-
সেই রাত…!
সেই রাত…!
-সত্যদেব পতিসন্ধ্যার জোনাকির মিট মিটে আলো ছিল ক্ষীণ,
জমাটি অন্ধকার পথে কারো পায়ের শব্দে চকিত হলাম,
বুকের মধ্যে অশান্ত ঝড়ের শনশনি…
একপশলা বৃষ্টির পরে ধোঁয়াশা দৃষ্টি,
একা আমি দেখেছি সেই গভীর নিশুতি রাতের হায়নার তাণ্ডব-
তার দু’চোখ ছিল রক্ত লাল, বিষাক্ত লালা ঝরতে দেখেছি জীব হতে,
ধারালো নখের আঘাতে বিদীর্ণ করছিল পড়ে থাকা নিথর দেহটাকে..
সেই আঘাতে বোবা চিৎকার আমি নীরব হয়ে অনুভব করেছি জমাটি আঁধারে,
আশাতীত মনের তৈরি আকাশে কোনো নক্ষত্র নেই,
মনের বাগানের গাছের পাতায় লুকানো ঝিমিয়ে পড়া জোনাকির দুর্মূল্য আলো…
বিহ্বলতা পুর্ন মনের দর্পনে রহস্যময় মেঘ,
সেই রাত কনোদিন নতুন প্রভাত আনবে না,
সকালের সূর্য্যালোকে জীবন পাবে না হারিয়ে যাওয়া পথিক,
অশ্রুত চোখে একরাশ হাহাকারের জন্ম নিল মলিন সকাল,
বিশ্বাসের বাঁধা শেকলে বিকল তালা ঝুলছে
সমাজের কারিগর আজ অসহায় ভাবে হাত গুটিয়ে নিয়েছে…
বন্ধ হয়েছে নিয়তির দামী ঘড়িটা,
একবুক হতাশার সাথে মৌন হয়ে রইলো
ভবিষ্যৎ!
কোনোদিন যেন ফিরে না আসে সেই রাত.— -
উজানের তোড়
উজানের তোড়
-সত্যদেব পতিচৈত্রের ঝরাপাতার মতো ঝরে পড়ে অশ্রুত প্রেম,
মহাসাগরের অথৈ জলরাশির নীচে ঝিনুকের গর্ভে নিমজ্জিত মুক্তার নীরব যন্ত্রণা,
ভরা ভাদুরে নদীর মতো টলটলে জলপুর্ণ চোখ স্বপ্ন দেখে-
চিন্তাশীল মন ডুকরে কাঁদে না পাওয়ার অব্যক্ত যন্ত্রণায়,
ভালোবাসার সুখ পাখিটার বুকে শিকারীর বিষাক্ত তির,
মনের জোয়ারের উজানী ভালোবাসার তোড় তছনছ করে বেলাভুমির শক্ত বাঁধন…
দিশেহারা মনে অশান্ত ঘুর্ণী তোলপাড় করে হৃদয়,
অপঘাতের লৌহ শলাকা বিদ্ধ করে শান্তির প্রলেপ-
তবুও নীরবে স্বপ্ন দেখে আশমানী নীল চাঁদের আলোয়,
সেই আকাশে তবুও ভালোবাসার ফুল ফোটে প্রতি রাতে…
অতৃপ্ত বাসনার আকাশ গঙ্গায় দেখা যায় মিলনের স্বাত্বিক উজানের তোড় কতোটা মিলন পিয়াসী…
নিমজ্জিত মন খোঁজে ভালোবাসায় সিক্ত চাদরে মোড়া প্রেম
তার হৃদয়ের ক্ষতে প্রলেপ লাগায় শান্তন