চন্দ্রিমার আঙিনা – রাখী চক্রবর্তী গোধুলি লগ্নে সিঁদুর মাখা মেঘে চেয়ে থাকি আনমনে, অরণ্যের সারি, নাকি ভালবাসার আড়ি চন্দিমার আঙিনায় স্থান পেয়েছে কে জানে? ভাঙা ভাঙা আঁধারি আলো আছড়ে পড়েছে আমার শূন্যতাবিহীন এ জীবনে কত স্মৃতি, কত আবেগে মাখা ছিল আমার রাতের আকাশ, আজ হাহাকার মূর্ছনা গ্রাস করেছে আমার প্রতিক্ষণের উল্লাস।
অণু কবিতা- আমার চোখে জীবন
আমার চোখে জীবন -মিনাক্ষী পতি জীবন হলো বেঁচে থাকার বিশ্বাস, জীবন হলো ভালোবাসার আশ্বাস। জীবন হলো দুঃখকে হারিয়ে সুখ খোঁজার প্রয়াস।, জীবন হলো অন্ধকার থেকে আলোর প্রকাশ। জীবন হলো প্রতিমুহূর্তের সংঘর্ষ, জীবন হলো আপন জনের স্নেহের স্পর্শ। জীবন হলো অমূল্য আশিস ভগবানের, জীবন হলো আকাঙ্খা অন্তিম নিশ্বাস অব্ধি সবার হৃদয়ে থাকার।
অণুকবিতা- সংস্কারের গপ্প
সংস্কারের গপ্প – শুক্লা রায়চৌধুরী আমায় ঘিরে বাড়তে থাকে এক ঘুন ধরা পাঁচিল, অধমুখী মনের গভীর সে জাল বড়ই জটিল; সোঁদা শ্যাওলায় ঢাকা পরে আলোর ওই উৎস, সভ্যতার ইতিহাস হয়ে ওঠে বড়ই বেরঙ্গীন ক্ষুদ্র; অন্ধ বিশ্বাসের কাটাকুটি খেলায় সতীর সহ মরণ, সংস্কারের ছলে কেবল চলে মানের অপহরণ; ভাঙুক এই গোলোক ধাঁধা হয় যদি চির ক্ষয়, […]
কবিতা- প্রজাপতি ও তুমি
প্রজাপতি ও তুমি– সুশান্ত দাস হে নাবালিকা তুমি সজীব প্রকৃতি,তোমার বক্ষ মাঝের প্রস্ফুটিত হতে থাকাফুলের কুঁড়ির সুবাস মাখতে চাওয়া বাতাস,স্পর্শ গন্ধের অপেক্ষায় থাকা আকাশ।নির্বোধের হৃদয় অন্তপুরের প্রকৃত চাওয়া,আমার অজানা আবছা অপরাধ।দূরন্ত দুপুরের অচেনা অবহেলা,অনেকটা বৃষ্টি ভেজা পড়ন্ত বিকেল বেলা।যদি বাড়িয়ে দাও আলগা বাহুদয় আনমনে,আমি প্রজাপতি হতে পারি প্রেমেরই গানে।
অণু কবিতা- ভাষা
অণু কবিতা- মুক্তি
অণু কবিতা- জীবন কাটাই দ্বন্দ্বে
অণু কবিতা- আশার আলো
আশার আলো– শচীদুলাল পাল গহন রাতি আসুক নেমে হোক না অন্ধকার,বিধির আশিস মাথায় নিয়ে খুলবো বন্ধ দ্বার।দীপশলাকায় প্রজ্বলিত করবো দীপশিখার,এক ঝলক আলোয় কেটে যাবে অন্ধকার।আলোর আলোকে খুঁজে পাবো রত্নভান্ডারলাশের পাহাড় শেষে দেখব কত প্রাণময় সংসার।রাত শেষে হবে ভোর, চলতে থাকব অতীত ভুলেপরের প্রজন্মের শিশুদের নেব কোলে তুলে।
অণু কবিতা- বাড়িটি
অণু কবিতা- অচেনা বোধ
অচেনা বোধ– তাপসী শতপথী পাহাড়ী হয়তো পৃথিবীকে দেওয়ার মতো কোনো ইচ্ছেই অবশিষ্ট ছিলো না আর!ছিলো না নিজের প্রতি নিজের,সমস্ত দায় দায়িত্বহীন অস্তিত্বের খোঁজে,ভারমুক্ত হতে চেয়েছিলো সেও একদিন।তাই দিনান্তের শেষে,রাত্রি খুঁজে পেয়েছিলো বহুদিন পর।সমস্ত নির্যাস ফেলে নিশ্চিন্তেনির্বিঘ্নে, সেও চেয়েছিলো কাটাতে বহু বছর!তারপর অনন্ত শান্তির বার্তা দিয়েছিলো মন,পরম আত্মার সাথে মিলনের ক্ষণ।