-
কবিতা- তুমি কি বোঝোনা
তুমি কি বোঝোনা
-গৌতম কুমার রায়তুমি বোঝো আর নাই বোঝ
আমি নীরবে ভালোবেসে যাবো
সূর্যের মতো আমার ভালোবাসা
যতই মেঘে ঢাকুক না কেন
আবার সূর্য হাসবেই।এত ভালবাসি যারে মাঝে মাঝে সে
এমন সব কথা বলে বসে
ভাবি সে কি আমার ভালোবাসা!
জানিনা সে আমায় কি ভাবে
তবে আমি তো তারে ভালবেসেছি হৃদয় থেকে।মোর যত ভালোবাসা ছিল
উজাড় করে দিয়েছি তারে
সে কি বুঝতে পারে না একবারও?
ভালোবাসলে ব্যাথা দিয়ে যায় বুকে।
নীরবে সহ্য করে যেতে হয় আঘাত
এ আঘাত বোঝাই কি করে। -
কবিতা- আমার চোখে জীবনানন্দ
আমার চোখে জীবনানন্দ
-গৌতম কুমার রায়জীবনানন্দ প্রকৃতির কবি
এঁকেছেন প্রকৃতির ছবি।
রূপসী বাংলার কবি
এঁকেছেন প্রেমের ছবি।কবি প্রকৃতি প্রেমী
গ্রামবাংলার রূপে মরমী।
কতো পাখির ঠিকানা
জীবনানন্দের কবিতায় আস্তানা।এঁকেছেন গ্রামবাংলার ছবি
প্রকৃতিতে খুঁজেছেন কবি।
পাখির ঠিকানা নীড়ে
সেই ধানসিঁড়িটির তীরে।শঙ্খচিল শালিখের বেশে
কবি ফিরবেন দেশে
কাঁঠাল গাছের ছায়ায়
প্রাণ জুড়াবে হাওয়ায়।কলমি শাকের ঘ্রাণ
জুড়ায় কবির প্রাণ।
রূপসার ঘোলা জলে
কতো ছেলেমেয়ে খেলে।বাংলার মাঠখেত নদী
ফিরে পায় যদি।
হবে মনোবাসনা পূর্ণ
কতো দিনের স্বপ্ন।কিশোরী ঘুঙুর পায়
খুশির জোয়ারে লাফায়।
কি অপূর্ব বর্ণন
কবি জীবনানন্দের দর্শন। -
কবিতা- সময় পেলে
সময় পেলে
-গৌতম কুমার রায়সময় পেলে দেখে যেও এই মোর কামনা
ভুলে গেছো আমায়, মনে কি আর পড়ে না।
তোমার রূপ, হরিণ চোখ করেছিল আমায় হরণ।
সময় সব পাল্টে দেয় তুমি তার উদাহরণ।কতো সময় কাটাতে তুমি আমার সাথে একলা
তোমার আকাশ নীল পরী আমার আকাশ মেঘলা।
সময় সময় ভাবি বসে সময় আর কাটে না
একলা ফেলে গেলে চলে প্রাণটা কি ফাটে না।সময় যদি সাথ না দেয় দোষ বলো কার
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছি বার বার।
সময় হলে ফুটবে ফুল ভ্রমর খাবে মধু
সব ফুল পায় না ঠাঁই মায়ের চরণে শুধু।সময় হলে নামবে বৃষ্টি ফসলে মাঠ ভরবে
চাষীর ঘরে নবান্ন উৎসব খুশিতে মেতে উঠবে।
সময় হলে বিয়ের ফুল ফুটবে দেখো ঠিক
রঙিন প্রজাপতি বসবে গায় টিকটিকি করবে টিকটিক।ঘড়ির কাঁটা করে টিকটিক সময় দেয় সঠিক
আপন মনে ঘুরে চলে তাকায়না কোনো দিক।
প্রাণ দিয়ে বেসেছিলাম ভালো সইলো না তা কপালে
অর্থের মোহ পারলে না ছাড়তে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটালে।ভাগ্যের দোষ কি বলো সময় খারাপ হলে
সময় থাকতে বুঝলে না মর্ম বুঝলে চোর পালালে।
সময় হলে সব পাবে হবে না কোনো কমতি
ধৈর্য ধরে কর্ম করো সময়ের হবেই সুমতি।ভাগ্য বলে হয় না কিছু সবই কর্মফল
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চললে পাবে ফল।
তোমার আশায় আজও বসে পথের পানে চেয়ে
তোমার কথা ভেবে জল পড়ে চোখ বেয়ে।আশা ছিল তোমার পাশে থাকবো মনের উল্লাসে
সেই আশায় ছাই দিল ঢেলে ভাগ্যের পরিহাসে।
আশা ছিল তোকে নিয়ে বাঁধবো সুখের ঘর
সেই আশাতে ছাই দিয়ে করলি আমায় পর। -
কবিতা- খোকা বড্ড ভুলে যায়
খোকা বড্ড ভুলে যায়
-গৌতম কুমার রায়ছোটোবেলা থেকেই আমার ছেলে
বড্ড ভুলে যায়
পারতো না সে একা খেতে
ধূলাতে লুটায়।খোকার ভারি রাগ ছিল
করতো শুধু জেদ
আমার খোকা বিদেশ থাকে
নেই তো কোনো খেদ।চোখের আড়াল হলে পড়ে
খুঁজতো শত বার
কাঁদতে কাঁদতে হতো লাল
সেদিন মুখ ভার।এখন খোকার খোকা হয়েছে
সারাদিন খুব ব্যস্ত
এপার ওপার যায় না দেখা
আছে সবাই মস্ত।ছোটোবেলা থেকেই আমার ছেলে
বড্ড ভুলে যায়
ফ্ল্যাট নিয়েছে মস্ত বড়ো সেথায়
মায়ের কোনো ঘর নাই।
খোকা আমার বড্ড ভুলে যায়। -
কবিতা- মনুষত্বই আসল ধর্ম
মনুষত্বই আসল ধর্ম
-গৌতম কুমার রায়ধর্ম কি? ধর্মের সৃষ্টি কোথায় ও কবে?
শুধাও যদি শুধি জনে তোমরা সবে।
কেউ বলবে অমুক সালে, কেউ বলবে জানিনা
হিন্দু মুসলিম শিখ ইসাই আর কতো কি বলোনা।মানুষে মানুষে ভেদাভেদ আর কতকাল চলবে!
ধর্মে ধর্মে হানাহানি মারামারি আর কতদিন করবে?
মারামারি হানাহানি করে কে বা কবে জিতেছে?
মানুষে মানুষে ভালোবাসাবাসির জয় রচিছে।মানুষের মধ্যে যদি মনুষত্বই না জাগে
তবে মানব জনম কিসের লাগে।
মনুষত্বই আসল ধর্ম, হিন্দু মুসলিম একই বৃন্তে দুটি ফুল হয়ে ফুটুক
বেঁচে রবে তোমার কর্ম, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক।