নতুনে ভরুক ধরা– তড়িৎ সেন কপাটটা বন্ধ আছে বহুদিনমনের কালিমাগুলো যতআটকে আছে মনের ভিতরভাবনা চিন্তা জমে আছে কত, এই লৌহকপাট ভেঙ্গে দিতে হবেমুক্ত বাতাস আসুক মনেএলোমেলো অগোছালো চিন্তাগুলো যাবেকালিমাগুলো মুছে যাবে সেইক্ষণে, মন যে কি চায় মনই শুধু জানেবিনিদ্র রজনী কাটে তারা গুনে গুনেভাবনাগুলো স্থিতিস্থাপক হয়ে থাকেনতুনের চিন্তা আসে না তো মনে, যদি পাখি […]
কবিতা- একথোকা রঙ্গন
একথোকা রঙ্গন– তড়িৎ সেন রঙ্গন গাছটা ফুলে ভরে আছেতার থেকে এক থোকা তোমার খোঁপায়লালচে গোলাপী তার রঙঠিক তোমার গায়ের মতনকালো চুলে বিশাল খোঁপাচূর্ণ কুন্তল কপোলে কপালেনাকটা একটু চাপা নাহলে সুন্দরশাড়িটা বাহারি করে পরাতোমার চলন বড় ছন্দময়চোখ দু’টো হরিণ নয়নামুনি ঋষিও চপল হয়তোমার চকিত প্রেক্ষণে,আমি কোন ছাড়,তবুওতো তুমি আমার সঙ্গিনীতোমার আধো কথা মিষ্টি ভীষণআমি […]
কবিতা- সাদা ছবি
সাদা ছবি– তড়িৎ সেন তোমার ক্যানভাসে যে ছবি এঁকেছোতা বড্ড সাদা ও ফ্যাকাশেএ যেন প্রাণহীণ ছন্দহীন কোন নারীরক্ত নেই, চোখ দুটো ম্লান বিষণ্ণ লাগেকপালে সিঁদুর নেই সিঁথিও যেন সাদা , না না তুমি গাল দুটো লাল করঠোঁট কর পান রসে লালনা থাক লিপস্টিক, মাথায় তেল থাকরুক্ষ শুষ্ক নয় হোক পয়োধরাআঁকো মাতা বিশ্ব ধরিত্রীর, […]
কবিতা- চাঁদের হাসি
চাঁদের হাসি-তড়িৎ সেন ভোরের বেলা সূর্য্য যখন ওঠেচাঁদমামা সাদা মেঘে খায় লুটোপুটিডেকে বলে আয়, চেয়ে দেখিসূর্য্য ওঠা জবা ফুলের মতন,বলাকারা যায় ভেসে যায় দূরেঅবাক চোখে তাইতো চেয়ে দেখা;আমার তো রাতেই শুধু আলোসূর্য্য যখন ঢলে পড়ে সুদূর অস্তাচলে,তার আলোতে আমার গায়ে আলোতখন আমার সোনা রঙে রঙচাঁদবুড়ী ঘরর ঘরর চড়কা কাটে বসেআর বলে ওরে “চাঁদ” […]
কবিতা- রাধাচূড়া
রাধাচূড়া– তড়িৎ সেন বৈশাখ শেষে রবি ওঠে তেজেরাধাচূড়া গাছ হলুদ ফুলেতে সাজেকৃষ্ণচূড়াও লালে হলো লালগাছদুটো দূরে দূরে,এখনো রাধাচূড়া শাখেকালো কৃষ্ণ কোকিল ডাকেপ্রিয়ারে শুধায় কোথায় তুমি,কৃষ্ণচূড়া ভাবে রাধাচূড়া গাছযদি আরো কাছে হতোতাহলে পেতাম একটু পরশ,তখন আমি গাছের তলায়উদাসী বাতাস বয়ে যায়কাকে ডাকে! কেবা তাহা জানে,একটি রাধাচূড়া ফুল এসে পড়েসামনে আমার, বলে রেখে আয়,কৃষ্ণচূড়া গছের […]
কবিতা- মেঘে মেঘে
মেঘে মেঘে– তড়িৎ সেন মেঘে মেঘে সারা আকাশ ছায়অসময়ে আঁধার আসে নামিবাজ পড়লো দূরে কোন মাঠেসূর্যাস্তের সময় নয় তো মোটে,ত্রস্ত ডানায় উড়ছে দেখো বকজল ট্যাংকে গুচ্ছ কাকের ঢলফিঙেটাও পালিয়ে গেলো কোথাআকাশপানে আমি চেয়ে রইএদিক ওদিক মেঘ ছুটছে কোথা,ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হলো খানিকভিজলো জলে সব রাস্তা ঘাট,গাছগুলো সব ডাকছে হেলে দুলেএই বৃষ্টি পড়না জোরে হেথা,জামা […]
কবিতা- নিত্য আসা যাওয়া
নিত্য আসা যাওয়া– তড়িৎ সেন শেষ রাতে ঘর ছেড়ে ছোটারাত করে ঘরে ফিরে আসা ,আমি ঠিকা শ্রমিকনিত্য যাত্রী বনগাঁ লোকাল,বনগাঁ থেকে কত আরো যায়আমার সাথে নিজাম, বিভূতি, মনা,মনার বয়স কত হবেসুন্দর সুঠাম কিন্তু কালোও যেন আমার এঁটুলিচুপ করে গায়ে লেগে বসেবললেও কিছুই শোনেনা,স্বামী তার নিরুদ্দেশ বেশ কিছুদিনরেখে গেছে একটা বাচ্চা আর শাশুড়িকে,মনার তিনশ […]
কবিতা- জাগোরে
জাগোরে– তড়িৎ সেন মেঘলা আকাশ মনটা উদাসসকাল বেলায় একটা শালিকফাগুনের রঙ এ বৈশাখেকোকিলের উদাসী কূজনমন বলে চলো চলে যাইঅন্য কোথাও অন্য কোনখানেউষাকালে বাউলের গানেমাঝিদের ভাটিয়ালি টানেদখিনা বাতাসে কপোতের সাথেঅথবা করতাল বাজিয়েযে রমণী কৃষ্ণ কৃষ্ণ গায়হঠাৎ মেঘের ফাঁকে সূর্যোদয়একেবারে মন ভালো করাযেন অমর পালের সেই গান“জাগো জাগোরে নগরবাসী।”
কবিতা- কোথাও নাই
কোথাও নাই– তড়িৎ সেন ভোরবেলা অবগাহনের পরেপদ্ম পুকুর পারেচুল আকুলিয়া দিলেবিস্তৃত পিঠ ‘পরেআমি সে রূপ নেহারিবিমোহিত হয়ে যাইতব হেলদোল নাইপদ্ম ফুলের ‘পরেএকটি ফড়িং ওড়েউড়ে আর এসে বসেশীতল বাতাস বয়তব রূপ অপরূপপ্রকৃতিতে বিলীন হয়হৃদয়ে আবেগ আসেআঁখি মুদ্রিত হয়সময় গড়ায়ে যায়আঁখি খুলে দেখিতুমি কোথাও নাই।
কবিতা- আমি গান গাই
আমি গান গাই– তড়িৎ সেন আমি যদি চারণকবি হোতামগান গেয়ে আর পায়ে পায়েকোথায় চলে যেতাম,তোমার বাড়ির উঠোন পেরিয়েকাঁঠাল গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েগলা ছেড়ে গান মান অভিমান,আমার গানে হাজার কথা বলান্যায় অন্যায় সামনে নিয়ে তোলামা ঠাকুমা বসতে বললে বসিএকমুঠো চাল ঝোলায় তুলে রাখি,উজাড় করে গান শুনিয়ে যাইকতো গ্রাম যাই ঘুরে ঘুরে —ঘরে ফিরে আসি নতুন […]