-
বঙ্গ নারী
বঙ্গ নারী
-কল্যাণী ত্রিবেদীসাতদিনের কামাই, মায়া এলো নাতো কাজে
ভাবি নিশ্চিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে বাজে!
মায়ার সাথে মায়ার বরের হয়েছে মারামারি,
কোমড় ভেঙ্গে মাটিতে খায় গড়াগড়ি…
বরের সাথে মায়া করেছে আজ আড়ি,
ভাত দেবেনা ঠিক করেছে মুখ করেছে ভারী
আহাঃ বঙ্গ নারী!
বর বাবাজী পাছে ঘোরে ভাতটি খাবার লোভে
ছেলে মেয়ের ভীষণ শাসন,’ ভাত দেবে না ওকে,
মারের কথা কি তোমার মনে নেইকো মোটে?’
মায়ার মনে ভীষণ ব্যথা, চোখে আসে জল…
এমনি যদি হয় মানুষটা বাঁচবে কতকাল?
ভরসা করে মায়াদেবী ভাত বেড়ে দেয় তাকে
ছেলে মেয়ের ভয়ে মায়া মুখ লুকিয়ে রাখে,
আমায় এসে কেঁদে বলে ‘আমি কি যে করি?’
আমি হাসি, হেসে বলি ‘ঠিক করেছিস’
ওহেঃ বঙ্গ নারী। -
খেলার পুতুল
খেলার পুতুল
-কল্যাণী ত্রিবেদী
খেলতে গিয়ে খেলার ছলে
খেলার পুতুল নিলে কেড়ে
কেমন করে খেলবো আমি
তাও দিলে না বলে আমায়
তাও দিলে না বলেসামনে দেখি দুর্গম পথ
চলতেই নাকি হবে;
কেমন করে চলবো আমি
সঙ্গী পুতুল ছেড়ে…
তাও দিলে না বলেদিন পরে দিন চলে যায়
নানান কোলাহলে…
দুঃখগুলি হতাশায় মুড়ে
লুকায় অন্তরালে.
এমনি করে কতোটা পথ
চলতে হবে মোরে?
তাও দিলে না বলে!
সকল আজ ত্যাগ দিয়েছি
সব বাঁধন ভুলে….
একলাই পথ চলবো আমি
তোমায় সঙ্গী পেলে
কেমন করে পাবো তোমায়
তাও দিলে না বলে
আমায় তাও দিলে না বলে!! -
জীবনের প্রহসন
জীবনের প্রহসন
-কল্যাণী ত্রিবেদী
আমি এক ঈশ্বরের সন্তান
কিন্তু কি আশ্চর্য্য, ঈশ্বরের কোনো ও
শক্তি ই নেই আমার! আমি এক দুর্ভাগা অসহায় সন্তান।জন্মদাতা পিতা মাতার করতে পারিনি
কোনো উপকার। সতী সাবিত্রী পতিব্রতা নারী-
মৃত্যুর হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাবার,শত সাধনেও
পাইনি কোনো উপাচার।স্নেহশীলা আদর্শ জননী আমি,
সন্তানের জন্ম দিতে পারি, কালের হাত থেকে
রক্ষা করার কোনো শক্তি নেই আমার। মাতৃত্বের মিথ্যা
অহংকারে গর্বিত আমি।আমি এ কোন ঈশ্বরের সন্তান?
প্রহসনের জন্ম নিয়ে বেঁচে থাকার প্রয়াস!
তিল তিল করে গড়ে তুলি যন্ত্রণার ইতিহাস।