-
কবিতা- পরমাত্মা
পরমাত্মা
– দীপঙ্কর বিশ্বাসডালে ডালে পরগাছা বেঁধেছে বাস,
আত্ম রস-রক্তে হলো শত শত ভাগ।
এ সুন্দর পৃথিবী নয় আমার পুরোনো,
তাও মনে হয় সব সম্পর্ক ঠুনকো!
হাজার হাজার মনের চড়া আর নামা,
প্রকৃতির সাথে যত রকমের খেলা!
শত ভীড়ে মিশে আছে পুতুলের সুদিন,
কখনোই ফিরবে না নিখোঁজ সেদিন।
আপন অনেক কিছু আজো সবুজ,
পরগাছায় আমার হৃদয়ের এ সাজ।
ভরা বুকের শূন্যতা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে,
হৃদয়ে যেটুকু ফেরে সকল প্রশ্রয়ে।
সমস্ত ভাঙা নৌকা রেখেছি অযত্নে,
বাক্স খুললে ঘ্রাণে মন ভেসে ওঠে!
আত্মীয়তায় গহীন স্রোত না থাকলে—
কখনো পারতাম না অন্য দেশে যেতে।
অভিকর্ষ টানে ভাসান থাকি অবিরাম—
সম্পর্ক ভীতে লেগে সুদূর কুটুম।
চলে যাই শরীর ছেড়ে কক্ষপথ ধরে—
শরীর চালায় আত্মা বন্ধনে মুড়ে।
জুটে থাকি যত দিন বসুমতী পিঠে —-
পুরা নব্য মিলেমিশে থাকি সয়ে সয়ে।
যত দিন বাঁচি নধর কলেবর নিয়ে,
জ্ঞানত দেখা হলো না পরম আত্মাকে। -
কবিতা- অর্ধমৃত
অর্ধমৃত
– দীপঙ্কর বিশ্বাসসে আদল রাতে রঙ মেখে সাজে দিন;
সহস্র বছরে বসন্ত ছড়ায় যে রঙ।
আমার প্রিয় রঙেরা খোয়ায় প্রতিদিন;
যাপিত শরীরে আমার শহুরে ঢঙ।ক্লান্তির ইতিহাস বেগুনী রঙ মেখে,
পথের কাঁটার মতো যাপন করে রাত্রি।
ক্ষয়ে যাই রোজ; ক্ষরণ হয় হৃদয়ে–
এখন কিছু বলতে নেই, ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছিঅসংখ্য মাত্রিক সংখ্যার মতো, আমার
অসুখ এখন রাত্রি যাপন করে। রোজ
নিজেকে খুন ক’রে নীল রক্তের
আয়ুষ্কালে বারোমাস হেঁটে চলা কাজ।আমার কোন ধর্ম নেই রঙ নেই লাল ছাড়া,
আবার আমায় বিসর্জন দিও এবেলা। -
অণুগল্প- তফাৎ ও ফারাক
তফাৎ ও ফারাক
-অতীশ দীপঙ্করঅনেক দিন পরে সেদিন হঠাৎ ছোটবেলার বন্ধু সোমেনের সঙ্গে দেখা হলো ট্রেনে। জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছিস? বোস আমার পাশে।
পাশে বসে বললো, একটা গাড়ি কেন, কতদিন আর ট্রেনে চেপে যাবি!
বেশ গর্বিত ভাবে বললো, দেখ মাধ্যমিকের পর বুঝেছিলাম আমার আর লেখাপড়া হবে না, তাই আজ আমার তিনটে প্রাইভেট গাড়ি, ছেলের তিনটে বাইক, তার মধ্যে একটা আবার কিনে দিয়েছি তিন লক্ষ টাকা দিয়ে! নোট বাতিলের সময় আমার কোন অসুবিধে হয় নি! আমার সব টাকা তো মাটিতে ছড়িয়ে রেখেছি আর যেটুকু তা ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে। আয়করের দেবতারা কোন ফুলে তুষ্ট আমি খুব ভালো জানি! তাই দেখ আমার কতগুলো বালি খাদ আছে, বিড়ির অতবড় ব্যাবসাও করেছি, অতগুলো ইট ভাটা চালাই সবাইকে কেমন ম্যানেজ করে! তোকে তখন কতবার বললাম ওসব ছাড়, আয় আমার সঙ্গে বালি খাদে লেগে পড়!
আজ একটা ভাঙাচোরা মোটরসাইকেল ছাড়া তোর কিছুই নেই! কেরানিদের মত তোর জীবনের স্রোত বইছে কেমন! এ জগতে টাকাই সব! টাকার গরমে শিক্ষাকে চাপা দেওয়া যায় বুঝলি?
তোদের মত শিক্ষিত মানুষ আর রাজনীতির লোকেরা আমায় কত তোষামোদ করে!
আমি এতক্ষণ মন দিয়ে সোমেনের কথা শুনছিলাম। ওর বিস্তারিত তথ্য ও সংস্কৃতির ভার আমাকে একটুও অবাক করেনি। আমার বাল্য বন্ধু সে, তাই খুব ভালো চিনি ও জানি; তার থেকেও ভালো জানা ও চেনা আছে আজকের অধিকাংশ পরিচিতের চলার পথ। আমি বললাম, ফারাক আছে রে অনেকখানি, তুই একদিন ঠিক বুঝবি।
হঠাৎ আমাদের স্টেশানে ট্রেনটি থামল, ও অফসাইডে নামতে চাইল, নামার আগে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, চল অফসাইডে নামি। আজকে ট্রেনটি অন্য প্লাটফর্মে দিয়েছে বলেই আমাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি উল্টোদিক দিয়ে নামলে একটু তাড়াতাড়ি হয়।
আমি বললাম, আমি কোনদিন অফসাইডে নামি নি, বুঝলি সোমেন তফাত খানিকটা ঠিক এখানেও। -
কবিতা- কবিতা
কবিতা
-অতীশ দীপঙ্করঅনুভবে কবিতা ধারণ পাত্রে যাপন চিত্র
প্রতিটি কবিতায় জীবনের কয়েকটি ছত্র।
নিরাশার দোলায় কবিতা অভিলাষ কথা
প্রবাহমান কালে ভেসে দোলিকায় দোলা।
কবিতা কাঁপায় কুল ছাপায় উদক চোখে
ভরে ঋদ্ধপ্রীতি নীতির শুভ্রশুদ্ধ আনন্দে।
কবিতা না হাসলেও আলো জ্বলে শোকে
বারুদের মতো জ্বলে ওঠে পাঠকের মনে।
হলে সে চিরন্তন জীবনের গল্পে নিয়ত রাত
কবিতা আলো হয়ে পাশে দাঁড়ানো প্রভাত।
অশুদ্ধতা অজ্ঞতা অন্ধকারের বিরুদ্ধ পথে
কবিতা সত্যসুন্দর নান্দনিক সৌন্দর্য রক্ষে।
নিকৃষ্টতা অবিচার অনাচার অনাসৃষ্টি গ্রাসে
গাঁথা জল-মাটি-বায়ু পাখপাখালিতে থাকে। -
কবিতা- কেউ সেভাবে ফিরে আসে না কখনো
কেউ সেভাবে ফিরে আসে না কখনো
– অতীশ দীপঙ্করশোনো কবি,
তোমাকে এক ঘুঘুর সাথে আলাপ করিয়ে দিতে পারি-
তোমার কী এখনো খুব মন খারাপ?
সেও কিন্তু কথা বলার জন্য ব্যকুল হয়ে আছে!
তুমি হয়তো বলবে,
“ঘুঘুর সাথে কথা বলব কেন!”তবে তোমাকে মাটির সোঁদা-গন্ধ মাখা
আতপ ঘাসফুলের কাছে নিয়ে যেতে পারি-
তোমাকে একেবারেই চিনবে না তারা!
তুমি হয়ত বলবে –
“এসব ঘাসফুলের সাথে কী কথা বলব!
কি আছে এদের জৌলুস ‘”?তবে তোমাকে একটি মজে যাওয়া
নদের কাছে নিয়ে যেতে পারি-
তোমায় দেখে হয়ত সেও মুখ ফিরিয়ে নেবে!
কিন্তু তখন তুমি বলবে-
–” মরা খাতে আমার কোন বন্ধুত্বের প্রয়োজন নেই”!
“যার জোয়ান মরদের যৌবন জোয়ার নেই-
উথাল পাথাল ঢেউয়ের মাতন নেই
তার সাথে কোন দিনই কোন সংযোগ রাখি না”!শোনো তবে-
তোমাকে তাজমহলের কাছে নিয়ে যেতে পারি-
সে কিছু আলাদা স্মৃতি তোমায় মনে করিয়ে দিতে পারে!
তুমি হয়ত তখন বলে উঠবে-
“সৌধ কি গাছ? যে দেবে এক নির্জন আকাশ-
শুধু আমার জন্যে?”তবে আমি তোমায় বলি শোনো,
তোমার এসবের কিচ্ছু আর মোটেই প্রয়োজন নেই-
শুধু নিজেকে নিজে ভালবাসতে জানো-
ভালো করে আগে চিনতে শেখো নিজেকে।
নীল নীল প্রেমালাপ মুছে ফেলে দিও;
ছেড়ে দাও তীব্র উপমা, হলুদ কল্পমালা;
তোমাকে বলেছিলাম সেই কবেই।যদিও একদিন ঠিক তুমি আকাশের কাছে
নতজানু হয়ে ভিক্ষে চাইবে!
বলবে-
“ফিরিয়ে দাও —
সে বনঘুঘু ঘাসফুল আর নিঃস্ব-নদ” !
ওই তাজমহলের বুকেই
তুমি আকাশ খুঁজবে—
আমি তখন হাসব,
আর সকলেও হে..হে করে হাসবে!
কেউ ফিরবে না আর কোনদিন তোমার কাছে;
কেউ আর ফিরতে চায়নি বলে-
আমি তখনো বলব তফাৎ যাও কবি!
চাই না এমন অহমের বিকৃত হলুদ রঙের ছবি!
তফাৎ তফাৎ তফাৎ যাও কবি ! -
কবিতা- ব্লাকআউট
ব্লাকআউট
-অতীশ দীপঙ্করএমন অসহ্য দিন বেশীক্ষণ থাকে না–
অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে না বলে
পাল্লা দিয়েছে হাওয়া মুষ্টিবদ্ধ হাতে দৌড় লাগিয়ে।
মনে রাখব এসব স্বপ্নভূক দিনগুলোর কথা;
হয়তো পেরিয়ে যাবে মানুষের এ জন্ম!
কথা উঠেছে নানা ভাবে–
মানুষ কিন্তু চিনে রাখছে এই বিগত জন্ম।
এখন যা, তা আমাদের নিজস্ব শব্দ,
নিজস্ব ভাষা শৈলীর প্রবাহে খুব চনমনে;
পায়ে পায়ে তাল ঠুকে নাচছে উদাত্ত কন্ঠে গেয়ে।
অন্ধকার থাকে না বলেই থাকবে না-
এমন বিষম অন্ধকার শিয়রে এসে খানিক দাঁড়িয়ে পড়ে।
খেলনা পুতুল আর নিয়ম ভাঙার খেলা উপস্থিত,
আজকাল চারিদিকে শুনতে পাই–
অপসৃত আলোর সন্ধানে খুঁজে তোলপাড় করছে মরুপথে;
ঝরে পড়া বেদনা কুড়িয়ে নিয়ে বেদুইন!
কোন কারো সাধ্যি থাকবে না আর-
ছড়িয়ে পড়ছে অজানা বাতাসের সাথে
নিঃশর্ত আলিঙ্গনের মগ্নতায় ভেসে ভেসে।
কাঁঠাল জামরুল পাতায় পাতায় ব্লাকআউটের ধ্বনি,
সবুজের দেশে অন্য উচ্চারণ!
দেহ ভেদ করে ঢুকছে নগ্ন কারিগর!
হলুদ হলুদ সরষে ফুলের পরাগেও অচেনা আঁধার!
পাতায় পাতায় সবুজ মুছে যায়!
রাতের আগন্তুক উচ্চস্বরে চমকে দিচ্ছে হাজারো মন!
আঁধারেও বৃষ্টি নামছে তেপান্তরের মাঠে-
এখানে কেউ কেউ বিভোর, হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে!
তীব্র যন্ত্রণায় কেঁপে কেঁপে
জ্বলন্ত আগুন লাগা বুকে পথে পথে দৌড়ে বেড়াচ্ছে!
গল্প শুনতে শুনতে মানুষের জীবনে রাত্রি নেমে এসেছে!
ভুলেছে কবিতারাও আলো হাতে পাশে এসে দাঁড়াতে!
সেই কবে থেকে তারা তেমনি আছে
শুধু মানুষের গল্পগুলো যাচ্ছে পাল্টে!
আমরা সকলে মরে গেছি এমনটা নয়;
নিয়ত নতুন নতুন দৃশ্যের জন্ম হচ্ছে,
ঘোড়ারা স্বপ্ন দেখার হিম্মত হারিয়ে
কেবলই ঘাস খায় এ আঁধার রাতে।
বোধহয় তাম্রলিপ্ত যুগ পেরিয়ে আদিম যুগের আগের কোন সময়ে-
ঘোড়ারা ঘাসের লোভে এখনো চড়ে বেড়াচ্ছে। -
কবিতা- গাছের অষ্মিতা
গাছের অষ্মিতা
– অতীশ দীপঙ্করগিরগিটিরা কখনো আত্মহত্যা করে না;
প্রতিটি মুহুর্ত স্রোতের মতো জড়িয়ে ধরে।
মরো মরো! আর বেঁচো না!
বেঁচে থাকার রসদগুলো যেন ফুরিয়ে দেয় মুহুর্তে!
সব রসদ মজুত আছে গাছে;
যা কিছু সৃষ্টি যা কিছু অনাসৃষ্টি সমস্ত
অন্তর একটি বৃক্ষের মতো প্রকান্ডের ডালপালার অনেক ক্ষত নিয়ে।প্রকৃতি আমারও ঠিক মায়ের মতো;
এই নদী এই জল পাহাড়ের শৃঙ্গের দুধসাদা ধবল,
সকালের রোদ্দুর আর একলা বিকেল সব।
অজস্র পাখি গাছের ডালে ডালে মল ত্যাগ করে,
বেলা অবেলায় কত নিরুপায় মুখে পরকীয় সুখ তলে তলে!
আমার শেকড় এখনো মাটির নিচে,
হৃদয় বিলিয়ে দেওয়ার নিত্য সুখে;
চির সবুজ ইচ্ছেদের ছায়াটুকুও দিয়ে যাব বিলিয়ে!সমস্ত রঙে নিমজ্জিত না হলে সাদা রঙ হয় না যে,
পাতা ছেঁড়ার সব ব্যথা ভুলে যাই
ভাঙা ডালের একটু বেশি যন্ত্রণা নিয়ে!
বিষাক্ত বায়ু নিমেষে আরো পচে যাবে!
আমি যে ছিলাম তা কি কখনো বোঝা যাবে?
বিছানায় নয় ছায়ার মধ্যে নয়–
আমি হৃদয়গুলোর কিছুটা হরণ করতে চাই;
অন্তত জিয়ল গাছের মতো কিছু কাল যদি
প্রান্ত সীমানায় থেকে যেতে পাই! -
কবিতা- পরিচ্ছদ
পরিচ্ছদ
– অতীশ দীপঙ্করজীবনের দাম সব চেয়ে বেশি;
যদিও পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় সাদাকালো আঁকিবুকি লেখা।
জীবন খাতায় ভরা চড়াই উতড়াই
সুখী সুখী আঁকা ব্যথা।প্রতি দিন আঁধারে বেঁচে থাকে
সূর্যের কাছে হারানো আলোর ছটা,
তুতপোকার স্বপ্নবাসা আঁকাবাঁকা শরীরে
শীতের সকাল জুড়ছে নিঃশব্দে শুষ্কতা।একে একে ছাল ওঠা গাছের বাকলের মতো
যুদ্ধেও বসন্তের অপেক্ষায় থাকবে,
বসন্ত নতুন পাতা আর ফুলে সাজছে এতো;
মরা ডালেও কি ফুল পাতা ফিরবে!পৃষ্ঠার সাদা পাতায় কালো কালো ছাপ দেওয়া;
আঁকে একদল কালি ছেটানোর শীতল মাথা,
নিয়ত সাঁতারেও যদি করে তারা হুল ফোটানোর চেষ্টা
তবে বৃথা হবে; খিল না খুলে যেমন ভাঙে দরজা।। -
কবিতা- নাম দিও তবে
নাম দিও তবে
– অতীশ দীপঙ্করশব্দের মধ্যে শুয়ে বসে গুলি ছুড়ছে কেউ কেউ;
আমি বলছি না ঘুরিয়ে দাও সে নির্দেশিকার দিকে,
তবে বুঝিয়ে দিতে পারি মুখে বোনা হচ্ছে ঘৃণার বীজ।
শত্রু অনেক তাই চলো মিছিল করতে যাই!
নিজের সন্তানের মুখে চোখে- চোখ রেখে
অন্তত শিউরে উঠি চলো যাই!জানালার পাশের আসনে বসে ভালো লাগে বৃষ্টি
আর ধুয়ে দেওয়া শরীরের প্রেমিকা অঘ্রাত মুখ;
সে কোল জুড়ে আদরের বিদেশী কুকুর মাখামাখি।খবরের কাগজের শেষ শহর সংস্করণেও
নীতিতে থাকল না সকলের চোখ-
খবরওয়ালারা কী প্রতিদিন সুস্থ মানুষকে নিরোগ রাখে!
শুধুমাত্র উস্কে দেয় ইন্টারেকসন বিচরণ ঠাট্টা তামাশা প্রতিক্রিয়ার ভন্ডামি!
কবিতা লেখার একটি পর্যালোচনা মাত্র করছি এটি -
কবিতা- ঘুর্ণি
ঘুর্ণি
– দীপঙ্কর বিশ্বাসযত সঞ্চয়ে আপন মন ভরাই
ফেলে আসা সে স্মৃতির মোড়ক
আগামীর পথ স্বপ্নের দোলাচল
দেখি শুনি জ্বালি প্রদীপ্ত জাক।
ফেলা আসা পথ পেছনের কথা
ছোটছোট বহমান খুশির গান,
সমুখের পথ জীবনের ক্যানভাস
আঁকিবুঁকি কেটে থাকে অভিমান।
জীবন ফসিল জমা ভাঁজে ভাঁজে
আমিও হারাই প্রতি মরশুমে,
যাবই যখন অন্য কোন পোড়া বাড়ি
থাকব উচ্ছল এ এলোপাথাড়িতে।