-
জাগো
জাগো
-সুদীপ্ত কুণ্ডু
বছরটা শুরু হল কলমের ডগায় আবেগ অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদী সুরে….
আজকাল দেশের উন্নতির খিদে পেট যেন ভরে যাচ্ছে সমালোচকদের বুলিতে!
যত পরিকল্পনাহীন ইতিগজের দল প্রেমের মিসাইল গুলো সাজাস কেনোযদিনাই পারিস নিতিকথার ফিদাইল তৈরী করতে?!
কিছু তো ছিল আইন কানুন নোটবন্দী পকেটফন্দী ঘিরে,
নতুন ফুলে বসন্ত এল কিনা কটা মানুষ স্পর্শ পেলো শিশিরভেজা পদ্মের পাতায়?
মহাবীর কি পারলো লড়াইটা শিখিয়ে যেতে ডিজিটাল উন্নতির এলোপাথাড়ি হিরিকের মাঝে??
বুদ্ধিজীবি কি মজে যুক্তিতর্ক অফবিট্ শক্তি পরীক্ষায় নাকি যানজট নেটওয়ার্কে ব্যস্ত এ শহর সেই নিলীমাই নাস্ত ?!
ক্যাপ্টেন পাল্টায় আর চেয়ারপার্সনরা ভোট কিনে নেয় আবার কি-আমাদের নিয়ে টিটোয়েন্টি খেলবে বলে??
উন্নতির গিরগিটির রঙ্গমঞ্চে শিক্ষিত নেতার মাপকাঠি সর্বসাকুল্যে কাম্য কি নয়?? -
পলাশ ফুল
পলাশ ফুল
-সুদীপ্ত কুণ্ডুপলাশ; তুমি নাকি প্রেমিক..?
এ কি করে হয়! আমি জানতাম শুধু ফুল;
লালফুল, হলুদ না লালচে কমলা রঙের-
সে তো পাখিরাও চেনেনি বসন্ত আসার আগে।
ত্রিপত্রী জন্মেই তো আর ফুল ফোটায় নি,
গাঢ় উদ্ভিদ দলে মুখ তুলতে দু-এক যুগ কেটেছে
শরৎ শারদীয়ার শেষে শীত এল ধূসর বাঁকলে
পাখি তখনও উড়েছিল ভিনদেশি যাযাবর দলে।
মৌমাছিরা উড়েছিল ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা বনে।
অনেক ঋতুরাজ এমনি কেটেছে কেউ ঘুরে তাকাই নি
রাঙা পলাশ প্রথম যৌবন ছুঁয়েছিল ঝুমুর বিহু তালে,
প্রথম প্রেমের ঠিকানা হয়তো লালমাটির দেশ ছিল,শ্যামলা গরনে পলাশ ফুলের মালার অন্তরে।
পলাশ! তোর তো কোন গন্ধ নেই,বাহারি শোভাই যত মিষ্টি মধুর ভ্রমরার প্রতীক।
চাঁপা মহুয়াদের দীপ্ত অভিমান; ওরাও নাকি প্রেমিক হতে চেয়েছিল;
এই নিয়ে ফাগুন হাওয়া চলল দিকেদিকে পলাশ প্রেমের বাটি।
তাই বনফুল ধরি আর হই মুক, আমার নাম যে প্রেমিক!!
শুধু অভিনন্দন হোক পুষ্পসম “ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত”।। -
মত্ত
মত্ত
-সুদীপ্ত কুণ্ডুগতিমান পিড়িত ছোট্টো একটা মস্তিষ্ক আমার-তোর,
আবেগ আশঙ্কা উদাশিনতার উৎকন্ঠায় ঠাসা।
স্নায়ু গুলো নেশার বিষে পক্ক সুখের অবকাশে রঙিন,
অতিরিক্ত মিষ্টি রক্তে উচ্চচাপে দিশাহীন আজ ভালবাসা।
চিন্তিত ললাট চঞ্চল মন কাড়ে উপস্থিত মানবিকতা,
চিনতে না পারা অচেনা ব্যতিক্রমি হৃদয়ের ভিড়ে
মুষ্টিমেয় কয়েকটা ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা অর্থের চাপে
অহংকার ভেঙে ফেলে মানবতার যত মিথ্যে বানী।
চলব ছুটবো পিষে মারবো উগ্রতেজ যতদিন আছে মোর এ দেহে
বার্ধক্যের ভিড়ে হয়তো তোলা থাকবে উদ্ধত যৌবনের পরিনতি।
স্পর্শে -স্বরে হাতেগোনা সেই ভালোবাসায়, চিবুকের অনুভূতি মিলিয়ে যাবেপাষান মনের সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ।।
-
ভালোবাসি
ভালোবাসি
-সুদীপ্ত কুণ্ডুনা কোন খবর না কোন কথা,
অপেক্ষার অগত্যা শাস্তি সময়ের বিশ্রাম।
ওগো প্রিয়তমা –
দিন-রাত নীরবে ভাসে তোমার সুরের আঁখিতারা ।
স্নেহ ভালবাসা বিশ্বাসে কতই না প্রতিজ্ঞা তোমায় ঘিরে,
গোধূলি আলোয় আলাপের অপেক্ষা হেঁয়ালি যত ফিরে।
মুখচোরা হাসিতে কবিয়াল বন্দরে অস্ফুটে ছায়ামাখা গল্পে-
আমার স্মৃতিপটের খাতায় তুমি আঁকা আছো।
রক্ য্যাজ রিমিক্সে ঘেঁটে গিয়ে যত ব্যস্ততা পার করে দিলেম,
তোমার গানের ভেলাই আবার স্নিগ্ধ পরশ ফিরে পেলেম।
পোড়খাওয়া বাঙালি আমি এখনও কলমে সুনীল, গানের ওপারে রবিতেই মাতি।
হৃদমাঝারে তাই কান পেতে রই জোয়ার- ভাঁটায় কুলের ঠিকানায়।
অফুরবেলায় তোমার ডিঙির বৈঠা হব আর যাব সূর্যাস্তেরর আভায়।
শ্রোতা আমি ভালই অনেক দামী,
তোমার বৃহৎ মাঝে প্রশংসাতেই থামি। -
মননে
মননে
-সুদীপ্ত কুণ্ডু
মনন মানে-
অন্তর্বর্তী গহন জুরে কোমল আস্ফালন
নির্বিকার চিত্তে এক স্বাধীন চেতা গভীরতা
সম্মোহিত সময়ে দেহ সত্ত্বার অলীক ব্যবধান
গতিপথে নেমে আসা প্রশ্ন উত্তরের অবিরত সংঘর্ষ।।মনন মানে-
সূর্যরশ্মি গায়ে মেখে প্রাণে উষ্ণতা সঞ্চয় করা
দুর্গম পাহাড় পেরিয়ে জলপ্রপাতের সৌন্দর্য্য খোঁজা
তর্ক-বিশ্বাসকে মিলিয়ে দেওয়া কল্পনার সাথে
আত্ম অভিব্যক্তি গড়ে তোলা নতুন ভাবে।।মনন মানে-
আমার একলা ঘরে প্রাক্তন-ভবিতব্যের কোলাহল
সদ্যজাত কল্পকাহিনী বুননে চলচ্চিত্রের নির্মান
ভালোলাগা ও ভালোবাসার অদম্য যত্নের মিলমিশ
স্মৃতির কাঠামো জাগিয়ে তোলা শব্দ গঠন কলমে।।মনন মানে-
তেপান্তরের মাঠ, আমার আপনজন, সুন্দরগ্রাম-খেলাঘর
মুহুর্ত অনুভুতির যোগফল, স্কুল-কলেজের বন্ধুদের দল
আন্দোলিত কিছু গল্পের, চোখে হারানো লেটারবক্স
“মনন”, তোমার আমার অবিরাম পথ চলা মননে।।