অক্ষর-চাষি

অক্ষর-চাষি -আব্দুল লতিফ মন্ডল শব্দ-মদে ডুবে থাকি, অজানা এক রোগ। নাগরিকতা সয়না ধাতে, চলে নিজেই নিজের খোঁজ। এ মদে সত্য লাগে চোখে, কাটেনা কিছুতেই সে ঘোর। শব্দ খুঁজে মরি আজ, ঝাপসা কুয়াশায়। সত্য দেখে সব – গায়ে মাখব কবিতা। লাঙল দিয়েছি আজ, আমার অক্ষর-ভূমিতে। বিষ ঝাড়াতে চাই – ব্যস্ত মানুষের।

বেদনা পথিক

বেদনার পথিক -বিকাশ কুমার মাইতি     এ ভুবনে হায় ! সেই চরম ব্যাথা পায় অন্ধ প্রেমের প্রতিজ্ঞায়। আঁধারেও সাথী আছে আগুনেরও বাহার প্রেমের‌ও সাথী আছে কুলকুল ধ্বনি উষ্ণ যমুনার। বেদনায় সুখ খোঁজে চন্দ্র-তারা, আকাশ নীলিমায় বেদনাও হাসি থাকে গোপন সৌন্দর্যের মধুরতায়। অন্ধ প্রেমের‌ও পথিক আঁঁধার নয়ন তারায় উজ্জ্বল প্রেমচ্ছবি মনের‌ও অমরতায়।

শিশুশ্রম

শিশুশ্রম -পরিতোষ রায় শিশু শ্রম কত শত পৃথিবীর নানান প্রান্তে| তাদের জন্য মন আমার কাঁদে একান্তে| ওরাই তো সমাজের আলো, হে প্রভু! তবে কেনো ওদের জীবনে এত কষ্ট ঢালো| ওদের ও তো সাধ হয় লিখতে ও পড়তে| আমরা কি পারিনা ওদের বিদ্যালয় আনতে| সবাই মিলে যদি হাল ধরি একসাথে| শিশু শ্রম দূরে যাবে এ পৃথিবী […]

সে–দিন

সে–দিন -সুদীপ্তা মন্ডল     সে ছিল এক বৃষ্টি-দিন। রিমঝিম রিমঝিম অনুরণন কানে মেখে ভেসে যাওয়া। সোহাগের সাম্পানে ঝুপ্পুস মেঘের দলে হারিয়ে যাওয়া। আর ছিল দোলনচাঁপার আন্দোলনে,কদম ফুলের রেণুর ভেজা আহ্বান। সেদিন ছিল কৃষ্ণমেঘের চঞ্চলতা। জল-নূপুরের ঝমঝম মাদকতার শিহরণ। আর ছিল পূবালী হাওয়ার দুষ্টুমিতে, এলোমেলো আঁচলের অবাধ্যতা। আজও এক বৃষ্টি-দিন। আজও বাতাসে চাঁপা ফুলের মদিরতা।।

বিশ্ব-পথিক

বিশ্ব-পথিক -আব্দুল লতিফ মন্ডল     ফাগুন-মাখা সন্ধ্যায়, ভাবি,ধরে রাখব তোমায়। বোকা মনের বোকামি, বসে বসে, খড়ির ঢেউ গুণি। নৌকা-নৌকা ভাবনায়, রাত্রি নামে, বিপরীত ডাঙায়। বাঁশির শব্দ মেশাও তুমি, ঝিঁঝির কলতানে। চাঁদের হাসি লাগছে গায়ে, অমাবস্যার মেঘ চাদর ঢাকে। চিরকালীন বাউল তুমি, তোমার খোঁজে, এই আমি। বিশ্ব-পথিক,তোমায় পাবো, বলে দাও, ঠিক কি উপায়ে ?

রংহীন রামধনু

রংহীন রামধনু -সুব্রত সামন্ত     রংগুলো হয়েছে আজ রংহীন, পর্দার আড়ালে দেখি – শুধুই লাল রং এর প্রতিচ্ছবি। তবে কী আকাশ মাঝে আর সব রং গেছে হারিয়ে? অস্তিত্বের মাঝে যাদের যাচ্ছে না দেখা। বর্ষার অনুপস্থিতিতে ছিল কোথায়? এই রংহীন আলো রশ্মি…… যা সমুদ্রের ডাকে মিশে যায় লবনাক্ত জলের মাঝে। পেছনে ফেলে রবির দেওয়া আবছা […]

নীল খাম

নীল খাম -আব্দুল লতিফ মন্ডল     তোর দেওয়া দুঃখদের, উড়িয়েছি নীল খামে ভরে। ধুলো জমা বইয়ের মলাটে, অবশিষ্ট সমস্ত সুখ। আকাশ এলো কাল হয়ে, ঘনীভূত খামেদের মেঘ। গগন কাঁদে অঝরে, মুছে দেয় স্মৃতিকে। রয়ে যায় ক্ষত, অম্ল বৃষ্টির মতো। সাহাজানের স্মৃতিও আজ, রইল না অক্ষত। তারও ছিল নীল-খাম, হয়ত আমারই মতো।

সবগুলো শব

সবগুলো শব -সুদীপ্ত সেন সেখানে সবটা শান্তি, সবগুলো শব সেখানে আগুন পুড়ছে সকলে নিরব। পাশের নদীর জল,ছাইরা ভস্ম সাজে সাধুরা সুখটান দেয়, বিরতি কাজে। কেও কাঁদেনা ওখানে, পারলে হাসে আগুন পুড়ছে, আঘাত বাঁশে। আমিও মাঝে মাঝে যাই শান্তি খুঁজি আমিও সুখে দিই টান,চোখটি বুজি। ওখানে নিজের ছেলেও হচ্ছে পাষাণ আমি যার কথা বলছি বোধহয় শ্মশান!

সাইকো

সাইকো -রাখী সরদার     সমস্ত বুকের ধাঁধা পিছলে গেছে ট্রাডিশনাল সাহিত্য তছনছ সেন্টিমেন্ট জাল গুটিয়ে হাওয়া কি ভাবছো? সাইকিয়াট্রিস্ট সিম্পটম দেখিয়ে আদালতে তুলবে? সে গুড়ে বালি আমি খাওয়া ছেড়েছি মর্গে যাওয়ার জন্য নয়,তোমাকে ছোবল মারার কারণে ডোমকানা বাঁশবনে পড়ে থাকার সাধ কার বা জাগে? মানুষ হয়ে জন্মানো মানেই ভিতর থেকে তাড়া খাওয়া এদিক থেকে […]

ছায়াময়

ছায়াময় -তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় সকল সময় সঙ্গে চলো। ছায়া হলেও বন্ধু ভালো। আনন্দ আর দুঃখে আমি তোমায় পাই। তোমায় নিয়েই একসঙ্গে এগিয়ে যাই। তোমার সঙ্গে চলতে চলতে, কতরকম গল্প বলি। বন্ধুছায়া তোমার সাথেই আমার যত গলাগলি। কিন্তু যখন ঘুটঘুটে ওই অন্ধকারে, তোমায় খুঁজে পাইনা। নিকষ কালো,ভয় দেখিয়ে একা করে, একটুও তা চাই না।।