-
চাই বিপ্লব
চাই বিপ্লব
-শিবব্রত গুহগোটা পৃথিবী জুড়ে,
এখন চাই বিপ্লব,
এই পৃথিবীর এক শ্রেণীর মানুষ থাকবে সুখে,
আর এক শ্রেণীর মানুষ কষ্টে জীবন কাটাবে,
এর প্রতিবাদে চাই বিপ্লব।
ধনীদের সম্পদ বাড়ছে,
দিনকে দিন,
গরীব মানুষের পেটে নেই অন্ন,
নেই কাজ,
এর প্রতিবাদে চাই বিপ্লব।
অসহায় মানুষের ওপর সবল মানুষের অত্যাচার বাড়ছে আর বাড়ছে।
এভাবে পারে না চলতে সমাজ,
এর প্রতিবাদে চাই বিপ্লব।
সারা পৃথিবী আজ বেকার সমস্যায় ভুগছে,
চুরমার হয়ে যাচ্ছে বেকারদের আশা,
এর প্রতিবাদে চাই বিপ্লব।
নারীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচারের আজ নেই কোন শেষ,
এর প্রতিবাদে চাই বিপ্লব।
মানুষের বিবেক আজ মৃত,
তাকে জাগাতে চাই বিপ্লব।
সারা পৃথিবীর সব শোষিত, দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষ আজ এক হও, এক হও,
আর মুক্তকন্ঠে জোর গলায় বলো,
চাই বিপ্লব,
চাই বিপ্লব,
চাই, চাই, শুধু চাই বিপ্লব। -
“কবি কলম যেন না থামে”
“কবি কলম যেন না থামে”
-শিবব্রত গুহ
কবি কলম যেন না থামে,
কলম চলছে, কলম চলবে।
এই কলমের অগ্রগতি হয়েই চলেছে,
অনেক শক্তি চাইবে কলমকে থামাতে।
তুমি কিন্তু পাবে না ভয়,
শত অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে কলম শানিত তরবারির মত।
কবির কলম ভরসা দেবে গরিব অসহায় মানুষদেরকে।
কবির কলম তাদের মুখে জুগিয়ে দেবে প্রতিবাদের শব্দ।
কবির কলমের শক্তি প্রবল,
সে পারে সব অশুভ শক্তিকে তছনছ করে
সমাজের বুকে শুভশক্তির সঞ্চালন করতে।
কবির কলমের আঘাতে সমাজের খারাপ মানুষরা পালাবার পাবে না পথ।
কবির কলমের ধার তরবারির চেয়েও বেশি,
একথা কবি যেও না ভুলে।
কবি বিপদের সময় তুমি মনকে রাখবে শক্ত,
কবি কলমকে ভয় পেয়ে অনেকে বলবে কুকথা।
তুমি শুনবেনা তাদের কথা।
কবির কলম চলবে তার নিজের ছন্দে,
আজ যারা করছে নিন্দা কবির,
আগামিকাল সেই মুখে তারাই করবে স্তুতি।
তাই বলি কবির কলম যেন না থামে,
কবির কলম যেন না থামে,
কবির কলম যেন না থামে। -
“ঘুণ ধরেছে সমাজে”
“ঘুণ ধরেছে সমাজে”
-শিবব্রত গুহঘুণ ধরেছে সমাজে
এক এক করে খসে পড়ছে,
সব সামাজিক ভালো দিকগুলো।
মাঝে মাঝে মনে হয়,
এ কি সমাজে বাস করছি আমরা!
এখানে ভালোবাসা নেই,
আছে শুধু দ্বন্দ্ব আর অশান্তি।
ঘুণ ধরেছে আমাদের মানবিক বন্ধনে,
চেনা মানুষ বদলে, হয় অচেনা।
মানুষ আজ ঘুরছে মুখোশ পরে,
মনের সাথে মনের আজ নেই মিল।
আজ মানুষ এর বিচার হয় সম্পদের মাপকাঠিতে।
এই দুনিয়াতে দাম নেই মানুষ এর।
দাম আছে শুধু সম্পদের।
ঘুণ ধরেছে সমাজের প্রতি মানুষের মানসিকতায়।
মানুষ আজ কি চায় তা কি সে আসলে জানে?
দম্ভে মানুষ আজ অন্ধ।
জানি না এর শেষ পরিণতি কি হবে !
তবে বলতেই হয়, ঘুণ ধরেছে সমাজে,
ঘুণ ধরেছে সমাজে, ঘুণই ধরেছে সমাজে। -
“নেতাজী মানে”
“নেতাজী মানে”
-শিবব্রত গুহ
নেতাজী মানে…এক আপোষহীন লড়াই,
পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে, স্বাধীনতা অর্জন করা চাই।নেতাজী মানে…অসীম সাহসীকতা,
নেতাজী মানে, এক বীরত্বের ইতিকথা।
নেতাজী মানে…দেশের প্রতি ভালোবাসা,
নেতাজী মানে, কোটি কোটি ভারতবাসীর আশা ও ভরসা।নেতাজী মানে…অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা এক কন্ঠ,
নেতাজী মানে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে করে দেয় লন্ডভন্ড।
নেতাজী মানে…ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মানসিকতা,
নেতাজী মানে, মৃত্যুকে জয় করার এক রূপকথা।নেতাজী হলেন ভারত মাতার এক বীর সন্তান,
কখন ও ভোলা যাবে না
নেতাজী’র অবদান, নেতাজী’র অবদান, নেতাজী’র অবদান। -
কেন?
কেন??
-শিবব্রত গুহকেন ধনীদের ধনসম্পদ শুধুই চলে বেড়ে?
কেন গরীব মানুষ না খেতে পেয়ে শুকিয়ে শুকিয়ে মরে?
কেন বেকার যুবক হাজার চেষ্টা করেও একটা চাকরী পায়না?
কেন বেকার যুবকের জীবনে জুড়ে শুধুই জ্বালা আর যন্ত্রণা?
কেন হাসপাতালের ডাক্তারেরা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যায়?
কেন রোগীর মৃতদেহ অকারণে আটকে রেখে তারা মুনাফা কামায়?
কেন সমাজের বুকে প্রতিপদে নারীকে ধর্ষিতা, লাঞ্ছিতা হতে হয়?
বলতে পারো সন্ত্রাসবাদীরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে কি সুখ পায়?
কেন সৎপথে চললে আজকের দিনে ভাগ্যে শুধুই জোটে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা?
কেন গরীব মানুষের জীবন জুড়ে শুধুই বঞ্চনা আর বঞ্চনা?
কেন আজকের দিনে মানুষ, শুধু ছুটছে টাকার পিছনে?
টাকা ছাড়া আর অন্য কোন সম্পর্কের দামই নেই মানুষের জীবনে?
কেন পণের লোভে বধূকে হত্যা করা হয়?
কেন বৃদ্ধাশ্রম আজ বৃদ্ধ পিতা-মাতার শেষ আশ্রয়?
কেন মানুষ মানুষের রক্তে হাত রাঙায়?
কেন কেন কেন! এইসব কেন-র উত্তর কে দেবে আমায়?