• কবিতা

    দায়িত্ব কর্তব্য

    দায়িত্ব কর্তব্য
    -প্রতিভা দে

    দায়িত্ব সাথে কর্তব্য কথাটা জুড়ে যায়।
    দায়িত্ব কথা টা বোঝায় কোন কাজের ভার নেওয়া
    দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা বলতে
    কোন কাজ বিশেষ যত্ন নিয়ে করা।
    মায়ের দায়িত্ব সংসার চালনা
    বাবার দায়িত্ব রোজগার ,ছেলে মেয়েদের প্রতিষ্টা করা ঠিক দিশা দেখানো।
    দায়িত্ব আসলে কর্তব্য আসে।
    আবার কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্ব না থকলে ও কর্তব্য থেকে যায়
    যেমন আত্মীয় দের প্রতি
    দায়িত্ব না থাকলেও অতিথি
    হিসাবে আসলে কর্তব্য থাকে।
    স্কুলে শিক্ষক দের দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে।
    কোথাও কোন প্রতিষ্ঠান তাদের
    দায়িত্ব কর্তব্য থাকে যেমন তাদের লক্ষ্য।
    দায়িত্ব কর্তব্য ঠিক মত না করলে
    কোন কাজ সুফল দিতে পারে।
    সকল কাজেই দায়িত্ব বোধ
    থাকলেই কর্তব্য ও ঠিক ভাবে করা যায়।
    সমাজের প্রতি ,দেশের প্রতি প্রত্যেকের কর্তব্য রয়েগেছে।
    যদিও সবাই দায়িত্ব নিতে পারে না।

  • কবিতা

    কলম সৈনিক

    কলম সৈনিক
    -প্রতিভা দে

    কলম সৈনিক বটে
    ঢাল তলোয়ার ছাড়া
    তবুও কলম করতে পারে
    হাজার লোকের জ্ঞান হারা।
    মস্তিষ্কে চালায় আঘাত
    অনেকেরই ঘটায় ঘুমের ব্যাঘাত।
    নিঃশব্দ গুলি চালায় অন্তরে
    অনেকটাই গোল পাকিয়ে দেয় মন্তরে।
    যা গেল তা অভ্যন্তরে
    কাজটা বড়ই গোপন স্তরের।
    জেগে উঠে মানুষ স্থির জেনে
    অন্তরে তা নেয় মেনে।
    সেই অস্ত্রের এমন আঘাত
    রক্ত ঝরেনা
    শক্ত হয় আরো অন্তরে
    বরং মরতে পারে অন্যের কাছে
    সত্যকে নিয়ে ঢাল
    জ্বালিয়ে নিয়ে বুকে মশাল।
    মৃত্যু বরণ করে ।

  • কবিতা

    পথভ্রান্ত মেঘ

    পথভ্রান্ত মেঘ
    -প্রতিভা দে

    মেঘমালারা হারিয়ে ফেলেছে দিক
    ঘুরছে পথভ্রান্ত হয়ে,  মিলেছে না পথ ঠিক
    কোথাও একটু দাঁড়িয়ে আবার কোথাও ঘুরপাক খেয়ে
    ছুটছে কোথায় ও পথ পেয়েছে বলে।
    তাদের কোন দিন রাত নাই
    তারা সকল অবস্থায় সমান তাই
    অন্ধকারে বিদ্যুৎ আছে সঙ্গী
    তাদেরই সমান সুযোগ সুবিধা
    উড়ে চলে বাঁধাহীন পথে দিকবিদিক।
    তপ্ত সূর্য্য যখন করে নাজেহাল
    সেই দিকে ধায় আর্ত কন্ঠ শুনি
    শ্রাবণ ধারায় ঢেলে করুণ অরুণকে শান্ত করে।
    এ খেলা আছে বলে পৃথিবী বেঁচে আছে রে।

  • কবিতা

    সৃষ্টি আমার বদ্ধ পাগল

    সৃষ্টি আমার বদ্ধ পাগল
    -প্রতিভা ময়ী দে

     

    সৃষ্টি আমার বদ্ধ পাগল
    বৃষ্টি করে অজান্তেই
    কৃষ্টি রেখে আপন মহিমার
    দৃষ্টি রাখে সৃজনের।
    মিষ্টি মধুর সময়গুলো
    হয়ে যায় সময়ে মন ভুলো
    তবুও যেন সে গুলোর
    রেখে যায় ধুলো।
    কখনও ঝড়,কখনও বাদল
    পরিবর্তনশীল আদল।
    ঘুরে ফিরে সৃষ্টিরা সব
    নৃত্য করে অবিরল।
    সেই শূণ্য মিলিয়ে সৃষ্টি
    এনে দেয় নিত্য নূতন কৃষ্টি,
    ধরা সুন্দর হয় সেই অপরূপ
    দেখে মন অবাক, চুপ
    শুধু অবলোকন হয়ে বিহ্বল
    নিয়ে যাও শুধু অনুভব
    এই সত্যে না হয়ে বিব্রত
    সঙ্গী হয়ে যাও নিয়ত
    এই তো কাব্য হয়েছে তৈরী সর্বত্র
    তাইতে ডুবে আছি আমরা যত।

  • কবিতা

    কবি হতে চাই না

    কবি হতে চাই না
    -প্রতিভা দে

     

     

    কবি হতে চাইনা আমি অনেকেই কবি বলে
    যে সব কথা লিখি উপলব্ধি থেকে
    একটার পর একটা মিলে মিলে বেরিয়ে আসে।
    সবাই কবি সবাই লেখক সবার ই ভালো মন্দের অনুভূতি আছে
    একটু খানি হিংসুটে ভাব আর পরশ্রীকাতরতা ছাড়লেই নিজেকে দেখা যায়

    সবার মাঝে আমি আর আমার মাঝে সবাই
    এ পৃথিবীতে কেউ একা আসি নাই
    সবারে নিয়া শক্তি তাহাতে আসে ভক্তি
    ভক্তিতে ভগবান ,যুক্ত শক্তি ই প্রকৃত শক্তি তাহাই মহাপ্রকৃতির শক্তি ,গ্রহ নক্ষত্র সূর্য্য মহাকাশ
    কে পায় তার সন্ধান
    মানুষ এত ক্ষুদ্র হয়েও করে কত যত উৎপাত
    তাই ত ভুগছে দিন রাত
    শান্তি নাই পৃথিবীতে,মানুষ মানুষেরে
    করে উৎখাত।
    ভালো যদি হত সমস্যা মিটত
    লাগতো না কোন অস্র শস্র
    সবাই সবার ভালোবাসা ভরা গৃহে থাকত সুখে
    এ কল্পনা নয় যদিও সম্ভব
    কারন মানুষ হতে পারে নাই।
    নাই মান নাই হুস।

  • কবিতা

    কেন মেঘ গুলো সব আকাশ ধায়

    কেন মেঘ গুলো সব আকাশ ধায়
    প্রতিভা ময়ী দে

     

    মেঘ গুলো সব আকাশ পানে ধায় কেন ভাই বলতে পার?
    আকাশ কেন বুক পেতে রয় হেন।
    সূয্যি কেন চলতে চলতে হয়না দিগ ভ্রান্ত!
    পৃথ্থ্বী কেন পাঁক খেতেখেতে
    হয়না একে বারে ক্লান্ত।
    নদী গুলী চলার পথে হয়ে যায় দূরন্ত
    সাগর কেন ঢেউ গুলো সব ঠেলে দেয় যা বাড়ন্ত।
    বৃষ্টি হলে গড়িয়ে যায় নিচুর দিকে
    উঠতে পারেনা আকাশ বেয়ে তাই সে গড়ন্ত
    গড়িয়ে গিয়ে ধরে ফেলে সাগরটাকে
    হয়ে দিকভ্রান্ত।
    পশু পাখি জন্ম নিলে হয় তারা জ্যান্ত
    অচেতনে ওরা আবার যখন তারা ঘুমন্ত।
    সত্যি কথা কেউ বলবে না যদি সঠিক জান্ত।
    ওরা জানে এ সব ছিল কাল আদি অন্ত।
    তখন নাকি সূর্য্য পৃথিবী দুই ছিল ফুটন্ত।
    অমোঘ নিয়ম কেউ জানেনা কখন শুরু হয়ে ছিল।
    কখন ই বা পৃথিবীটা মানুষ, পশু জল গাছ পালা নিয়ে এল।
    একে অপরের পরিপুরক কেমন নিয়ম করা।
    খিদে পেলে খেতে পাবে তৃষ্ঞাতে জল ধরা
    রোগের আবার ঔষধ দিল।
    নিয়ম করে বৃষ্টি,ভাবলে মনে হয়
    কে যেন আছে দিয়ে রেখেছে দৃষ্টি
    না হলে ত তলিয়ে যেত এমন অমোঘ সৃষ্টি।

You cannot copy content of this page