সভ্যতার দহন-সুমিতা পয়ড়্যা সভ্যতার আষ্টেপৃষ্ঠে যখন লাশের গন্ধতখন আমরা অনাঘ্রাত,অন্তরাত্মা নৈঃশব্দের অনুরণনে;মহাসৃষ্টির চেতনায় মানবতা বিভোর,মুখোশের আড়ালে রক্তাক্ত রহস্য মোড়কেনিপাট নিগূঢ় বাস্তবে অন্তর দহন,ঘটনার পটে পটে অঙ্কিত চিত্রকল্পঅসহ্যকে সহ্যের সীমায় শীতল আগুনে।বেদনা-কান্না-হাসি জুড়ে একরাশ স্বপ্নবিনিদ্র রাতের অচেনা সুবাসে সভ্যতার কথন।প্রতিদিন সহ্য করছে অসম্ভবের দহন জ্বালা;পুড়ছে, অঙ্গার হচ্ছে, কোন এক অরূপ মায়ায়।জ্বলে পুড়ে খাঁক হচ্ছে […]
কবিতা- “ঘুম ভেঙে দেখি”
“ঘুম ভেঙে দেখি”-সুমিতা পয়ড়্যা তুমি আমাকে যে বইটা দেবে বলেছিলে,যে বইটা শুধুমাত্র আমার জন্য কিনেছিলে–স্বপ্নে আজ তাকে পেলাম।বইটা খুলতেই পেলাম বইয়ের সেই নতুন গন্ধটাকী মিষ্টি, কী মিষ্টি সেই গন্ধ,এক অদ্ভুত অনুভূতিবইটার পাতায় পাতায় কত কি যে লেখাবোধগম্য হল না; আসলে মাথাটা ধরেছিল,তাছাড়া কোনো ছবি নেই যা আমার মনকে কাড়ে,যা দেখে একমুহুর্তে মিলিয়ে যেতে […]
কবিতা- প্রাণের সন্ধান
প্রাণের সন্ধান-সুমিতা পয়ড়্যা সাগরের বুকে অনেক গুনেছি ঢেউছোট-বড় ক্লান্ত-শান্ত ওঠা-নামা,আঘাতের পর আঘাত উন্মত্ত উচ্ছ্বাসতরঙ্গায়িত ফেনিল স্বচ্ছতায় তর্জমা।প্রতিদিনের তরুণ তপন উদিত পূর্বাচলেরাঙানো গগনে কিরণমালা ঠিকরে পড়ে।সাগরের নীল জলরাশি, অন্ধকারে মসিআকুল-ব্যাকুল হৃদয়ে নোনা জলেই ভাসি।নীলাম্বরী অঞ্চল ভেদ করি মিশেছে সাগর বক্ষে;কুল কিনারাহীন দোদুল্যমান জগৎ অক্ষে।সৃজনে সৃজনে কৃষ্টি, মিলনে দামী মণিমুক্ত,এক হৃদয়ের কলতানে ধ্বনি সুপ্ত।বিপুল জলরাশি […]
কবিতা- একলা সময়ে
একলা সময়ে-সুমিতা পয়ড়্যা সত্যি বলছি, আমি তোমাদের দেখতে পাচ্ছিচেনা-অচেনার মাঝে যত কারিকুরি;সকালের সূর্য শীতল জলের স্পর্শেআকাশী রঙের সাথে সাগর যেথায় মেশে।সমুদ্র সৈকতে আদরনীয় তরঙ্গায়িত ঢেউ,ভেঙে সুন্দর সফেদ ফেনিলে মুগ্ধতার ঘোর!অন্ধকার বিদীর্ণ বক্ষ চিরে চাঁদের আলোকমালাসাগরসঙ্গমে সাগর তখন রূপে পাগল পারা।তোমাদের হৃদয়ে আমার হৃদয়ে অসম্ভব এক সুখ,কপিল মুনির মন্দির প্রাঙ্গণে যত ভক্তবৃন্দের মুখ।চোখ বুজলেই […]
কবিতা- অতৃপ্ত
অতৃপ্ত -সুমিতা পয়ড়্যা অনেক দিন হল আর দেখা হবে না অথবা হবে হয়ত কোনো একদিন। তখন না হয়…… দু’জনেই বলব, কতদিন পরে ‘তোমাকে’ দেখলাম; হয়ত বা দু’জনেই তাকিয়ে থাকব অনেক্ষণ, কিংবা দু’জনেই হাতে হাত রাখব এমনভাবে…. দু’জনেই উষ্ণতার পরশ নেব দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। তেমন ভাবে দু’জনেই অনুভবের ঘরে বাস করব! কৌতূহলবশঃত দু’জনেই জিজ্ঞাসা করব, কেমন […]
কবিতা- অনন্ত প্রেম
অনন্ত প্রেম-সুমিতা পয়ড়্যা পূর্ণিমা রাতে রূপালী আলোক উদ্যানেভেসে আসা বাতাসে প্রেমের নীলাকাশেআকুলতা; এক তীব্র টানে বর্ণছটা।সতত;স্বপনে তৃষা ভুলের দলনে!এক আকাশের পবিত্র গন্ধে চন্দ্রিমাআবেগের অভিমানে।অজস্র জিজ্ঞাসুদৃষ্টি আলোর নীরবতায়, অহংবোধেগভীরতায়, কান্নায় অসমাপ্ত গানে।রাতের শূণ্যতা; হাতছানি দেয় ক্লান্তিজ্যোৎস্নার আভরণে।জ্যোৎস্নার দ্যুতিস্মৃতি মাখে, অনন্ত বিষন্নতার সখ্যে।যতেক কল্পনা মনিহার সম গাঁথাপড়ে; চিরসত্য অনন্ত প্রেম মন্দিরে।ঋদ্ধ রবে মন স্বর্গীয় অনুরণনে।
কবিতা- প্রথম ক্ষণ
প্রথম ক্ষণ-সুমিতা পয়ড়্যা প্রথম তোমায় ছুঁয়েছিলাম চোখের আলিঙ্গনেমনের কথা মনেই ছিল বোঝো নি তার মানে।চোখ বুজলেই তোমার মুখ, খুললেও সেই তোমার মুখ ;ভালোবাসার প্রথম ক্ষণে এক পলকে কতই না সুখ!এক মুহুর্তে পেয়েছিলাম অনন্তকালের ভালোবাসা,হৃদয়ের রূদ্ধদ্বারে তৃষার তৃপ্ত অমৃতসুধা।অন্তর বাহির জুড়ে শুধু তুমি আর তুমিভালোবাসার প্রথম ক্ষণে স্বর্গীয় পরশে ভ্রমি।এক লহমায় ভেসেছিলাম প্রাণপ্রিয় তোমার […]
কবিতা- অবগাহন
অবগাহন-সুমিতা পয়ড়্যা তুমি বল আমি নাকি দার্শনিক!আমার নির্যাসে অতি সুগন্ধীর বাস,আমার ছোঁয়ায় উপচে পড়ে বুকে শোনিত ধারা;শুষ্ক পাহাড়ের আমি নাকি পাগলা ঝোরা!কোকিলের তানে কুহু কুজনে বসন্তের ফল্গুধারা,একমুঠো উষ্ণ পরশ হৃদয়ে তোলে ছিন্নবীণার সুর;অনভিপ্রেত নিয়ন আলোয় ভিজিয়ে দেয় আঁধারের বিষন্ন ব্যথাকে,পরিত্রাণ পাও ক্লান্তি-শ্রান্তির অনাচার থেকে।দর্শিল মনের সব ক্ষোভ রঙিন হয়ে ওঠে আমার কবিতায়।অন্তহীন সময় […]
কবিতা- দুজনে-দুজনার
দুজনে-দুজনার-সুমিতা পয়ড়্যা এই শোন না; আমি তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই।নেবে কি আমায়!নেবে কিনা বল!বলতে এত দ্বিধা কেন!একী সমুদ্রমন্থন!অমৃত না বিষ; ধর বিষটাই তুমি পেলে।তবে কি আর আমাকে ছুঁয়েও দেখবে না!বিষে বিষে বিষক্ষয়ও তো হতেই পারে।দুজনে দুজনার হয়ে জল-মাটি-আকাশের সঙ্গমে পৌঁছালাম।ভালো হবে না বলছ!অবাক হবার কি আছে!এক আত্মা, এক হৃদয়, এক অঙ্গ–তুমিই তো […]
কবিতা-কেমন করে ভালো থাকি!
কেমন করে ভালো থাকি! সুমিতা পয়ড়্যা যেমন করে থাকলে মানুষমানুষ নাকি ভালো থাকে।রুদ্ধদ্বারে বসে থেকেযেমন ভাবে মানুষ ভাবে।এক আকাশে উড়ন্ত মেঘেযেমন করে ছবি আঁকে।যেমন করে পাহাড় পুরেঝর্ণা শোনায় তান।তেমন করে, তেমন করে।যেমন করে সময় চলেনিজের খেয়ালে গান গেয়ে।যেমন করে বাঁচলে মানুষবাঁচার মাঝে প্রাণ পায়।তেমন করে তেমন করে।যেমন করে বৃষ্টি ধারাচোখের জলকে ধুইয়ে দেয়।বালিশ ভরে […]