• অণু কবিতা

    অণু কবিতা- আয়না

    আয়না (Mirror)
    -দেসা মিশ্র

     

     

    গোলাপি বকদের দেখে
    তৃষ্ণা লুকিয়ে
    লাল করলাম ঠোঁট…

    আশেপাশে
    মানুষের মেলা
    হেঁটে গেলাম…

    কোথাও আয়না পেলাম না
    তবে
    কেন এ ভিড়!

    কিছু কথা
    ক্ষতের জন্ম দেয়
    তাদের
    মৃত্যু কামনা করলেও
    আয়না আবশ্যক।

    তাতে মেঘ-অতীত ঢাললে
    পুনরায়
    টলটলে জল হওয়া যায়।

  • কবিতা

    কবিতা- মাটির খোঁজে..

    মাটির খোঁজে…
    – দেসা মিশ্র

     

     

    মনের তাকগুলো পূর্ণ জমা খরচের হিসেবে,
    এখন আর ঘুম আসে না,

    হিংসে হয় যখন জানলা দিয়ে চোখ চলে যায়….
    কি নিশ্চিন্তে নারকেল পাতাগুলো ঘুমিয়ে পড়ে ওই চাঁদের বুকে।

    নতুন পথে পাথর অনেক বেশি,
    আমি মাটি খুঁজি শিকড় ছড়াবো বলে।

    ব্যর্থ দিনের ওষুধ হয়তো নীল ভেজা আকাশ…

    তবু সেই মস্ত চোর এসে ফিকে করে দেয় গল্পের পাতা।

    ঘন আঁধার – ঝিনুক,
    সব দাহ জুড়িয়ে যায় সবুজ কবিতা জন্ম নিলে।

    বন্ধ ঘর খুলে.. আলো আসে
    বাতাসও,
    মাটিতে শিকড় ছড়ায়…
    তোমরা দেখবে বলে,
    হাসবে বলে,
    ভালোবাসাবে বলে।

  • অণু কবিতা

    অণু কবিতা- জীবন যাদু

    জীবন যাদু
    – দেসা মিশ্র

     

     

    আকাশের গায়ে কালো ধোঁয়ার মত হাত যেন ছুটে আসে ফুলেদের দিকে,
    নিঃশ্বাস বন্ধ হয়।
    আগুনের রঙ আরো হিংস্র হয়ে পুড়িয়ে দেয় স্বপ্ন, – আগামীর ভোর।
    ঘুম ভেঙে শিশু দেখে আঁচলহীন জীবন।
    ঘাসের রঙ পাল্টে লাল।

    জীবনের চেয়ে বড় মঞ্চ নেই… যাদুর
    মেলায় ঘুরছি হর রোজ।
    দিনের শুরুতে আমরা সবাই রাজা দিন শেষে নিখুঁত ভিক্ষুক।

  • কবিতা

    কবিতা- মহা তেজা

    মহা তেজা
    – দেসা মিশ্র

     

     

    আজকে হাওয়ায় শিউলি গান,
    নেচে ওঠে আনন্দে প্রাণ –
    মা গো তোমার আলো দিয়ে মুছে দাও সব কালো,
    কর জোরে করছি আহ্বান।।

    ওই যেখানে শূন্য হাঁড়ি
    শুন্য বুক, ছেঁড়া স্বপ্নের জামা…
    ওই যেখানে নেই কোনো সুখ
    হাজার অসুখ – বন্ধ জানালা,
    তুমি এসে ছুঁয়ে দাও আঙুল,
    রঙে রঙে হোক রঙিন…
    তুমি এসে মাগো আলো ঢেলে দাও,
    আসুক খুশির দিন।

    ভয়ে ভয়ে আজ ভীত চারিদিকে,
    তোমার সন্তান যতো….
    ফিরিয়ে দাও হাসি মুখ সব
    ঠিক আগের ই মতো।

    আর কতো দিন ধুসর কুড়াব?
    জমাব চিঠি মনের?
    এসেছে বার্তা পদ্ম কাশে,
    তোমার আগমনের।

    রঙে রূপে মাগো তুমি তো আলো,
    তুমি অন্ন দাতা,
    আবারো এসে বধ করো অসুর,
    হে পরিত্রাতা।

  • কবিতা

    কবিতা- নিখুঁত স্পর্শ

    নিখুঁত স্পর্শ
    – দেসা মিশ্র

     

     

    রাত হেঁটে যায় রুম ঝুম ঝুম নূপুর পরে,
    তারার চিঠি হেসে ওঠে উঠোন জুড়ে।

    একলা মেয়ে শান্ত মনে, শূন্য মাপে
    বুকের বামে এলো চুল আগলে রাখে।

    যে হাতটা করতো আদর ঢাকতো চাদর ঘুমের ঘরে,
    নোনা জলের ওজন ভারী
    সেই হাতটা অনেক দূরে।

    মা গো তুমি সূর্য চাঁদে প্রতিটি দিন এসো,
    ওই আঁচলের গন্ধ মেখে অনেক ভালোবেসো।

    কে বলেছে নেই তুমি নেই?
    আমি বড্ড একা।
    বই এর পাতার শব্দ সেজে দাও যে তুমি দেখা।

    খেলার সাথী রেগে গেলে,
    এসে গুটি ধরো,
    আমায় তুমি জিতিয়ে মাগো ইচ্ছে করে হারো।

    যেই না ফোটে গোলাপ চাঁপা কিংবা তরুলতা,,
    গল্প গানে ভুলিয়ে দাও আমার নীরবতা।

    বেশ তো আমার দিন কেটে যায়, রাত নেমে যায় চোখে,
    তুমি এসে স্বপ্নে আমার
    চুমু দাও এই মুখে।

  • কবিতা

    কবিতা- হারবে অসুখ

    হারবে অসুখ

    -দেসা মিশ্র 

     

     

    চিঠির পাহাড় জমতে থাকে,
    সময় কে ও..  সাক্ষী রাখে,,
    তোর বাগানে ফুটল না ফুল ,
    ভাঙল না ভুল,  এই অবেলায়।

    সোজা পথ তোর অচেনা,
    আমি ও বেশ অসহায়
    এবারে বল তো দেখি
    ভুলাব কোন ছলনায়?

    ভাবি বেশ দূরে যাব
    তবু ও কাছে আসি,
    মনে হয় রাগ দেখাব
    তবু ও ভালোবাসি ।
    মনের ও লুকোচুরি

    কঠিন কাঁদা  – লাজুক হাসি।

    এবারে শেষ কর না খেলা
    যতো সব  অবহেলা
    দে না ছুটি.. চল যাই
    নতুন রূপে কদম আমি,
    তুই দোপাটি…

    নে এবারে হাত ধরে নে
    নইলে হারিয়ে যাবি,,
    অনেকেই হাত বাড়াবে
    তুই কি ছায়া পাবি?

    নে দেখি  মেল তো ডানা
    মেঘে দের সঙ্গে যাবি,
    আকাশে খুশির চাবি..
    সহজেই মুক্তি পাবি।

    এখানে কেবল বাঁধন,
    মস্ত শিকল.. ফল বে না ফল।
    ক্ষয়বি মনে মনে,
    আপনজনেই করবে অচল।
    তার চেয়ে তারায় তারায়
    দল বেঁধে নিই,
    সুর সেধে নিই,
    জীবন সাজাই।

    পৃথিবীর মস্ত অসুখ,
    নষ্ট গাছে প্রেম বুলিয়ে
    ওষুধ ফলায়। 

  • গল্প

    গল্প- নীল পরী

    নীল পরী
    – দেসা মিশ্র

     

     

    -অনেক দিন তোর গান শুনিনি রে, আজ মনটা আমার ভালো নেই..শোনাবি আমায় গান করে?

    – আমারো মন ভালো নেই রে, কতদিন হল গিটারটা ছুঁয়েও দেখিনি মনে নেই, রঙ তুলি সব পড়ে আছে নিজেদের মতো আমার সাথে তাদের কথা নেই, যেন সব ফুরিয়ে গেছে।
    আগে একদিন না গান করলে না আঁকলে আমার মন অস্থির করত ঘুম আসত না।
    কিন্তু কি যে হলো?
    জানিনা কবে সব ঠিক হবে?

    -:আচ্ছা আজ সব মন খারাপগুলোকে সরিয়ে রাখা যায় না অনেক দূরে? আজ শুধু আমরা দু’জন সুখের গল্প করব আজ শুধু দু’জন পদ্ম পাতা হয়ে ভাসবো।

    – পরী, তুই সত্যি আমার জীবনের পরু। এক পৃথিবী ফুলের সৌরভ এনে দিয়েছিস তুই।
    তোর জাদু কাঠির ছোঁয়া পেয়ে আমার জীবনটা অনেক পাল্টে গেছে। আগে প্রচণ্ড বদ মেজাজ ছিলো আমার প্রতি দিন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতাম, মা বাবার কোনো কথাতেই কোনো ধ্যান ছিল না আমার শুধু একলা আকাশে কাগজ পাখি হয়ে অবাধ্য ছুট দিতাম। এখন যখন তোর ইশারাতে একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছিলাম টেবিলে সাজানো ফুল দানির মতো, রঙিন ঝাড়বাতির মতো, বাবা মায়ের সব কথা শুনতাম তাদের খেয়ালও রাখতাম ঠিক টাইমে বাড়ি ফিরে আসতাম রাগটাও কমিয়ে নিয়ে ছিলাম অনেক। জানিস ঠিক করেছিলাম আমাদের কথাটা তাদের এবার জানাবো আশীর্বাদ নেবো।
    কিন্তু – হঠাৎ সেদিন সন্ধ্যাতে কি নিয়ে যে ওদের তুমুল অশান্তি বেঁধে গেলো এরকম আমি এর আগে কোনো দিনও দেখিনি সেদিন থেকেই দু’জন দু’জনের সাথে কথা বলে না আর। বাড়ির পরিবেশটা পাল্টে গেলো।এখন বাড়িতে থাকতে খুব কষ্ট হয়, একটা ঘরে নিজেকে বন্ধ রাখি। সব শখ নিজে হাতে একটু একটু করে শেষ করতে বসেছি মনে হয় , কিছু ভালোই লাগে না আর। তাইতো এতো দিন পর আর না পেরে তোকে ডাকলাম নদীর ঘাটে।
    খুব ভালো করেছিস, আমি ও অনেক দিন ধরেই নানা চিন্তার জট পাকিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছিলাম।
    তোকে দেখা করার কথা বলবো ভেবেও বলতে পারি নি – তুই কি ভাববি সেই ভেবে।

    – পাগলি মেয়ে একটা, কেন খারাপ ভাববো?আচ্ছা এখন ছাড় সে সব কথা। আজকের সূর্যাস্তটা আমরা একসাথে দেখব আর প্রতিজ্ঞা করব জীবন পথের প্রতিটা অস্তেই আমরা একই ভাবে সাথে থাকবো আর দু’জন মিলে অপেক্ষা করব সুন্দর একটা সূর্যোদয়ের জন্য। কিন্তু কোনদিন একে অপরের হাত ছাড়ব না আর বিশ্বাসও হারাবো না।

    – একদম তাই হবে। অফুরন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসা দিয়ে আমরা একটা এমন বাসা বানাবো যাতে কোনো ঝড়ে আমাদের সে বাসা না ভাঙে। আর আমদের ভালোবাসা দিয়ে মা বাবাকেও আবার আগের মতই এক করে দেবো তারাও ‘লাভ বার্ড’ হবে কি বলিস?

    – একদম আমার মনের কথা, তুই আমার আয়না। তোর মাঝেই আমি আমাকে দেখতে পাই অধিক স্বচ্ছ। তুই আমার মনের অনেক ক্লান্তি বোঝা কষ্ট নামিয়ে দিলি তাই তো তোকে এতো ভালোবাসি নিজের চেয়েও বেশি।

    – শুধু কথায় ভোলালে হবে না নীল, এবার একটা উপহার চাই দেবে?

    -;কি চাই বল? আমার সব কিছু তো তোর, জীবনটাও! 

    – অনেক দিন তো গুমোট কালো মেঘ, এবার তো দহন মিটিয়ে বৃষ্টি হয়ে মনের ঠোঁট ছুঁয়ে দে…,
    একটা গান শোনা এবার…

    নীল গান ধরলো… “তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম”

    নীলের ঘাড়ে মাথা রেখে পরী শুয়ে রইলো। তারার স্রোতে তাদের গল্পগুলো জন্ম দিলো এক পৃথিবী সুখ আলোর।
    চাঁদের গলে গলে পড়লো নদীর বুকে তাদের পায়ে নরম আদর বুলিয়ে দিলো।


    সমাপ্ত

  • কবিতা

    কবিতা- প্রেমের চিঠি

    প্রেমের চিঠি
    – দেসা মিশ্র

     

     

    বেশি তো কিছু চাই নি, চেয়েছিলাম দু’জনে এক সাথে গান শুনবো রাত জেগে কিম্বা আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে তারাদের উষ্ণতা মাপবো। ঘুম না আসা রাতে কিছু গল্প বুনবে তার ঠোঁট –

    আমি জড়িয়ে নেবো ঘুম চাদর তার শব্দে শব্দে।
    তুমি বড্ড বেশি চাও বুঝলে? …. আয়নার ওপার থেকে আওয়াজ এলো,
    আমি সোজা হয়ে মন দিলাম,
    অগোছালো চুল চোখের নিচে কালি
    চোখে স্বপ্নের হাজার হাজার লাশ
    আমি তবু দাঁড়িয়ে?
    এত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে?
    ও পার থেকে আওয়াজ এলো…
    এতো সুখ চাস তুই?
    তোর এত সাধ?
    কেন রে মেয়ে কেন?
    ভালোবাসা কি এতই সস্তা তোর মত এত সামান্য রূপ রঙ বুদ্ধিহীন মেয়েও পাবে?

    ও তাই বুঝি? শুনে কাঁদতে লাগলাম আমি।
    সে আবার চিৎকার করে বললো নিজেকে ভালোবাসিস?
    বেসেছিস কোনো দিন??
    আমি নীরব হয়ে ভাঙতে শুরু করলাম দেখলাম পা দুটো টলমল করছে অবশ হয়ে আসছে।
    সে আবার বললো জীবনটাকে ভালোবেসে দেখ একবার, দেখ একবার পৃথিবী পানে চেয়ে,
    ওই যে শালুক ফুটে, দে তো খোঁপাতে গুঁজে,
    মেঘের কাজল পর, বৃষ্টি গায়ে মাখ…
    চুড়ির শব্দে শব্দ আসবে – কবিতা লেখ।
    সূর্য তোর কপালে আঁকছে টিপ – তাকে হৃদয় ছুঁতে দে।
    আলো ভরে যাক অঙ্গ জুড়ে
    এবার হাস তো দেখি নদী সেজে….
    প্রকৃতি তোর আসল প্রেমিক তুইও নিখুঁত প্রেমিকা।
    আমি চোখ মেলে দেখি আমার দু’ চোখের মাঝে সূর্য, আমার একদিকে সবুজ, ফুল ফল মায়া প্রেম, অন্য দিকে বিশ্বাস নদী পাহাড় সমুদ্র।
    আয়নার ওপার থেকে আওয়াজ এলো আবারো- কি রে মেয়ে কেমন আছিস?
    আমি চিৎকার করে উঠলাম বললাম, আমি বুঝেছি আমি বুঝেছি তুমি ফিরে যাও।
    চিৎকার করে বললাম আমার মতো সুখী কে আছে?
    কেউ নেই, কেউ নেই।
    চোখের ভেতর কার স্বপ্নের লাশগুলো প্রাণ পেয়ে রঙ ধনু মেখেছে সারা গায়ে।
    আজ উৎসব তাদের।

    আয়নার সামনে সেই অগোছালো চুলের মেয়েটি সোজা হয়ে দাঁড়ালো মাথা উঁচু করে…
    দরজা খুলে খোলা মাঠের দিকে ছুটে গেলো – ছুটে গেল,
    আকাশের দিকে ছুড়ে দিলো তার মন কবিতাদের জিজ্ঞেস করলো- ভালোবাসো? আমায় ভালোবাসো? ।
    সঙ্গে সঙ্গে শীতল বৃষ্টি নামলো ফুলের সুবাস মেখে ।
    মেখে নিল সারা গায়ে, এক একটা ফোঁটা থেকে সুর গান কবিতারা জন্ম নিলো,
    মেয়েটি বুঝে নিল উত্তর এসেছে, এসেছে… প্রেমের চিঠি।
    চুল ঠোঁট হৃদয় থেকে সেই মাটি অব্দি যেখানে আমার পা নরম ঘাসে অঙ্গ অঙ্গ জুড়ে আঁকা আছে আলো শুধু আলো, বিন্দু বিন্দুতে লেখা আছে ভালোবাসি ভালোবাসি।

  • কবিতা

    কবিতা- আলোর গান

    আলোর গান
    – দেসা মিশ্র

     

     

    পাতায় পাতায় জমেছে অসুখ,
    ঝড়ে গেছে সবুজ স্মৃতি – শুকনো পাতা ঝরার দেশ।
    মন খারাপের গান লেখে যায় জোনাকি,
    তবুও শূন্যের দিকে চেয়ে হাতড়ে বেড়ায় গাঢ় নীল।
    কবি তুমি বসে সাদা পৃষ্ঠার সামনে,
    তোমার কলমের ওষ্ঠ শুষ্ক।
    তোমার চোখে অলোকানন্দা।
    তোমার জীবনে ঝড়।
    সাদা পাতা জুড়ে অবশ আঙুল, অথচ চোখের জল এঁকে চলেছ পৃথিবীর আগুন যন্ত্রণা।
    তুমি অন্ধ হতে চাইলে…
    দশ দিকে হাহাকার অসহ্য চিৎকার মৃত্যুর – তুমি বধির হতে চাইলে।
    আঁধারে পথ হারিয়ে যখন মৃত্যু চাইলে,
    এমন সময় বিধাতা পুরুষ দু’ হাত ভরে ঢেলে দিলো অসংখ্য ফুলের বীজ,
    সাদা পাতা সবুজ হল বীজ জন্ম দিল গাছ, চারি দিকে ফুলের প্রেম।
    মিষ্টি ফল তোমার ক্ষুধা তৃষ্ণা মিটিয়ে দিলো।
    তুমি নিখুঁত পুরুষ – প্রেমিক হলে আবার,
    তোমার দু’ হাত জুড়ে শব্দ এলো এক আকাশ,
    শব্দেরা মিলে মিশে একাকার- পৃথিবীর হৃদয় ভরে গেলো কবিতায়,
    ছন্দে ছন্দে -নদী মাঠ পথ ঘাট, গাছের পাতায় আলো কেবলই আলো,
    নতুন সূর্যে পুড়ে গেছে অভিশাপ।
    আজ শুধু মুক্তি প্রাণে অপ্রাণে।
    আজ অশেষ বসন্ত আলোর গানে।

  • কবিতা

    কবিতা- নীল চুমে যায়

    নীল চুমে যায়
    – দেসা মিশ্র

     

     

    দীঘির পার শ্যওলা জমে – গল্পের ঘুম,
    তবু স্রোত ভালোবাসি- রংধনু রং তরী হয়ে ছোটে, – জাল বোনে আগামীর।
    ছোট্ট বাসা প্রকৃতি আর পুরুষ – গান কথা কবিতা আর প্রেম।
    সৃষ্টি সাজবে নতুন আলোয়।
    আঁধারে লুকিয়ে মৃত্যু – হয়তো ভয়ে ভীত,
    প্রতিজ্ঞা এক নতুন ভোরের।
    শব্দের সিঁড়ি ঘাস ফুল থেকে তারা দের ঠোঁটে।
    আমি ছুঁয়ে যাই নীল – চুমে যাই আবারো আবারো।

You cannot copy content of this page