গাছের মত– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় গাছ হ’বি তুই?লতায় ডালে সবুজ পাতায় ছড়িয়ে দেওয়া বৃক্ষযোগী।ছড়াবি তোর শিকড়বাকড় মাটির গভীর জলের ধারায়। গাছের মত প্রেমিক হ’বি?তোর ছায়াতেই চোখটি বুজে শান্ত হবো।রোদ ধরবি পাতায় পাতায়।বৃষ্টি ভিজে শুদ্ধ হবি।আমায়ও তোর সঙ্গে নিবি।ফুলের মত উঠবো ফুটে।মিষ্টি হাওয়ায় দুলে দুলে পড়বোনুয়ে তোরই পায়ে।মেঘে মেঘে ছায়ায় ছায়ায় কাটিয়ে দেবো বারোমাসই।।
গল্প-শেষ থেকে শুরু
শেষ থেকে শুরু-তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে রুটি তড়কা কিনে ফ্ল্যাটে ঢুকলো রাতুল। আজ খুব খিদে পেয়েছে ওর। ভাগ্যিস হোটেলগুলো খুলছে এই আনলক পিরিয়ডে, নয়তো বাড়ি ফিরে আবার খাবার গরম করে খেতে হতো। যদিও রোজই তাই করে কিন্তু আজ খুব ক্লান্ত লাগছে। ফিরেই স্নানঘরে ঢুকে শাওয়ারের তলায় ঠান্ডাজলে স্নান করে নিলে খানিক ফ্রেশ […]
কবিতা- স্বপ্নে বাঁধে
স্বপ্নে বাঁধে– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় শান্ত নদীর তীরে তখন হাসনুহানা গন্ধে ঢাকে।আমি জানি, স্বপ্নগুলো সেথায় রাখা থাকে। নীল আকাশের মেঘগুলো সব স্বপ্ন দেখায়,উড়ে যাওয়া প্রজাপতির রঙীন পাখায়। সূর্যডোবা কনে দেখা হলুদ আলো,ঝিরঝিরে ওই মিঠে বাতাস লাগে ভালো। বসন্ত ওই কৃষ্ণচূড়ার আগুন ছোঁয়া।মনটা তখন ভালোবাসায় শিশির ধোয়া। সবাই ওরা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়।দু’টি চোখে মায়ার […]
গল্প- হারিয়ে খুঁজি
অণুগল্প- ভুল
ভুল– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসের একটা কাজের ব্যাপারেই প্রথম ফোনে যোগাযোগ ওর সাথে। ফোনের সেই মিষ্টি গলাটা শুনতে শুনতে কখন যেন মনের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলো। কারণে অকারণে কাজের অছিলায় ফোন করতে শুরু করলাম। ও হয়তো বুঝতো কিন্তু আমি ভাবতাম হয়তো বোঝেনি। তারপর সেই ফোনালাপ পেরিয়ে দেখা হলো একদিন। কবেকার সে’সব কথা- আমার অফিস […]
কবিতা- চলো ফিরে যাই
চলো ফিরে যাই– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় চলো ফিরে যাই সেইখানে।যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো।আসাটা যেমন সত্য,যাওয়াটাও সত্যি ভীষণ।কেন মিছে মায়ার পড়তে জড়ালে নিজেকে?মায়া, মোহ সব মিছে।মূল্যহীন যা করেছো সঞ্চয় এতদিন।তার চেয়ে চলো ওই খোলা আকাশের নীচে,সবুজ ঘাসের গালিচায়।পাশে এসে বোসো, হাত দুটি ধরো।এইটুকু সঞ্চয়–কিছুটা সময় অক্ষয় হয়ে থেকে যাবে। কিছুই থাকে না জানো, কিছুই থাকে […]
কবিতা- তেমনই আছি
তেমনই আছি– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় আমি এখনো যেমন ছিলাম তেমনই আছি, জানো?এখনো একটু অভিমানে চোখ ছলচ্ছল জল।যদিও অভিমানের কে আর তেমন দাম দেয় বলো?তবুও আমি কাঁদি।একটু খুশীর ছোঁওয়ায় কিন্তু রোদ ঝলমল হাসি।ভুল বুঝোনা- এখনো আমি কম কথাই ব’লি।চুপচাপ থাকাই আমার স্বভাব।কথা বলতে গিয়ে এখনো হই থতমত।সাবধানী হই, কথা দিয়ে কাউকে আবার দুঃখ দিলাম না’তো!সবুজ […]
কবিতা- জীবন মানে
জীবন মানে– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় জীবন মানে ওঠাপড়া, জীবন মানে ছোটা।জীবন মানে ভালোবাসা, প্রেমের ফুল ফোটা। জীবন মানে কাজের হিসেব, দায়িত্বের চাপ।জীবন মানে ভুলের পাহাড়, নেই কোন তার মাপ। জীবন মানে হিংসা-বিবাদ, লোভের হাতছানি।জীবন মানে বন্ধুতার, বাড়ানো হাতখানি। জীবন মানে অনেককিছু,জীবন মানে বাঁচা।জীবন মানে স্বাধীনতা, খোলা মনের খাঁচা। জীবন মানে রৌদ্রছায়া, জ্যোৎস্না মাখা আলো।জীবন […]
কবিতা- বন্ধু হ’বি চল
বন্ধু হ’বি চল– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় আমি একটু দূরে দূরেই থাকি।লাজুক গাছের ছায়ায় ছায়ায় মন।দূরের থেকেই দেখি আসা-যাওয়া।দূরের থেকেই “বন্ধু” অনুক্ষণ । নীরবতার ভাষাই আমার প্রিয়।শব্দ আঘাত এড়িয়ে আমি চলি।নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া।নিজের সাথেই নিজে কথা বলি। অবহেলে এড়িয়ে যাবো তোকে।এমন মনের জোর তো আমার নেই।ছুঁয়ে দিলাম দূরের তরঙ্গ।আমার কাছে পৌঁছে গেলো যেই। বন্ধুর […]
কবিতা- চলো ভুলে যাই সবকিছু
চলো ভুলে যাই সবকিছু– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় চলো ভুলে যাই সবকিছু।বেকারত্বের জ্বালা, বঞ্চনা-শোষণের মুখ,লাঞ্ছিতের কান্না,মৃত মানুষের লাশ,মায়ের পাষাণ বুক, নারীর চোখের জল।শিশুদের ক্রন্দন।এসো সব ভুলে যাই।প্রয়োজন নেই মনের মধ্যে কোন প্রশ্ন তোলার।তার থেকে এসো বুক ভরে বিষ নিঃশ্বাসেভরে নিই নিজের নিজেকে।মনুষ্যত্ব ভুলে হিংসার চোখে দেখি সবকিছু।আগুন পুড়িয়ে দিক চোখের সাহারা।বিষের দহনে জ্বলুক আত্মার প্রাণ।যদি […]