাবে সামাজিক মূল্যবোধে অকৃত্রিম তখমা…
    তবুও কি সে লজ্জা নিবারনের বস্ত্র পাবে?
    ঐ রাতের হিংস্র শার্দুলের সমস্ত খিদে মেটানোর পরো কি সে পাবে তার ন্যায্য অধিকার?
    সারারাত বিনিদ্র যাপনে কি মিটবে তার সকল আশা?
    একটুকরো ছেড়া কাপড়ের পরিবর্তে কি
    পাবে তার পূর্ন লজ্জা পরিধান?
    না তা হওয়ার নয়,
    একদিন সবকিছু হারিয়ে এই সমাজের নগ্নস্রোতের ধারায় হারিয়ে যাবে অখিল সাগরে…
    ঐ ছেঁড়া কাপড়ের সাথে,
    হয়তো এটাই তার ভবিতব্য—–

  • কবিতা

    গোধূলি বেলা

    গোধূলি বেলা
    -সত্যদেব পতি

     

     

    সারাদিনের ক্লান্তি এসে জমা হয় পড়ন্ত বিকেলের রোদের মতো আগত সন্ধ্যার কালো আঁচলে…
    সূর্য্যালোকের অন্তিম আলোর কিরনে পশ্চিমের আকাশ হয় রক্তিম,
    সমুদ্রের উচ্ছল তরঙ্গরাশি আছড়ে পড়ে জমাট বাঁধা বালুকা।
    পুব আকাশে ধ্রুবতারা এসে জানিয়ে দেয় রাতের আগাম বার্তা…
    কূলহীন মহাসাগরের অগাধ জলরাশির জমাটি আধাঁরে আমাদের ছোট্ট পানসী,
    অজানা পথের পথিকের মতো প্রাণপনে দাড় বাইছি দুপ্রান্ত থেকে অবিরাম।
    আলো আধাঁরি জোছনা স্নানে নিমগ্ন দুজনে,
    নিলয় অলিন্দে দ্রুত তর রক্ত সঞ্চালন – –
    উষ্ণ নিঃশ্বাসে উত্তপ্ত হৃদয়।
    নিজের অজান্তেই কখন আবদ্ধ হয়েছি একে অপরের খেয়াল করিনি কেউই,
    ব্যাকুল করা হৃদয়ের অদম্য ইচ্ছা কেমন করে এলো এই জিবনের গোধূলি বেলায়?

  • কবিতা

    অধরা বহ্নী

    অধরা বহ্নী 
    -সত্যদেব পতি

     

     

    কেমন ছিল সেদিন বলতে পারো?
    যেদিন প্রথম আলোর কিরণে তুমি এসেছিলেন আমার মনের গহীনে…
    কিছু চাওয়া পাওয়ার বন্ধনে নয় শুরু হয় বন্ধুত্ব দিয়ে,
    প্রতিদিনের কথা ছিল অশেষ জলরাশির মতো।
    সেই দুর্বল সময় লিখে দিল আলেখ্য প্রেম,
    হয়তো বুঝতে সময় লেগেছে অনেকটা…
    তোমার ভালোবাসায় পরিপক্ক হলো মন,
    বিশ্বাসের বাতাসে শুধু তোমার চেনা গন্ধ – –
    আমার অনুর্বর জমিতে ভালোবাসার ফসল ফলিয়েছো।
    নিজেকে প্রশ্নের মুখে রেখে উত্তর পাইনি আজকে ও…
    কিছু সময় পর তুমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছ আপন খেয়ালে – –
    অবুঝ মনে চেপে বসলো হিমালয়ান বরফ,
    ভগ্ন হৃদয়ে জৈষ্ঠ্যের মরুঝড়,
    আজও তুমি আমার কাছে আধরা বহ্নী হয়ে রয়ে গেলে।

  • কবিতা

    নিশী তৃষ্ণা

    নিশী তৃষ্ণা
    -সত্য দেব পতি

     

     

    হেমন্তের নিঝুম রাতের গভীরে শিশিরের শব্দ শুনেছি…
    হৃদয়ের গভীরে তোমার গোপন অভিসার
    জানলার কাঁচে শিশিরের পরত।
    তোমার চাওয়া আলোয় আমার উঠোনে দ্বিতীয়ার জোছনা,
    ব্যাকুল করা বিশ্বাসের বাতাসে তোমার নুপুরের রুনুঝুনু শব্দ…
    কূলহীন জীবনের চোরা স্রোতে প্রবহমান যন্ত্রণা ।
    স্মৃতির পাতার ভাঁজে শুকনো নিস্তেজ গোলাপ,
    এলোমেলো সাজিয়ে রাখা ঘুটি জীবনের খেলা ঘরে – – –
    নিশ্চল ছায়াবৃত মন একান্ত হয়ে অবিচল।
    আমি আজ ক্লান্তি ময় জীবনে তোমাকে চাই নির্জনে,
    অবসন্ন দেহ মন তবুও কনো অভিযোগ নেই তোমার কাছে – – –
    গভীর রাতে আমি বড্ড একলা অনুভব করি কারন তুমি আমার পাশে নেই,
    দুচোখের সামনে তোমাকে দেখতে পাই স্বপ্নীল কুয়াশার ঘন আবরনে।
    অভিমানী মনে বিষাদের শুরের মুর্ছনায় আশাবরী রাগিনী,
    ভৈরবী শুরে শুকিয়ে যায় ভোরের শিশির – – –
    তৃষ্ণার্থ হয় মন জৈষ্ঠ্যৈর রাতের মতো।
    দুচোখের শ্রাবণী ধারা সিক্ত করে মনের তটভুমি
    তবুও সবকিছুর উপেক্ষা করে রয়ে যায় তোমাকে না পাওয়ার নিশী তৃষ্ণা!

  • কবিতা

    কবিতা তুমি কি…?

    কবিতা তুমি কি…?
    -সত্যদেব পতি

     

     

    যখন আমি ছোট্টো শিশু তোমার আননের ফুল হয়ে খেলা করতাম…
    তখন হতেই তোমার সাথে ভাব আড়ি চলতো,
    কখনো বিষাদ কখনো খুনসুটি কোনো সময় আকার নিত চরমে-
    আবার ভাব করতাম,
    তোমার কাছে নিয়ে আসতাম রঙিন স্বপ্নময় শব্দ কোষের মিষ্টতা,
    তুমি সানন্দে গ্রহণ করেছো,
    আমার শব্দ ভান্ডার সীমিত তোমার অজানা ছিল না…
    এভাবেই পার হলো কয়েকটা বছর—
    তখন তুমি ষোড়শী পার করে ফুটন্ত অষ্টাদশীর দ্রাঘিমাংশে..
    কতো রঙীন স্বপ্নময় বাক্যালঙ্কারে বিভূষিতা সম্পূর্ণা,
    তোমার মুখে হাজার সূর্য্য উদ্ভাসিত..
    আমি তখন দুর হতে দেখেছি মাত্র,
    একবার ছুঁয়ে দেখব বলে কাছে আসতেই—
    তোমার বিভূষণ জ্যোতি ঝলসে দিল আমার চোখ,
    লিখতে গেলাম নতুন করে….
    ভাষাগুলো কোথায় হারিয়ে গেল তোমার রূপের প্লাবনে?
    ছই হারিয়ে বেবাক নাবিক-
    এখন আমি প্রৌঢ়ত্বর প্রতিকী হয়ে তোমাকে খুঁজে চলেছি…
    কতো নামীদামী কবির কলমে তুমি ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ছো প্রতি পলে,
    দেখে হিংসা হয়,,,,
    আমি কেন পারি না লিখতে,?
    মনের দহন জ্বালা শ্মশান চিতার চেয়ে লেলিহান,
    আমার প্রেমের কাণ্ডারী হয়ে আসোনি কোনো দিনও
    লেখার কালিতে শুধুই জমাটি অমাবস্যা;
    আমার ফাগুন বেলায় চৈত্রের ঝরা পাতার শব্দ…
    অহরহ বৈশাখী ঝঞ্জার তুমুল তান্ডব…
    শ্রাবণী মেঘ এসে বিধৌত করে আমার মনের খাতায় লেখা সমস্ত ছন্নছাড়া অক্ষরগুলো,
    তুমি তো আসো নি তবু ভরা ভাদরের টইটম্বুর নদীর মতো অনেক শব্দ মালার উপহার নিয়ে.?
    তুমি কি তোমার ভালোবাসা কণা মাত্র দিতে পারো না আমাকে?
    আমি কি এতোটাই অপাঙতেয় এই সমাজের?
    এতটাই বেমানান আমার উপস্থিতি?
    নাকি তুমি অন্য কিছু?
    বলোনা কবিতা তুমি কি?

You cannot copy content of this page