অণু কবিতা- ভুবনডাঙায়

ভুবনডাঙায়-সুমিত মোদক     ফাগুন রাতে আগুন মেখেতোমায় ডাকি ;পলাশ শিমুল সঙ্গে নিয়েদাঁড়িয়ে থাকি ; তুমি আমার রাঙা মাটি ,উদাস বাউল ;তুমি আমার মাদল বোলেদিশি মহুল ; আগুন মাখছি আগুন ঢালছিতোমার বুকে ;আমি পুড়ছি তুমিও পোড়োবসন্ত সুখে ; কোকিল সুরে প্রথম ভোরেআবির ছোঁয়ায় ;রাঙিয়ে দেবো সবার হৃদয়ভুবনডাঙায় ।।

অণু কবিতা- আমার কবিতা

আমার কবিতা – মানিক দাক্ষিত কবিতা আমার সাতসকালের সূর্য ওঠা ভোর। কবিতা আমার সুষম শব্দে বলবে কথা তোর। কবিতা আমার ভালবাসার মনের যাদুধন। কবিতা আমার সুখ দু:খের খুশীর বৃন্দাবন। কবিতা আমার ঘোর প্রতিবাদ বারুদ ভরা বোম। কবিতা আমার সলতে দেওয়া আলো জ্বালার মোম। কবিতা আমায় বাঁচিয়ে রাখে সকাল থেকে সাঁঝ। কবিতা আমায় বিবেক দিয়ে করায় […]

অণু কবিতা- না কবিতা

না কবিতা-ডাঃ তারক মজুমদার     যন্ত্রণাক্লীষ্ট মেঘেরা ও একদিনমেঘমল্লার রাগে ধরে গান,যন্ত্রণাক্লীষ্ট কোন হৃদয়ের গানকারো কারো কাছে এটা ফান। আটপৌঢ়ে জীবনের বাঁকে বাঁকেপলি আর দাম্ভিকতামনের অতল গহ্বরে তখনওষ্ঠাগত প্রাণ বাক স্বাধীনতা। মনটা তখন ছিল নরমসেই ছোট্ট ছেলে বেলাঘাত প্রতিঘাত দিন রাত এখনসবই শনিবারের বারবেলা।

অণু কবিতা- জন্মনেয়

জন্মনেয়ডাঃ তারক মজুমদার   কত শব্দ কত গল্পছড়িয়ে আছে চারিদিকবনস্পতির গলায় দোলেলতা গুল্মের উজ্জ্বল আলো। খিদের আগুন ম্লান ফাগুনএ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত সমাজশ্বাসকষ্টে ওষ্ঠাগত প্রাণজ্যোৎস্নাস্নাত সকাল খায় হোঁচট। নষ্ট সময় কষ্ট পায়সাহিত্য কারিগরস্বস্তির বিশ্বাস শব্দের ফিসফাসজন্ম নেয় প্রেমের শ্রেষ্ঠ কবিতা।

অণু কবিতা- কেন?

কেন… ? -পরিতোষ ভৌমিক      মা’গো তুর আঁচলখানি এত ছোট কেনসত্যি করে বলবি কি মা চোখে পানি কেন !বাঁশ বাগানের মাথার উপর শুধুই শুকনো রুটিচাঁদ কেন যাচ্ছে ঢেকে “কাগজ পত্রে ত্রুটি” ।আজ কেন মা মেঘে মেঘে শুধুই অ্যাসিড বিন্দুঈশাণ কোণে ভীষণ কালো , লড়াই বিশাল সিন্ধু ।মানুষ কেন মরছে পুড়ছে, জ্বলছে রোশানলেকাঁদছে মাতা হাসছে […]

অণু কবিতা- কোথায় তুমি সুখ ?

কোথায় তুমি সুখ ?ডাঃ তারক মজুমদার   রাত্রির পায়ে ঘুঙুর বাজেবেসামাল বহু মুখসাদা ভাতের সকাল কাঁপেসবাই খোঁজে প্রকৃত সুখ। সুখের দাম্ভিকতায় যখনগ্রাস করে  অ-সুখদিগন্তে চুম্বন আঁকে জলরাশিকত দুরে তুমি সুখ? সুখ পাখির পিছনে ছুটেপরে খসে সম্পর্ক যতউপোসী মনে শুধু অকারণেবর্দ্ধিত আজ ক্ষত।

অণু কবিতা- অযাচিত মন

অযাচিত মন -তাপসী শতপথী পাহাড়ী আমার উদ্বাস্তু মন ছোটে শুধু তাহার সন্ধানে, যা অবিরত পীড়া দেয় সীমা মাঝে অসীম বন্ধনে। যত না কাঙ্খিত আমি তার চেয়ে বেশি অযাচিত। যত প্রাপ্য মোর সাথে তার চেয়ে বেশিই বঞ্চিত। তবু মোর সত্য চিরদিন, অবিচল নিষ্ঠা পথে বিশ্ব মাঝে আনিবে সুদিন।

অণু কবিতা- ভরসা

ভরসা– নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত যাদের মাথায় একদম ছাতা নেইএকমাত্র পাখিওড়া ছায়াটুকু ছাড়া,ওদের কি কোনো হিসেবের খাতা নেই?তোমাদের ডাকে ওরা কেন দেবে সাড়া? ওদের বাইরে রেখে বন্ধ ক’রে ঘরএখন দেখছো চোখে ধু-ধু বালুচর। ওরা ডেকেছিলো, তুমিই দাওনি সাড়াতাই সব নদীনালা শুকিয়ে সাহারা। তোমাদের ছেড়ে গেছে অভিমানে তারাঅন্ধের ভরসায় পথ হাঁটে কি কানারা?

অণু কবিতা- কবির শেষপাতা

কবির শেষপাতা -বিকাশ দাস    কবিতা কি পাথরকল্পনাতীতদু’হাতের শ্রম ভেঙে ভেঙে মানুষের আদলেমূর্তি বানানোশব্দের আঁচড় অনুসন্ধিৎসুসৌন্দর্যয়ের লাবণী রক্তঘাম। কোন এক খোলা প্রত্যহেবাজারের চৌমাথায় একলা ছেড়ে আসাজমজমাট মানুষের যাওয়া আসার ভিড়ে মুক্তির বোধ। ক্রমশ কবির নির্মাণনিঃশ্বাস নিস্তরঙ্গঅযত্নে ভেঙে ভেঙে মৃত্যুর খটকাআর এক পাথর রুদ্ধশ্বাস সমাধি কবিতার শেষ পাতা।

অণু কবিতা- অনুভবের কথা

অনুভবের কথা-সত্য দেব পতি     পদ্ম পাতায় জলের ফোঁটা মুক্তো হয়ে ভাসে,তোমার লেখা কবিতা গুলো প্রাণের মতো হাসে;কখনও হয় ভরা পুকুর শ্রাবন ডাকে মনে-আবার কখন পলাশ শিমুল ডাক দেয় ফাগুনে…কখন দেখি দাঁত ঠকঠক পৌষালী বয় পুবে,জৈষ্ঠ্য দহন অগ্নীগড়ে আগুন লাগে ভবে!কখন আবার স্বচ্ছ শরৎ কাশের ভেলা বায়-নীল নীলীমায় আসে হেমন্ত শিশির ভেজা পায়।