অবুঝ

অবুঝ -রুনু ভট্টাচার্য্য   অদৃশ্য কিছু অনুভূতি নতুনের মাঝে পুরানোর স্মৃতিপট আজো লেখনী। হাসির মাঝে চোখের পাতায় ঝাপসা নতুনের অগোচরে অভিনয় । কিছু অসহায়তা ভুলতে শাল মহুয়া দেশ সোঁদা মাটিতে তোমারই গন্ধ। এক রাজপুত্তুর আর এক রাজকন্নে অবাস্তব কাল্পনিক চরিত্র। ফোনালাপে দৈনন্দিন হাজারে ভালোবাসি ইন্টারনেটে ভালোবাসি,ভালোবাসি। যার প্রকাশ যত বেশি তার ভালোবাসা তত কম। রবিঠাকুর […]

আর নয়

আর নয় -সৌরভ ঘোষ   এ মরমিয়া জ্বালা রাখি কোথা কুলুঙ্গি, আলমারি বড়ই একরোখা হাজার হাজার পাশবিকতায় ভর্তি বাক্স প্যাটরা… ঘর ছাড়তে হবে এবার সময় ঘোর কাটাবার যা দেখছি- আসবাব গুলো চাপা বিদ্রোহী। ধোঁয়া ভরা ঘরে অন্ধকার ঝরনা — আর নয়, আর নয় হয়েছে জানালা খোলবার সময় দেখব নতুন সূর্যোদয়……

অন্যহাত

অন্যহাত -অনিমেষ সরকার     দুটো সমন্বয়ের রাতের শেষ পরিশ্রমে বিন্দুর অজুহাত লোলুপ চোখে সংসারের পেজে স্তব্ধ কাঁচের আড়ালে টেমপারেচার ওয়াচ নিজ গুণে করে ঘষা মাজা ত্রিস্তরীয় মুগ্ধতার কোলাজে বাসনের নির্বাসন সর্বপরি গভীরে প্রবেশ। রাজজোটক ভাবনা গুলো আসে উঠে রেখে যায় অপরিকাঠামোয় ব্যস্ততার আত্মঘাতী ঝরা শ্রাবণ।

চলে যাবার আগে

চলে যাবার আগে -তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়     একই ছায়াপথ ধরে চলে যেতে হয় বলে,চলে যাবো। আমি,তুমি,আমরা সবাই। একই পথ ধরে। কিন্তু যাবার আগে দু’টো প্রশ্ন, আমরা কি মানুষ? আমাদের মনে কি ভালোবাসা আছে? যদি তাই হয়, তাহলে চলে যাবার আগে, বেঁচে থাকার স্বল্প সময়টুকুতে, একই প্রেমের সুর বেজে উঠুক মনের বাঁশিতে, সকলের মনে।

নয়নের অসুখ

নয়নের অসুখ -আত্রেয়ী নন্দ     দ্বিচক্রিকা_____ একটা মোটর একটা বাই; গতি বেগের তারতম্যে পিছু থেকে যায় ললনার হাতছানি। উত্তল অবতল লেন্সে যতটুকু ধরে রাখা যায় ততটুকুই নয়নের সুখ অথবা অসুখ।

ফেরেনি 

ফেরেনি -সৌরভ ঘোষ      মরা তটে নৌকা একা কিছুটা জলে…… নড়ছে চড়ছে স্রোতের তালে, কাল বিকেলে মাঝির সাথে এলেবেলে বাক্স নিয়ে….. ওরা ছিল দু-জন পুলিশ সমেত আট-জন….. গ্রামে গনতন্ত্রের প্রতিফলন। নৌকা সারাদিন দুলেছে। অন্ধকার হাতড়ে হন্তদন্ত ছয়জন ফিরেছে……. বাক্সে রক্তের ছাপ…….. মাঝি!!

অন্তরীক্ষ

অন্তরীক্ষ -অনিমেষ সরকার     অদৃশ্য নির্মান থেকে উঠে আসে ছায়া ভান্ডার আঙুলে লেগে থাকে  কোমল প্রলেপ আমি জেগে থাকি তবু  বুঝতে পারি আমি মৃত আমি চোখ বন্ধ করে রয়েছি তবু শুনতে পাই তাদের ডাক আমি বেঁচে আছি আমি প্রবেশ করছি বৈদ্যুতিক চারদেওয়ালে সত্যি! তারা অপেক্ষা করছে আমি চিরজীবী হয়ে আছি তবু তারা মৃত ভাবছে

প্রতিধ্বনি

প্রতিধ্বনি -রাখী সর্দার     তোমার প্রতিধ্বনি’….. আছড়ে পড়ে বাঙালী মন ও মননের সুতীব্র দেওয়ালে। মাঝে মধ্যেই ঘুমিয়ে থাকা প্রাণে ধাক্কা মারে অস্থির ‘বলাকা’। গ্রীষ্মের গনগনে আঁচে পোড়া বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে শান্তির প্রলেপ লাগায় বিরহী যক্ষ। আজকাল বায়োস্কোপেও তোমার সৃষ্টির মন্হন বেশ অনুভব করা যায়। পৃথিবী কোনদিন চ্যাপ্টা হয়ে পড়লেও ‘তোমার প্রতিধ্বনি’ছড়িয়ে পড়বে দিকে দিকে

প্রেম কথা

প্রেম কথা -শিবানী গুপ্ত   বলছে সুজন,আয়লো সজনী নয়ন ভরে তোরে দেখি ওষ্ঠে এঁকে অনুরাগের পরশখানি সোহাগে ভরিয়ে রাখি শরমলালিমা সব ঝেড়ে ফেলে ছুটে আসে ত্বরা সজনী “ভালবাসি প্রিয়,ভালবাসি বলে বক্ষলগ্না কামিনী প্রেমের সায়রে যায় ভেসে দোঁহে মায়াময় এক অপরূপ মোহে প্রকৃতি সুন্দরী কান পেতে রাখে প্রেমের ধুন হৃদয়েতে মাখে

সংক্ষেপ

সংক্ষেপ -ছবি মাইতি     ধাপে ধাপে সব কিছু ছোট ছোট বনসাই স্বল্প পরিসরে অনুসংসার , টি টুয়েন্টি ,শর্টকাট রাস্তা । সাহিত্যে চাঁদ ডট কম — স্লিম কবিতা ,অনুগল্প ,উপন্যাসে- কুলকুচো করে ছায়া চাঁদের শীৎকার নিধুবন ।  তবু ও দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা — জীবন যৌবন স্বল্পতা না-পসন্দ বিগত যৌবন ।