-
কবিতা- বৃষ্টিভেজা চৈতালী সাঁঝ
বৃষ্টিভেজা চৈতালী সাঁঝ
– শিলাবৃষ্টিআজকে না হয় স্মৃতির সুতো ধরে
টান মারি এক বৃষ্টি ভেজা সাঁঝ…
যখন আমার মল্লিকা সেই বনে
প্রথম কলি ভুলিয়ে দিত কাজ।তেমন দিনে হৃদয় আকুল সুখ
স্বপ্নগুলো ছুঁতো চোখের পাতা ,
আনমনা মন লুকোচুরি খেলায়
ভরিয়ে দিতো কাব্য কথার খাতা।সন্ধেগুলো নানান্ অজুহাতে –
দেখা করার ছলচাতুরি ভরা,
ইষ্টিশানের শূন্য চেয়ারখানা
গল্পকথায় আকাশ মুখর করা।হাতের উপর আলতো করে হাত
প্রথম প্রেমের প্রথম পরশ সেতো,
সময়গুলো বড্ড বে-রসিক
নিমেষ ফেলতে হারিয়ে কখন যেতো !ইষ্টিশানের নিয়ন আলোয় মুখ
সরব হতো নন্দকবির ভাষায়,
চেতনাতে কবি রবির সুর
দিন গুনতো নিত্য সুখের আশায়।আসতো যেতো এক’শ লোকাল ট্রেন
নামতো এসে মাত্র কয়েক জন ,
কেমন যেন লাগতো মনে লাজ,
অশান্তিতে কাটতো কিছুক্ষণ।শান্তি আমার লেখেননি বিধাতা,
ফুরিয়ে গেল দেখা হওয়ার পালা,
ফুরিয়ে গেল সাঁঝের কবিতারা
মনের ভিতর এখন ভীষণ জ্বালা ।একদিন এক ঝড় বৃষ্টির রাত…
চাইলে বিদায় নিঝুম নিরালাতে,
কথা দিলে ফিরবে কদিন পরে
এখন তোমায় হবেই দূরে যেতে।প্ল্যাটফর্মে সেদিন কালবোশেখি…
প্রবল বৃষ্টি পাগলা হাওয়ার দাপট,
হাত নাড়লে রেলের হাতল ধরে
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি কপট।কত চৈত্র এলো আর গেলো চলে…
দুয়ার কতো ভাঙল দারুণ ঝড়ে
তোমার আসার আশায় আজও আমি
পথ চেয়ে রই লোকাল ট্রেনের ‘পরে।অনুভবে হঠাৎ কেন আজ
মন বললো অঝোর বৃষ্টি সাঁঝে…
এখন তুমি যাত্রী গ্যালোপিনের
থামেনা যা হেথায় কোনো কাজে।“আজও তুমি আমার প্রথম প্রেম”
এই কথাটা বলতে শুধু চাওয়া…
‘কু ঝিক ঝিক ‘ছন্দে ভরা শাওন
তোমার কাছে আমার পরম পাওয়া। -
কবিতা- ভাঙন
ভাঙন
– শিলাবৃষ্টিভেঙে গেল হুড়মুড়িয় এক নিমেষে,
আমার স্বপ্নে গড়া ছোট্ট কুটির ভাঙলো শেষে।
এটাই বোধহয় হওয়ার ছিল এমন বুঝি হয়
অনেক দিনের অন্ধকারে এটাই ছিল ভয়!
ভাঙা ঘরের রাবিশ ঘেঁটে পেলাম কিছু কাঁচ,
সযতনে টুকরোগুলো দেখবো সকাল সাঁঝ ।
নাইবা পেলাম সুখের পরশ নাইবা পেলাম হিরে …
ছোট্ট জীবন ফুরিয়ে যাবে স্বপ্নগুলো ঘিরে।
স্মৃতির ভার আর বইতে নারি চলতে জীবন থামে,
ঝাপসা চোখে বিষাদ ঘন নিকষ আঁধার নামে। -
অণুগল্প- আশার আলো
আশার আলো
– শিলাবৃষ্টিজীবনে আঘাত সইতে সইতে পাথর হয়ে গিয়েছিল সমরেশের মন। একদিন প্রায় ভেবেই নিয়েছিল- আত্মহত্যা করবে সে। এই শূণ্য সংসারে সে ভীষণ একা!
রেললাইন ধরে এগিয়ে চলেছে সমরেশ , মন্থর তার গতি ; একটু পরেই সব শেষ হয়ে যাবে! হঠাৎ চোখ যায় পাশের বাঁশবনের দিকে। শেষ বিকেলের আলোয় কী অপূর্ব লাগছে! মাথা নেড়ে নেড়ে তারা যেন কিছু বলছে। মন চঞ্চল হয়, মাথার ওপরে সুনীল আকাশ … সাদা মেঘেরা যেন হাত নেড়ে তাকে ডাকছে। একঝাঁক পাখী ডানামেলে আকাশে উড়তে গিয়ে যেন তারই জন্য থমকে গেল। ওরা কী বুঝতে পারছে – সমরেশ এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে ?
কিন্তু রেললাইনে ছোট্ট একটা বাছুর কী করছে? ওতো প’ড়ে গেছে! হাঁটতে পারছেনা বোধহয়! দূর পাল্লার একটা ট্রেন ছুটে আসছে বিকট শব্দে। হায় হায় ! বাছুরটাকে তো বাঁচতে হবে! সমরেশ ছুটতে লাগলো। বাছুরটাকে বাঁচাতেই হবে। কোনক্রমে টেনে তোলে সমরেশ ছোট্ট সাদা বাছুরটাকে। ট্রেনটা চলে গেল।
সমরেশের এতক্ষণে খেয়াল হল – সে তো মরেনি ! বরং বাঁচিয়েছে আর একটা প্রাণকে।
এই সুন্দর প্রকৃতির জন্য সে বাঁচবে, বাঁচবে ছোট্ট বাছুরটার জন্য ! -
কবিতা- আলোর ভোর
আলোর ভোর
– শিলাবৃষ্টিকাল সারারাত চোখে ঘুম ছিলনা…
এপাশ ওপাশ আকাশ পাতাল
ভাবতে ভাবতে–,
ঘড়ির কাঁটায় চোখ রাখতে রাখতে —
কখন যে রাত ভোর হয়ে গেল-
কে জানে !কাল স্বপ্নরা উঁকি দিলনা একবারও;
রাতের গাঢ় অন্ধকারে …
আকাশে নক্ষত্রের আলো !
সে আলোয় আমার প্রিয় স্বপ্নেরা কি
কোন পথ খুঁজে পেয়ে
হারিয়ে গেল !
কে জানে !রাত জাগা একটা পাখি-
কেঁদে কেঁদে উঠছিল বার বার।
কান্নার সে সুর —
বড় করুণ ছিল তার।
সে কি তার ভালোবাসা কে
হারিয়ে ফেলেছে !
কে জানে !রাতের শেষ প্রহরে
সেই বহুবার শোনা কথাটা
উচ্চারিত হল মনে মনে।
” রাতের আঁধার কেটে ভোর আসবেই।”
পায়ে পায়ে সিঁড়ি বেয়ে
উঠে গেলাম ছাদে …
অনেকদিন বাদে …
রাতের অন্ধকারের ভেতর থেকে
আলোর ভোর দেখব বলে। -
কবিতা- বিবর্ণ আজ বসন্ত রঙ
বিবর্ণ আজ বসন্ত রঙ
– শিলাবৃষ্টিএই বসন্তে তুই কেমন আছিস
বড় জানতে ইচ্ছে করে …
এই বসন্তে তোর উঠোনের কৃষ্ণচূড়া
খুব দেখতে ইচ্ছে করে।
এই বসন্তে তোর আকাশের রঙ
স্বপ্নিল চোখে ভাসে,
এই বসন্তে তোর শপথের বাণী
অনুভবে মনে আসে।তোর আসা- যাওয়ার পথের বাঁকে
সেইযে গাছ পলাশ…
আগুণ রঙের ফুলের শোভা …
নেই তার কোনো বাস ।
তবু রূপের টানে পাগল পথিক
বার বার ফিরে চায় …
বসন্ত দিনের বসন্ত বাতাস
ফুলপানে শুধু ধায়।মনে পড়ে তোর বন্ধু সুজন-
সেই সে বসন্ত- কথা!
আমার ফাগুন ভরাবি বলে
ভোলাতে আমার ব্যথা…
দুটো হাত ভরে রক্ত পলাশ
বয়ে আনতিস ঘরে,
দুঃখরাতের আঁধার ঘুচতো
সে পলাশ হাতে ধরে।বিবর্ণ হয়েছে বসন্ত রঙ
এলোমেলো হাওয়া পালে।
ফুলেল আবির আগুণ আভা
ছুঁয়ে যাক প্রিয় গালে।
সেই স্মৃতির পলাশ উড়িয়ে দিলাম
খোলা আকাশের গায়…
এই বসন্ত তোর কাটছে কেমন
জানতে যে মন চায় …
আমার জানতে যে মন চায়। -
কবিতা- বন্ধু তুমি
বন্ধু তুমি
– শিলাবৃষ্টিবন্ধু মানে মনের কথা,
বন্ধু খোলা আকাশ ;
বন্ধু হ’ল হঠাৎ আসা –
এক দখিনা বাতাস।বন্ধু মানে পাশে থাকা
বন্ধু তুমি সুখ ,
মনের মাঝে ভেসে থাকা-
একটা হাসি মুখ ।বন্ধু তুমি পাগল হাওয়া,
এক পশলা বাদল ;
খোয়াই এর পথে পথে
আদিবাসীর মাদল।মোহনাতে ,নদীর ধারে
তুমি গাছের ছায়া…
বন্ধু তুমি বিষাদ বুকে
ভিজিয়ে রাখা মায়া ।বন্ধু তুমি উদাস বাউল
মেঠো বাঁশির সুর,
কাছে দূরে বন্ধু তুমি-
তুমিই মধুপুর।বন্ধু তুমি ফাগুন হাওয়া –
পূর্ণিমার এই রাত ,
জীবন পথে চলার মাঝে
অঙ্গীকারের হাত।। -
কবিতা- আবার স্বপ্ন
আবার স্বপ্ন
– শিলাবৃষ্টিকতো না স্বপ্ন আঁকা ছিল দু’নয়নে,
আল্পনাগুলো ভাষা পেয়েছিল মনে,
গড়ে তুলেছিনু ছোট্ট সুখের গেহ …
তখন ভাবিনি ভাঙবে সে ঘর কেহ !নিজ করে এক পুষ্প বাগিচা সেথা,
সৃজন করিনু পরম যত্নে যেথা–
প্রবল ঝড়ের দাপট বুঝিবা ধায়…
তছনছ্ হ’ল মোর স্বপনেরা হায় !জীবন যখন দিশেহারা অমানিশা,
একলা হেঁটেছি খুঁজেছি পথের দিশা ।
কোন্ আলো আজ আবার খুলিল আঁখি,
মুক্ত আকাশে দেখি এক ছোট পাখি।দুখ ভুলানিয়া কী সুর তুলিলে প্রাণে !
নতুন আশার কথা কয়েছিলে গানে ।
ঘরহারা মন কেবল পেয়েছে ভয় ,
সে ভয় কেমনে করে নিলে তুমি জয় ।। -
কবিতা- অন্তহীন তুই ️
অন্তহীন তুই ️
– শিলাবৃষ্টিআমার প্রথম ভালোবাসায় আলতো ছোঁয়া তুই…
আমার প্রথম গভীর প্রেমের অনুভূতি ছিলি তুই…
আমার প্রথম ভালোবাসার আলিঙ্গনে তুই…
আমার প্রথম চুম্বনের গভীরতায় তুই…
আমার প্রথম পবিত্র ভালোবাসার -সুখ তুই…
আমার প্রথম ভালোবাসায় হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গী তুই…
আমার প্রথম ভালোবাসার অনুভবে তুই…
আমার প্রথম ভালোবাসার আনন্দ তুই…
আমার প্রথম ভালোবাসার কান্না তুই…আমার সুখে তুই, দুঃখে তুই…
আমার সারাদিনের ব্যস্ততায় জড়িয়ে থাকা তুই…
আমার স্বপ্নে দেখা আলোর ছোঁয়া তুই
আমার হৃদয় মাঝে ফুটে থাকা লাল গোলাপটা তুই।
আমার অনুভূতির কল্পনার ঘরে তুই…
আমার বাস্তবের স্বপ্ন গোনায় তুই…
আমার বেদন মাঝে চোখের জলেও তুই;
আমার একলা চলার পথের ছায়া তুই
আমার অন্তহীন ভালোবাসায় শুধু তুই
শুধু তুই, শুধুই তুই। -
গল্প- গল্প হলেও বাস্তব
গল্প হলেও বাস্তব
– শিলাবৃষ্টিসেদিন ছিল বসন্ত পঞ্চমী। তার সাথে প্রথম দেখা হল পাঁচ মাস পরে। প্রায় মাস পাঁচেক আগে ফেসবুকে বন্ধু হয়েছিল সে। এরপর কত আলাপ আর কত প্রলাপ তা আর নাইবা লিখলাম। নাইবা লিখলাম তার ছেলেমানুষীর হাজার কথা । যত বলি- “আরে আমি যে অনেকটাই বড় তোর থেকে!” সে কী তা শোনে! সারাদিন বকবক। কত কেয়ার তার। কেমন যেন হিপনোটাইজড্ হয়ে যেতে থাকলাম। দেখা করার আশ্বাস দিলাম।
উপহার নিয়ে প্রথম দেখা। কয়েক ঘন্টা এদিক ওদিক ঘুরলাম, দু’জনে একসাথে লাঞ্চ এই বসন্ত পঞ্চমীতেই। এরপর দু’জনেই কেমন দেখা করার নেশায় মেতে উঠলাম। বয়েসের একটা সীমা মানে চল্লিশোর্দ্ধ আমি ভুলেই গেলাম আমি কে! মানায় না আমার এই উচ্ছ্বাস। জীবনে তো সুখ নামক অনুভূতিটা অনেক কাল আগেই খুইয়ে বসে আছি। কিন্তু এ কে এলো আমার জীবনে আবার হারিয়ে যাওয়া সুখের চাবিকাঠিটা নিয়ে!
অসম্ভব টান অনুভব করতাম, সে ডাকলে না গিয়ে কিছুতেই পারতাম না। শুরু করলাম আবার নতুন সাজে নিজেকে সাজাতে। বছর খানিক এভাবেই চলল। কিন্তু তারপর আমার ফাঁকা ঘরে একদিন সে শুনলো না আমার বাঁধা, সবলে টেনে নিল আমায়। বলতে থাকলো- তুমি কেন এত দূরে দূরে থাকো? অনেক কাছে কেন আসোনা? আমাকে একটু আদর করো না, কি হলো?” সব এলোমেলো হয়ে গেল আমার। পারলাম না কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে। সে আমায় আদরে আদরে ভরিয়ে দিল।
তারপর ফিরে গেল সে তার বাড়ি আর আমি একা, আরো একা হয়ে ভাবতে লাগলাম এ কী হল! কান্নায় ভেঙে পড়লাম।
কিন্তু ভালোবাসার স্বাদ পেয়েছিলাম, তাই বার বার তার গভীর চুম্বনে তার আদরে নিজেকে সমর্পণ না করে পারিনি। যখন সে চলে যেত অসহায় আমি প্রতীক্ষা করতাম আবার একটা দিনের জন্য। এভাবেই কেটে গেল আরো দু’টো বলে। আমি তখন ভালোবাসায় পাগল এক ষোড়শী যেন! আর সে! সে তখন অপ্রত্যাশিত ভাবে বোঝনদার এক পুরুষ হয়ে উঠলো। আমার প্রতি টান কমতে থাকল তার। তার কথাবার্তায় মনে হল ওই ঘোরাফেরা, ওই চুম্বন, ওই নিরামিষ আদরে তার ঠিক মন ভরছে না ! কিন্তু আমি তো এর বেশী আর পারবোনা তাকে কিছু দিতে ! সে কেন বোঝে না তা। এক ছাদের তলায় রাত কাটানোর নাম যদি ‘সহবাস’ হয়, সে সহবাস আমার জন্য নয়। তা সে বুঝে গেল। তাই কমতে থাকল তার ফোন, তার মেসেজ, তার দেখা করা, তার ভালোবাসা। বাড়তে থাকল হাজার একটা অজুহাত।
আবার শুরু হল আমার কষ্ট। কষ্টে কষ্টে সামান্য সম্পর্কের সুতোটায় টান পড়লো। সব সম্পর্ক সে শেষ করতে চাইলো, যেমন করে হোক সে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইতি টানতে। টানলোও। সে আর কোথাও নেই। হারিয়ে গেল আবার আমার ভালোবাসা। বলতে পারো কেউ, কেন এমন হয়? কেন ভুল হয় বারবার? কেন এরা ভালোবাসার ছলনায় আমাদের মতো ভালোবাসার কাঙালীদের ঠকিয়ে চলেছে?
এই চরম বাস্তব কোনোদিন গল্প হয়ে যাবে ভাবিনি। -
কবিতা- ঊনিশ-কুড়ি
ঊনিশ-কুড়ি
-শিলাবৃষ্টিমনে আছে কবি, সেই ঊনিশ-কুড়ি বয়েসটাকে?
সব যেন কেমন ছিল এলোমেলো মানো তাকি?
অকারণে মনে মনে স্বগোতোক্তি
অকারণে এলোমেলো হাওয়া মনে……অনেক রাত তোমায় জাগিয়ে রাখতো
তারা দেখে দেখে পায়চারি ছাদে
কখনো মেঘের আড়ালে থাকা
বাঁকা চাঁদটা উঁকি মেরে তোমায় দেখে যেত।হঠাৎ আসা বৃষ্টি তোমায় ভিজিয়ে দিলে
খুশি হতে অকারণে সেদিন মিথ্যে নয় তা।বিকেলের পড়ন্ত রোদে-
কাঁধে শান্তিনিকেতনী ব্যাগটা ঝুলিয়ে
সেদিনও বেরোতে তুমি……হয়তো কোন রুবি রায়ের
বাস থেকে নামার অপেক্ষায়
গুটি গুটি পায়ে এগোতে বাসষ্টপের দিকে।
মিথ্যে বলোনা কবি।ভিক্টোরিয়ার অল্প আলোয়
খোলা বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
কোন এক বনলতা সেনের
পাখীর নীড়ের মতো চোখে চোখ রেখে
কবিতার রসদ পেতেনা সেদিন?
কিংবা শোনাতে তাকে জীবনানন্দ?
মনে করে দেখো কবি
একবার হাতের মোবাইলটাকে বিশ্রাম দাও,
ফিরে যাও-
ফিরে যাও কবি ঊনিশ কুড়িতে।