-
আবহমান
আবহমান
– শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দেসময় কাটে সময়ের হাত ধরে।
বিষন্ন চাঁদ, কালো আকাশ বুকে,
একলা সাঁতরে বেড়ায় সমস্ত রাত ধরে।
আলোর প্রতিফলনে,
প্রেমাস্পদে মাতোয়ারা করে গোটা জগৎ,
দিনের আলোয় সেই আড়াল!
কলঙ্কিত কালিমাদের
সূর্যালোকে, জনসমক্ষে আসতে নেই যে!
তাই না বলা কথাগুলো শুধু
রূপকথা হয়েই থেকে যায়।সময় কেটে যায় সময়ের হাত ধরে।
কালপ্যাঁচারা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে;
তাকিয়ে থাকে শিকারের আশায়।
উজ্জ্বল চাঁদটা আরও বড় হয়ে
আলো ঠিকরে দেয় অতলে।
খাবারের খবরে প্যাঁচাদের তখন মহোৎসব!সময় কাটতেই থাকে সময়ের সাথে।
অসহায় চন্দ্রিমা কার উপর রেগে,
কিসের প্রতিশোধ নিতে চায় বুঝিনা।
মহাভোজ সেরে ক্ষুধার্তের দল তখন ক্লান্ত।
বিশ্রাম দিতে চায় পরিশ্রমী দেহকে।
সদ্যভোরের আকাশে চাঁদের তখনও থেকে যাওয়ার
বৃথা মরিয়া চেষ্টা।
সূর্যালোকে কলঙ্কিনীর কোন ঠাঁই নেই যে!সময় কেটেই যায় সময়ের হাত ধরে।
-
বোধন
বোধন
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দে“ধুর ধুর আর ভালো লাগছেনা!” গজগজ করতে করতেই বাজারের ব্যাগটা নামিয়ে রাখল সুকুমার। প্রবীণ এই মানুষটির বাড়িতে তিনি আর তাঁর স্ত্রী ভিন্ন প্রাণী নেই দুটি। ছেলে অনিন্দ্য, স্ত্রী এবং তাদের একমাত্র কন্যা রাহীকে নিয়ে দিল্লীতে থাকে। রাহী বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যা এবং সবার আদরের। বিশেষত দাদানের প্রিয় নাতনী। পুজোর আর কটা মাত্র দিন বাকি। বছরে এই একটা সময়েই দেখা হয় দুই প্রিয় বন্ধুর অথচ এ বছর হবেনা। তাই মন মেজাজ খারাপ সুকুমারের। কাল রাত অবধি সে জানত যে ওরা আজ সকালের ফ্লাইটে কলকাতা আসছে কিন্তু ভোরে অনিন্দ্য ফোন করে জানায় যে হঠাৎ কিছু জরুরী কাজ এসে পড়ায় তারা এ বছর আসতে পারছেনা। তখন থেকেই মেজাজ খারাপ সুকুমারের। সুকুমারের স্ত্রী মলিনা কিন্তু এসব নিয়ে আদপেই চিন্তিত নন। পুত্র-পুত্রবধূর প্রতি টান একটু কম বললেই চলে তবে নাতনীর না আসাটা তাঁকেও কিঞ্চিৎ বেগ দিয়েছে তা বোঝা যায়।
মলিনা, ভাঙবে তবু মচকাবেনা প্রকৃতির মানুষ তাই সুকুমারের কথাতে কিছুটা বিরক্ত হয়েই বললেন, ” কথায় কথায় এত ভালো না লাগার কি আছে শুনি?” সুকুমার জানেন যে মলিনাও ভেতরে ভেতরে যথেষ্ট বিরক্ত তাই আর কথা না বাড়িয়ে খবরের কাগজ নিয়ে বসলেন। মলিনা এ বছর তাঁর প্রিয় নাতনীর জন্য নিজের হাতে একটি জামা বানিয়েছিলেন। দাদান অবশ্য নাতনীর মায়ের পছন্দ অনুযায়ী বড় নামী দোকানের দামী জামা কিনেছিলেন রাহীর জন্য। কিন্তু যার জন্য এই আয়োজন সেই তো আসছেনা!
দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। ষষ্ঠীর সকাল, বোধনের দিন। পাড়ার পুজো মন্ডপ থেকে মাইকে ভেসে আসছে নির্ঘন্ট তালিকা। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। সুকুমার তখন ইজি চেয়ারে বসে শারদীয়া বই পড়ছিলেন। কড়া নাড়ার শব্দে অবাক হলেন। এত সকালে আবার কে এল! মলিনা এসে দরজা খুললেন। একটা ছোট্ট মেয়ে একগুচ্ছ শিউলী কুড়িয়ে এনেছে। কচি গলায় মলিনাকে জিজ্ঞেস করল, “ফুল নেবে দিদা?” বড় মায়া হল ওকে দেখে। পরনে একটা আধ ময়লা ছেঁড়া জামা। বুকে সেফটিপিন দিয়ে কোন রকমে আটকে রাখা আছে। তারই মধ্যে জ্বলজ্বল করছে ওর মুখ খানা। সুকুমার দেখলেন মলিনা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। নিস্তব্ধতা ভেঙে সুকুমার জিজ্ঞেস করল, “তুই ফুল কুড়িয়েছিস?” ও ঘাড় নেড়ে বলল হ্যাঁ। মলিনা ওকে ডেকে ঘরে আনল। তারপর একটা ঝুড়ি এনে সব ফুল কিনে নিল। ওর খুশি মুখটা দেখে বেশ ভালো লাগছিল সুকুমারের। হঠাৎ মলিনা ওকে একটু দাঁড়াতে বলে ভেতরে চলে গেল। ফেরত এল একটা জামা নিয়ে। ওই জামাটা যেটা রাহীর জন্য বড় যত্ন করে বানিয়েছিলেন তিনি। জামাটা হাতে নিয়ে ওর খুশি যেন দশ গুণ বেড়ে গেল কিন্তু সুকুমারের ভালো লাগাটা যেন একটু খারাপ লাগায় বদলালো, তবে মুখে কিছু বলল না। মাঝের কদিনে মলিনা একটা কথাও বলেনি অনিন্দ্যদের আসার ব্যাপারে। তবে মনে মনে যে ভালোই অভিমানের মেঘ জমেছে তা অজানা নয় সুকুমারের।
সন্ধ্যেয় পুজো মন্ডপে প্রতিমার সামনে বসে একদৃষ্টে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল সুকুমার। কোথাও অপরাধবোধ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তাকে। আসলে কাজ না, পুত্রবধূর আবদারেই পুত্র এবারের পুজোয় কলকাতা না এসে সপরিবারে অন্যত্র ঘুরতে যাবার বন্দোবস্ত করছিল। মলিনাকে সেকথা মুখ ফুটে জানাতে পারেনি সুকুমার। এমনিতেই মলিনার সাথে খুব একটা সদ্ভাব নেই তাদের তার উপর…. এসব ভাবতে ভাবতেই চোখ যায় পাশে। ফুটফুটে হলুদ জামা পরা একটা মিষ্টি মেয়েকে দেখতে পান তিনি। ভালো করে চেয়ে দেখেন আরে এটা তো সেই মেয়েটা! সকালে যে এসে শিউলী দিয়ে গেল। রাহীর জামাটা কি সুন্দর মানিয়েছে ওকে, যেন ওর জন্যই তৈরী হয়েছিল ওটা! সমস্ত শরৎ যেন ওর হাসিতে নেচে উঠল। সুকুমার হঠাৎ দেবী দর্শন করলেন! মৃন্ময়ীর হাসি চিন্ময়ীতে ধরা দিল। এমন সময়ে পেছন থেকে দুটো চেনা হাত গলা জড়িয়ে ধরল সুকুমারের। তিনি শুনতে পেলেন, “দাদান আমরা এসে গেছি। বাবাই আমাকে এখানে নিয়ে এল, মাম্মাম, আর দিম্মা আসছে। আমি তোমাদের ছেড়ে কোথাও যাবনা।” ঝাপসা চোখে সুকুমার দেখলেন মায়ের সন্ধ্যা আরতি শুরু হল।
-
অপরাধী
অপরাধী
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দেদুপুর সাড়ে বারোটায় হাজিরা।
সমন এসেছে উঁচু তলার আদালতে।
কৃত সব ভুলের নির্ভুল খতিয়ান!
অপরাধী নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায়।শীর্ণ দেহ, প্রত্যয়ী দুটো চোখ কথা বলে,
চিৎকার করে, আর্তনাদ করে!
বিচারালয়ে নিস্তব্ধতা,
মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে স্বয়ং যমদূত।
অপরাধ খুনের।
হত্যা করা হয়েছে একটা স্বপ্নের।একটা মন স্বপ্ন দেখেছিল-
মাঝ আকাশে ডানা মেলে উড়বে।
কিন্তু অন্ধ গলির কিছু দুর্গন্ধময় বিষাক্ত কীট
আকাশে নীল মেঘ উড়িয়ে দিয়েছিল।
ওড়া আর হয়ে ওঠেনি।
ক্লান্ত ডানা দুটো ঝাপটে
দপ করে নিবে গেছিল বিষাক্ত কীটগুলো
সাথে স্বপ্নীল মনটাও।
না কোন মৃতদেহ জমা পড়েনি লাশকাটা ঘরটায়।কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দু পেয়েটি ভাবে,
মৃত্যু হবে কার? -
গিরগিটি
গিরগিটি
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দেরঙবদলের খেলাতে,
খেলার ছলেই কবে যেন সামিল হয়েছিলাম।
ঠিক মনে করতে পারিনা, তাই
কালের কালান্তরে বদলাতে দেখি,
আমার নিত্যদিনের রঙ!তুমি বলেছিলে রঙ খেলা পছন্দ নয় তোমার।
তাই আবীর না,
প্রথম যৌবন রাঙা করেছিলাম তোমার রঙেই।
নেই রঙের রঙীন ক্যানভাসে তুমি এঁকে দিয়েছিলে-
একটা জ্বলন্ত ভিসুভিয়াস!
সমস্ত বুকজুড়ে দহনজ্বালা সাজিয়েছিলাম।
সে তো তোমারই জন্য, তবু
আত্মাহুতি নিয়ে কবে যেন চলে গেলে তুমি।
কেউ এসে ভিসুভিয়াস মুছে
নতুন করে এঁকে দিল সমুদ্র!
ভাবলাম প্রাণ জুড়োলো নাকি?
সাগর তখন বিশাল বুকে ডুবিয়ে নিল আমায়।
ভেসে ওঠার মরিয়া নীল চেষ্টা।
আবারও কেউ এসে নৌকা এঁকে দিল।
কিন্তু নোনাজলে সে তরণী মুছতে
সময় লাগেনি খুব বেশি।রঙের খেলায় খেলতে খেলতে
নিজের রঙটাই ভুলে গেছি।
আজকাল শুধু বর্ণালী ছোঁয়ায়
বর্ণময় হয়ে উঠি নিত্য।নতুন কোন ছবি খুঁজে পাওয়া গেল?
-
যুগান্তরে
যুগান্তরে
শ্রী ভট্টাচার্য্য দেঅভিমানী কালিন্দির কালো জলে ডুবে যেতে যেতে,
দিগন্তপারে দেখেছিলাম রাঙা সূর্যোদয়।
ঠোঁট অস্ফুটে জিজ্ঞাসা করেছিল,
এই কি সেই চিরকাঙ্খিত অমলিন ভোর?কালিয়ের বংশধরেরা
তখনও ফনার বিস্তার সাজিয়ে প্রস্তুত;
রমনসুখের আধিপত্য গড়ে তুলবে বলে!দিনের আলো যত স্পষ্ট হয়,
কোন এক নাম না জানা ঘাট থেকে
মাটির কলসী ভেসে যেতে দেখা যায়।কালিন্দির জল কোনওদিনই
আঁধারমুক্ত হয় না! -
ইচ্ছে
ইচ্ছে
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দেসব স্বাদ জিভে এসে ধাক্কা দেয়না ঠিকই,
তবে তাকে লাভ করার সাধ যে
একবারও জাগেনা মনে; তেমনটা নয়।
কিছু গন্ধ, শরীরে আল্পনা এঁকে দেয়,
সরীসৃপের চলন!
সে শীতলতা টের পাও তুমি?আমার মনে এক’শ ভিসুভিয়াস
দাউ দাউ করে জ্বলে।
অন্তরে অনুভূত হয় দাবাগ্নি।তোমার কলমের প্রতিটা আঁচড়
না জানি কেন পোড়ায় আমাকে,
ওড়ায় আমাকে অন্য আকাশে।মেঘেদের সঙ্গে তোমার ভাব আছে জানি।
বৃষ্টিকে বলে দিও-
এ আগুন শুদ্ধ করে, দিনের রোজনামচা।
শান্ত গভীর ছন্দে, নির্লিপ্ত শয়নে,
সে যেন আমাকে পুড়তে দেয়। -
প্রতিশ্রুতি
প্রতিশ্রুতি
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দে
কথা দিয়েছিলে ছোট বড় সব বাঁকেই এমন
থেকে যাবে তুমি, আগেও ছিলে যেমন।
নির্লিপ্ত ভালোবাসা অঙ্গে কিছু মেখে,
কিছুটা বুকপকেটে সামলে রেখে-
পরিচিত সময়ের মাঝে,
চিঠির ভাঁজে
দেরাজে।আজ
অনেক কাজ!
অফুরান নাটকীয় সাজ,
ব্যস্ততার মোড়কে ঢাকা মন
আলোকিত রাস্তায় হেঁটে চলে অকারণ।
হয়ত কথার কথাগুলো, হারিয়ে গেছে ভিড়ে;
কিংবা হেরেছ তুমিই, কোন প্রয়োজনহীন প্রেমের নষ্টনীড়ে! -
রূপান্তরিত
রূপান্তরিত
-শ্রী ভট্টাচার্য্য দে
পুরোনো হয়ে যাওয়া হলদে কাগজের পাতাটা সেদিন
ভীষণ রকম জীবন্ত হয়ে উড়ে এসেছিল হাতে।
ঝোড়ো হাওয়ায় ওর ইচ্ছেডানারা হয়তো
প্রাণ এর শেষ নির্যাসটুকু পেয়েছিল
আর তাইই সম্বল করে সে এসেছিল-
না বলা কথাগুলো জানিয়ে দিতে।প্রথাগত কোন চিঠি লেখা ছিল না ওতে
কিংবা ছিলনা পরিচিত প্রিয় সম্বোধনও।
বরং একরাশ নীল-কালো অভিমান
নোনতা জলের প্রবল বান নিয়ে
আছড়ে পড়েছিল পার-ভাঙা কান্নায়।একাকীত্বের কোন ভারী সংজ্ঞা,
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরীর জন্য নয়।
নিরালা চাঁদ নিভৃতে শরীরে মাখিয়ে দেয়-
জোৎস্নার ছাই!
সেইই প্রাপ্তি, ওই হলদে স্মৃতির!দিনের পর দিন কাটে,
রাতের পরে রাত।
তবু জানা হয়না –
যে হাত উড়ো চিঠি ছুঁয়েছিল
সে পাথর কতটা নির্জীব!
শিলা থেকে শিলান্তর।
আলোয় সাজানো চাঁদোয়ার নীচে সংসার হয়না,
যেটুকু পরে থাকে, তা মিথ্যে অভিসার। -
আসমানী চিঠি
আসমানী চিঠি
-শ্ৰী ভট্টাচার্য্য দেতিনটে জেলা, একটা নদী পার করে,
আমার এই একরত্তি নীল চিরকুট
তোমার ঠিকানায় কোনদিনই পৌঁছাবে না জানি।
তবু বেনামে লেখা এই অখ্যাত চিঠিটা
লেখা হয়েছিল কয়েক আলোকবর্ষ আগে।
না না আলোয় না।
আমি আঁধারেই ছিলাম। জানি আলো তোমার দুর্বলতা
তাই জমাট বাঁধা একরাশ মিশমিশে কালো নির্জনতা
ঢেলে দিয়েছিলাম তোমার শরীর জুড়ে।
ভালবেসেছিলে আমাকে? জানা হয়নি।অযত্নে লেখা চিরকুটটাও বড্ড অভিমানী।
তাকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম তোমার ঠিকানার উদ্দেশ্যে
কিন্তু সময়তরী বেয়ে, হাওয়ায় পাল তোলেনি সে।
বন্ধ খামে অন্ধকারেই তাই থেকে যাওয়া।
ঠিক যেমন রেখে গেছ তুমি।ভ্রমরকে বলে দিও-
নিশিপদ্মের মৃতদেহে যদি সে একবার উড়ে আসত,
হয়তো অন্য আকাশে মুক্তি পেত সে!
হয়ত মাঝ সমুদ্রে ডিঙি হয়ে ভেসে যেতে পারত!
হয়ত… -
অন্তর্বাহি
অন্তর্বাহি
-শ্রী ভট্টাচার্য্য দেএকটা সমুদ্র দেখতে ইচ্ছে করে।
একটা সমুদ্র, যাতে নোনা জলের ঢেউ নেই।
যার কোলে ভেসে গেলে দূর দিগন্তে
আকাশ ছুঁয়ে ফেলা যায়।
যেখানে ঝিনুকে ঝিনুকে আদুরে আলাপন।আমার কাছে একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি আছে।
অগ্নুৎপাত হয়না এখন আর।
কিন্তু অন্তরে তপ্ত লাভার গরম আশ্বাস অটুট।
যেকোন দিন জ্বালামুখ ফাটিয়ে,
দেহচূর্ণ করে চ্যুতিপথ বেয়ে বেরিয়ে আসবে-
উত্তপ্ত তরল।
অপেক্ষা শুধু সময়ের।তারও আগে,
ওখানে একটা সাজানো উপত্যকা ছিল জানো!
কবে যেন এক ভূমিকম্পে এমন পরিবর্তন।সেই সাগরটার সন্ধান পেলে জানিও।
মৈনাকের মত, আমিও ডুবে যাব গভীরে।
তারপরদিন,
একটা মৃত পাহাড় ইতিহাস হয়ে যাবে।
সেদিন আমিও নিখোঁজ।
নিঃসঙ্গতা আর খুঁজে পাবেনা আমাকে।