• কবিতা

    কবিতা- “জীবন যখন বসন্তময়”

    “জীবন যখন বসন্তময়”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    মিশে যাওয়া অনেক সহজ
    ফিরে আসা কঠিন।
    মিশে গেলে মরুভূমির মরুদ্যান লাগে না,
    নীল আকাশের নিচে বিস্তৃত পথকে অনেক সুন্দর মনে হয়,
    হোঁচট খেলেও কোন ব্যথা-বেদনা-যন্ত্রণা ছুমন্তর দিয়ে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়;
    ঠিকানাহীন পেঁজা তুলোর মতো মেঘগুলোকে কত ছবির আভরণে দেখা যায়।
    বিনিদ্র রাতগুলোও জেগে স্বপ্ন দেখে
    বালিশের সোঁদা গন্ধটা উবে যায় কোনো এক অজানা অলৌকিকের দেশে।
    বসন্ত আসে, জাগ্রত হয় হৃদয় মন্দিরে কত কোলাহল!
    বৃষ্টির জলে নোনাজলকে ভুলিয়ে রাখতে হয় না।
    একার আলাপচারিতায় সুখের অনুভবে নতুন অনুঘটক;
    গন্ধহীন পলাশের ঘ্রাণ নেবার চেষ্টা অবিরাম।
    রোজ কত অব্যক্ত কথাদের আনাগোনা;
    ক্লান্তির হয় ভিনদেশী!
    ভাবনাগুলো বিকেলের এক চিলতে রোদ্দুরের মত উঁকি দেয় হৃদ মাঝারে।
    কতই না উচ্ছ্বাস! কতই না গান
    সন্ধে নামলেও আকাশ ভরা তারা দেখে মিটি মিটি হাসি।
    ছন্দে ছন্দে মুক্তির আনন্দ।
    বসন্তের কাব্যিকতায় কোন টানাপোড়েন নেই।
    শুধুই ভালোলাগা আর ভালোলাগা।
    শুধুই এক উচ্ছ্বল ভালোবাসা জীবনময়।

  • কবিতা

    কবিতা-“ক্ষোভ”

    “ক্ষোভ”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    আজ কাছে এসেছি বলে দূরে যেতে পারবো না
    এমন ভাবনাটা ঠিক নয়।
    এর থেকেও অনেক অনেক দূরে চলে যেতে পারি
    একা একা হাঁটতে শিখেছি
    একা একা পথ চলতে চলতে কখন যেন পথ চলা শিখে গিয়েছি
    একা একা নিজের দায়ভার নিতে শিখেছি
    আবার একা একা ভালোবাসতে শিখেছি;
    হয়তো একদিন হাতে পেয়েছিলাম ভালোবাসার বীজমন্ত্র!
    পালন করেছি, বড় করেছি, সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছি।
    যা শেখাতে চেয়েছিলে যাবার কালে।
    দূর থেকে যেমন ভাবে ভালোবাসাকে ভালোবাসতে শিখেছি
    তেমনই আবারও আরো আরো দূর থেকে ভালোবাসতে শিখে যাব।
    এতটা আঁধারময় পথ ক্রমশ এগিয়ে গেছি
    ভাসতে ভাসতে ছড়িয়ে পড়েছে অনন্ত অসংখ্য লোক লোকান্তরে;
    বিষন্নতায় না হয় আবারো আরো বেশি ডুবতে ডুবতে নিজের আমিত্বে গিয়ে মিশব।
    তখন না হয় আবারো আরো একবার আর্তনাদ করে বলবো-

    -‘আমার একার ভালোবাসা। আমি ভালোবাসি ভালোবাসি।’
    না ভালোবাসার ঘরে এসেছিলাম পথ ভুলে, মনের ভুলে!
    ভুল কেন! এত সাধ করে আসা।
    বারংবার আসতে শুধু ভালো লাগে।
    আসব আবার দূরে বহুদূরে চলে যেতে পারব!
    অনেক অনেক দূরে ভাবনার গভীরে।

  • কবিতা

    কবিতা-“আমি আসবো”

    “আমি আসবো”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    আমি এসেছি তোমার হাতে হাত রাখব বলে
    আমি এসেছি তোমাকে ছুঁয়ে শিহরিত হবো বলে
    আমি এসেছি তোমার আচ্ছাদনে স্নেহের পরশ নেব বলে!

    মন জুড়ে ভালোবাসার অনাবৃত মেঘ
    কখনো বর্ষা তো কখনো বসন্ত উঁকি দিয়ে যায়
    পাষাণ হৃদয়েও কম্পন অনুভূত হয় ভূকম্পনের মত।

    আমি এসেছি কাঁধে কাঁধ মেলাবো বলে
    আমি এসেছি ভরসা যোগাব বলে
    আমি এসেছি পাষাণ হৃদয়ের গলনাঙ্ক দেখবো বলে!

    কতটা কঠিন হলে কতটা তাপ প্রয়োগ করতে হয়
    কতটা বরফ হলে কতটা কঠিন হতে পারে
    কতটা কাল আস্তরণ পড়ে মতিভ্রম হয়!

    আমি এসেছি এসব দেখবো বলে
    আমি এসেছি বদলের গান শুনবো বলে
    আমি এসেছি পাল্টানোর ইতিহাস পড়বো বলে!

    ভালোবাসার মন কিভাবে মরে গেছে
    নুব্জ হওয়ার ভারে নাকি হিংসার সংস্রবে
    দিন যায়-রাত হয়; আলো-আঁধারের খেলা চলে।
    মানুষ হয়েও কি মানুষের সং সাজে আসল নকল সব একাকার করে!
    তাই এসেছি আবার ভাঙবো বলে
    এসেছি গড়বো বলে
    এসেছি হাতে হাত রেখে ভালোবাসার মূল্য বোঝাবো বলে!

    আসবো; অনবরত আসবো!
    আমাকে আসতেই হবে।

  • কবিতা

    কবিতা-“যথাস্থান”

    “যথাস্থান”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    তোমার ভালো থাকার চাবিকাঠি এখানে
    তুমি খুঁজলে রাজ্য, রাজত্ব, কোষাগার
    রাজকন্যা তা যেমন খুশি হোক না!
    নতুন বেশে নতুন দেশে পাড়ি দিলে বাণিজ্যের তরে।
    নতুন নতুন ঝলমলে আলোর রোশনাই মুগ্ধ হল দেহ মন
    কি পেলে আর না পেলে জানা নেই
    কতটা লাভ হলো সওদা করে?
    জানা নেই, জানার ইচ্ছে নেই।
    ইচ্ছেগুলো ডুবতে ডুবতে অতল গভীরে নিমজ্জিত।
    চাবি ছাড়া সুখের দেরাজ খোলে কেমন করে!
    কেমন করে যত্নে থাকে পরমপ্রিয় চাওয়াগুলো!
    কেমন করে আগলে রাখে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনাকে!
    ভয় আছে তোমার; দ্বিধা আছে মনে
    লজ্জাগুলো দ্বন্দ্বের ক্ষণে ক্ষণের সঙ্গী।
    হারিয়েছে যে চাবিকাঠি তা বলবেই বা কেমনে!
    অন্তর জানে কোথায় তা হারিয়ে গেছে!
    কোথায় গেলে ফেরত পাবে!
    পরম যত্নে চাবিকাঠি রেখে গেছে যে ঘরে
    জানো, তা আজও সুরক্ষিত আছে তেমনভাবে।
    সময় হলে এসো।
    স্মৃতির ভিড়ে যদি কখনো মনে পড়ে তখনই এসো।
    এখনো ভালো থাকার চাবিকাঠি যথা স্থানে রয়েছে।
    এখনো জং ধরে নি; ভালোবাসার আগলে রাখা আছে।
    এই চাবি বিশ্বাসের, ভরসার, আনন্দের।

  • কবিতা

    কবিতা-বলিদান

    বলিদান
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    ভেবেছিলাম একটি সুন্দর সাজানো বাগান দিয়ে যাবো ওদেরকে
    ভেবেছিলাম সেখানে শুধুই ফুলের মেলা রাজ করবে,
    রাজ করবে তাদের সুন্দর সুন্দর স্বপ্নগুলো।
    স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হবে সত্যের মুখোমুখি হয়ে,
    ভেবেছিলাম তিল তিল করে ওদের সুন্দর সত্যের সাম্রাজ্য গড়ে দেব,
    ভেবেছিলাম সব যুদ্ধশেষে ওরা শান্তির পৃথিবীতে বাস করবে;
    কোন রক্ত ঝরানো গগনতলে ওরা দাঁড়াবে না।
    ওরা শুধু সত্য সুন্দরের জয়গান গাইবে।
    নিজের কাছেই নিজের প্রশ্ন বান!
    ওদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারলাম!
    পারলাম কি মৃত্যুর যূপকাষ্ঠ থেকে ওদেরকে ফিরিয়ে আনতে!
    যে উষ্ণতা দিয়ে বুকে আগলে রেখেছিলাম–
    তা কি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হলো না এক নিদারুন অনাচারে!
    ভেবেছিলাম এই পৃথিবী আবার রত্ন সম্ভারে ভরে উঠবে
    জাতি, ধর্ম, বর্ণবৈষম্য ভুলে গিয়ে মানবতার গান হবে ওদের ঐক্যতান।
    শেল ও শল্য ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জীবনের সুন্দরের গান গাইবে।
    নিরাপত্তাহীনতার যুগে লজ্জায় মুখ লুকায়
    স্বপ্নের সাজানো বাগান দুর অস্তগামীর পথে।

  • কবিতা

    কবিতা- ভালোবাসার অন্তরীক্ষে

    ভালোবাসার অন্তরীক্ষে
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    সেই দাদাঠাকুরও নেই
    সেই তিনপ্রহরের বিলও হয়তো নেই; থাকলেও
    কেউ দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গী নেই।
    অনেকগুলো তেত্রিশ পার হয়ে যায় বছরের পর বছর
    তবুও কেউ কথা রাখেনি
    কেউ কথা রাখে না!
    জেনে গেছি কেউ কথা রাখে না।
    সবাই এখন আকাশ ছোঁয়ার গল্প বলে
    আড়ম্বর চাকচিক্যে নিজেকে দেখাতেই আনন্দ পায়
    ছাদ ফুঁড়েড়ে আকাশ ছোঁবো ছোঁবো করছি
    তাও বড় হতে পারলাম কই!
    বড় মানুষ হতে পারলাম কই!
    ভালবাসি বলতে শিখেছি
    ভালোবাসা বুঝতে শিখেছি
    কেমন করে ভালবাসতে হয় তাও শিখেছি
    তবু আতরের গন্ধ পেলাম না তো!
    বরুনারা কখনো ভালবাসতে পারিনি।
    এত সুন্দর কে কেন নিতে পারেনি ওরা!
    ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না বলেই একশ আটটা নীল পদ্ম আনো নি।
    হৃদয় কাব্যে একশ আটটা পদ্ম গাঁথায় তো ছিল,
    ভালোবাসি ভালোবাসি বলে উদাত্ত কণ্ঠে হাঁক পেড়েছ;
    শুধু দিতে দিতে ঋণী করেছ সকলকে।
    সকলেই সাগরে ডুব দিয়ে রত্ন পেয়েছে হাতের মুঠোয়।
    কখনো রুক্ষতার অরূপ রতন পাহাড় কে কিনতে চেয়েছো
    নদী,ঝর্ণা,অন্তরীপকে ত্যাগ করে
    দশ দিককে উদ্দেশ্য করে ক্ষমা চাইতে শিখিয়েছো।
    অনন্য স্বাদের আস্বাদনের ঋণী করেছো প্রতিমুহূর্তে
    হৃদয়ে দিয়েছো তোমারি কাব্যগাঁথা
    হয়তো তাই কেউ কথা রাখেনি।
    কেউ কথা রাখে না।
    আজও কেউ কথা রাখে না।

    ———–

    (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কবিতাগুলোর কিছু লাইন নিয়ে কবিতার প্রতিউত্তর।)

  • কবিতা

    কবিতা-“মনে রেখো”

    “মনে রেখো”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

    তুমি যদি সেই অন্তহীন শব্দরাশি হও
    আমি মুক্তছন্দ হব।
    তুমি যদি অশ্রু বৃষ্টিধারায় ভাসো
    আমি বাঁধভাঙ্গা উৎসের খোঁজে থাকবো।
    তুমি যদি নীল পাহাড়ের চূড়ায় ওঠো
    আমি তোমার পাগলাঝোরা হব।
    তুমি যখন গান গাইবে হাজার কোটি রাগে অনুরাগে
    ওষ্ঠ ধারায় তৃপ্ত হব।
    সকালবেলার সোনালী ছটায় ডুব দেব,
    না বলা শব্দের বাক্যবাণে মুখরিত হব,
    অসংখ্য তারার মাঝে একটা দু’টো করে কাব্য গাঁথবো,
    অসম্ভবের সঙ্গতে ঘুরে বেড়াবো,
    অবিন্যস্ত চুলের আদর মাখা গন্ধ নেব,
    শখের বাগানে না হয় হাসনুহানার জন্ম দেব;
    রডোডেনড্রনেরা পাপড়ি মেলে মাতাল হবে
    ক্লান্ত দুচোখে টলটলে জল ভরবে খালি
    সিক্ত বুকে কখনো তুমি আসবে যদি–
    আমিই তোমার সঙ্গী হব।
    সঙ্গী হব। সঙ্গীই হব।

  • কবিতা

    কবিতা- এসো এমনই দিনে

    এসো এমনই দিনে
    – সুমিতা প্যয়ড়া

    এমনই এক বরষায় এসো
    দৃষ্টিতে বৃষ্টির জলই থাকবে,
    শ্যাওলা না ধরা নোনা জলের
    ছলকে ছলকে বাইরে আসাটা
    ধুয়েমুছে এক হয়ে যাবে।
    তুমি এসো এমনই এক বরষায়
    আকাশের কোণে কোণে
    কালো মেঘের ভিড় জমবে।
    হঠাৎ করে ঘনিয়ে আসা আঁধার ভিজিয়ে দেবে;
    উতলা হৃদয় কদম ফুলের কাননে ঘুরবে ফিরবে
    সেই সময় এসো, তুমি এসো।
    এমন দিনে সেই কথাটা বলা যায়
    যা আজও বলা হয়ে ওঠেনি।
    মিলিয়ে দেবে একসূত্রে কাছে দূরে এক করে
    এক পৃথিবী মেঘের মাঝে উতল হাওয়া ঝিলিক দেবে
    সঙ্গী হবে বাদলা হাওয়া, পাগলাঝোরা বৃষ্টির গান
    আর শুধু তুমি আমি।
    তখন নাকি মিথ্যে গুলো মলিন হবে
    হিজিবিজি ভাবনাগুলো টুপ করে ডুব দেবে দুঃখ সাগরে
    নৌকাগুলো ভাসবে জলে দিকে দিগন্তরে।
    স্বপ্ন ভেলায় পৌঁছে যাব অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে!
    সত্যি বলো আসবে তুমি এমন দিনে!
    অন্যরকম লাগবে তখন অনুভবে,
    কথার মাঝেও স্নিগ্ধছায়া
    ভিজিয়ে দেবো বৃষ্টির জল কাঁপন ধরায় সিক্ত মায়ায়।
    মিলব দোঁহে!
    আমার জন্য তুমি আর তোমার জন্য আমি।
    যেমন আসে বৃষ্টি মেঘলা আকাশ কোলে
    তেমন ভাবেই তুমিও এসো এমনই বরষা দিনে।

  • কবিতা

    কবিতা-“প্রাপ্য”

    “প্রাপ্য”
    সুমিতা পয়ড়্যা

    আমি তো আমার কথা রেখেছি বর্ণে বর্ণে শব্দে শব্দে
    সত্যগুলো গভীর গহন থেকে তুলে এনেছি
    যেমন সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে।
    বজ্র কঠিন পথে দাপিয়ে বেড়িয়েছি শুধু একটু শান্তির খোঁজে!
    প্রতিবাদী মন প্রতিবাদ করেছে মিথ্যার রাজ্যে,
    আপোষহীন শপথ নিয়েছি অবিরত,
    লেখনীর অনিবার্যতায় গড়েছি শাণিত বক্ষ,
    বিরহের একাকীত্বে জ্বালিয়েছি বারুদ,
    আবরণ হীন জীবনে সংগ্রাম করেছি অনেকখানি,
    অন্তর দহনে অঙ্গার হয়েছি প্রতিনিয়ত,
    দুঃখের আড়ালে জীবনের বাজি রেখেছি;
    উপেক্ষিত মানুষের হাত ধরে।
    শৃঙ্খলতার বেড়াজালে জ্বেলেছি মনন প্রদীপ
    স্বাভাবিকতার শাসনে গড়েছি দৃঢ় চেতনা।
    নিজেকে তৈরি করেছি শিল্পীর শৈল্পিক স্বত্ত্বায়;
    বিনিময়ে বুনোফুলের গন্ধের প্রাপ্তি।
    নীরবতার শপথে হেঁটেছি বহুদূর
    তবু অস্থিরতার চক্রব্যূহে আটকে রয়েছে মন প্রাণ;
    একী সম্মানের ফসল;
    নাকি পরাজয়ের বিক্ষুব্ধ আমি আজ কলমাস্ত্রে।

  • কবিতা

    কবিতা- “অন্তরের কথা”

    “অন্তরের কথা”
    -সুমিতা পয়ড়্যা

    হাজার ফুল চাইনি কখনো
    শুধু একটি লাল গোলাপ
    একটি মাত্র, একটি।
    জীবন একটাই; মৃত্যু কি একটাই!
    প্রশ্ন জাগে মনে!
    মৃত্যুর ক্ষণ তো বড়ই পলকা
    প্রতিটি ঢেউয়ের মতই ভাঙ্গে।
    পৃথিবীর যত সুখ আছে চাইনি কখনো!
    শুধু একটিই তো বাক্য
    প্রতিবার কত মুহূর্তে শোনার অপেক্ষায়!
    নতুন করে চাইনি কখনো
    শুধু স্বপ্নের ভিড়ে সুখের অনুভূতি
    অনেক যত্ন করে রাখা স্বপ্নের ধন
    হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি।
    ভালোবাসার কোন নিয়ম চাই নি
    চাওয়া-পাওয়ার ভালোবাসা চাইনি
    শুধু ভালোবাসি-ভালোবাসি।
    অনুভবে চাই, কল্পনাতে চাই, স্বপ্নে চাই,
    বৃষ্টিভেজা অন্তরে শুধু তোমাকেই চাই।
    ভেঙ্গে যাওয়া এক চিলতে আলোর রেখায় যে মলিনতা
    পাওয়া না পাওয়া জীবনে ঝড়ের ছিঁড়ে ছুটে যাওয়া
    শুধু কষ্টের ঘরে বিনিদ্র রাত জাগা–এইগুলো
    কি মৃত্যু নয়!
    নিঃশ্বাস না থাকলে বুঝি মৃত্যু হয়
    মরে থাকাটা কি মৃত্যুর অধিক নয়!
    পাওয়া আর হারানোর হিসাব করা বড়ই কঠিন।
    চাইনা কিছু, চাইনা গুঞ্জরণ,
    চাইনা কোন কাটাছেঁড়া;
    শুধু একটিবার, শুধুই একটিবার
    লাল গোলাপের রঙে রং মিশিয়ে বল–ভালোবাসি।

<p>You cannot copy content of this page</p>