নীলাকাশ দেখেছিল -ড.অসিতবরণ ষড়ংগী মৃত্যুর আগে তার চোখ দুটি পাথর শরীর জুড়ে নীল মৃত্যু। ড্রেন থেকে বাচ্চা কুকুরটিকে রাস্তার ওপর ছুঁড়েছিল ঠাকুরমনি রেজা। মৃত্যুর আগে সে ল্যাজ নেড়ে বলতে চেয়েছিলো—– নিরন্ন পৃথিবী থেকে চলে যেতে চাই উন্মুখর খেলা ঘর ছেড়ে সে চলে গেলো। সে চলে গেলো, সে কি অনন্তে ডুবে গেলো? মা কুকুর রাতভর অজাগর। […]
তুই আবার কবে কবি হলি ??
তুই আবার কবে কবি হলি ?? –শর্মিষ্ঠা শেঠ তুই আবার কবে হলি কবি? প্রায়শই প্রশ্নের সন্মুখিন হই। বলি — দেখে আয় রাতের আঁধারে খোলা আকাশের নীচে শুয়ে থাকা শত শত মানবতার ছবি তাহলে তুইও হয়ে যাবি কবি।। কখনো কি গিয়েছিস—-? নিরন্ন মানুষের কাছে শুনেছিস কি মানুষের কান্না? বুক ভাঙ্গা হাহাকার, ঝরে পড়া জীবনের গান? যদি […]
কাঠকয়লা
কাঠকয়লা -সোনালী মণ্ডল আইচ জীবন আমি দুই মেরুতে জ্যাবদ্ধ আর মধ্যিখানে আকাশ মেগাবাইট ভুলে গেছি একপলা দু’পলা গুনি বকেয়া সেলাই করি মনের ভিতর হাজার রঙ বাকসো ছড়ানো যা ইচ্ছে আঁকি একটা কালো আকাশে এক ফালি চাঁদ বলাকার পাখায় সাদা রঙ কবে শেষ , হে সর্পিল ভালোবাসা ভেসে যাও নীরবে নামতার গুনগুনানির মত একটানা ঘুমপাড়ানি গানে […]
যাপন
যাপন -সোনালী চক্রবর্তী রাত হয়ে আসে। আমি হেঁটে যাই শহরের পথ ধরে। ধীরে ধীরে নামহীন কুয়াশারা ভর করে ল্যাম্পপোস্ট। টুপটাপ আলো জ্বলে, নেভে, আমি হাঁটি, শরীরে বাসা বাঁধে উচ্ছিষ্ট চিন্তারা মগজ গড়িয়ে পড়ে হাতের অাঙুলে মুছে নিই নির্বিকার, অাসন্ন ক্ষতির পরিমাপ ছাড়াই এক আমি, গুণে যেতে থাকি কার কাছে দেনা রয়ে গেল। অথবা, অলীক ভোর-ভ্রান্তি, […]
আমার লিখা তোমার দেওয়া নাম
“আমার লিখা তোমার দেওয়া নাম” ✍ রুনু ভট্টাচার্য বহু প্রতীক্ষারত সেই আমি অবশেষে নির্জন গভীরতায় হারিয়েছি নিজেকে, ঐই শান্ত মুখের চাহনিতে, আর দেখেছি সাগর সমান যেন স্বপ্নের সমষ্টি চেতনার ছবি হয়ে আছে নিল জল আর সবুজের দ্বীপ। ঘুম আর স্বপ্ননের মাঝ খানে আমার হৃদয় আর আমার মাঝ খানে তোমায় দেখার মুহূর্ত ছিল শুধু ধংসের। শুধু […]
গত বসন্তের ফুল
গত বসন্তের ফুল -সন্তোষী নস্কর সুপ্ত মনের, দমবন্ধ আমার কবিতার গান ছেঁড়া তারের আমার গিটার… তাতে দিতে পারেনি প্রাণ । আমার অসুস্থ মন,আর মৃৃতপ্রায় খাতা.. গত বসন্তের ফুলখানি, তাতে রেখেছি দিয়ে চাপা । রঙহীন, বর্ণহীন , গুড়ো-গুড়ো অবশেষ ! দক্ষিণের খোলা জানালা খানি … এখনো খোলা আছে বেশ মিঠে আলো, চড়া রোদ এখনো করে […]
প্রিয় বন্ধু
গোলাপ বালা
গোলাপ বালা -শিবানী গুপ্ত রানাঘাট লোক্যাল ট্রেনটা চাকদহ স্টেশনে থামতেই আমি উৎসুক। আমার চঞ্চল চোখদুটো আতিঁপাতি খুঁজে ফেরে অতি সুকুমার লাবনীঢলঢলে একটি মুখ। যার আয়তচোখের কাচে জলের স্বচ্ছতা, বিশ্বের সরলতা যার মুখের পরতে পরতে পরিস্ফুট। এদিক -ওদিকে চোখদুটো সার্চলাইটের মতোচরকি কেটে চলেছে, শুধুমাত্র একখানি পেলব মুখশ্রী। কি ব্যাপার! কাউকে তো দেখছিনা! এমনতো হবার কথা […]
প্রিয়তা
প্রিয়তা -শর্মিষ্ঠা শেঠ এসো তুমি- চোখের লজ্জা সরিয়ে সামনে এসো। দেখি স্পর্শ পেলে কিভাবে লজ্জাবতীর মতো গুটিয়ে যাও তুমি। সামনে এসো ঠোঁটের আরষ্ঠতা সরিয়ে, ছুঁয়ে দেখি কতোটা আদরে- তুমি চোখ বুজো পরম নির্ভরতায়। কাঁচুলি খুলে সামনে এসো দাঁড়াও, পরীক্ষা করে দেখি— কতোটা সুরক্ষায় ঢেকে রেখেছো হৃদয়। সামনে এসো অন্তর্বাসটাকে শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে, থার্মোমিটারে মেপে […]
ব্যর্থ…….???
ব্যর্থ…….??? -বর্ণালী নন্দী তুমি কেন এত চঞ্চল? ছোট্ট ডিঙিটা ভাসতে চায়, তোমার বুক জুড়ে; তোমার উথাল পাথাল তরঙ্গে, দিকভ্রান্ত আজ তার গতি। পাহাড়, তুমি কেন এত কঠিন? ক্ষুদ্র চারাটি বৃক্ষ হতে চায় তোমার বক্ষ চিরে; তোমার তপ্ত হৃদয়ের জ্বালা মেখে, ঝিমিয়ে পড়েছে তার শরীর। ঝর্না, তুমি কেন এত দুরন্ত? ক্ষুদ্র নুড়ি-পাথর তোমার সাথে প্রতিযোগিতায়! […]