• কবিতা

    কবিতা- বাঁচুক মানবতা

    বাঁচুক মানবতা
    -সুমিতা পয়ড়‍্যা

     

     

    কেক কাটাতে আনন্দ এল
    আগুন জমছে বিস্ফোরণের
    রক্ত ঝরলে রক্তের দাগ
    ক্ষমার কাপড়ে মুখ ঢাকবে মরণে।

    ধর্ম বোধের দোহাই দিয়ে
    ছড়ি ঘোরায় অবোধ দল
    দরকারেতে রক্ত ঝরায়
    কখনো বা বেনোজল।

    উষ্ণায়নের পৃথিবীতে
    শীতলক্ষ্যা শুকায় রোজ
    আগের ফাগে গর্জায় বেশ
    বর্ষার তত নাই রেশ।

    সবার উপর মানুষ সত‍্য
    এ কথাটি সবাই মিলে
    জ্ঞান কলিজার দ্বারা খুলে
    উগরে দিলে বুদ্ধি বলে

    চারিদিকে আজ রক্ত পাহাড়
    সবুজে লালের বাহার
    হৃদয় হীনের কর্ণধার
    ঘোচাতে হৃদয় কাঁপে না যাহার।

    সেদিন ও ছিল যত তত
    আজও আছে পাষাণ তত
    নিজের জন্য এই মর্তে
    আঁকছে বসে শর্ত মত।

    মানুষ যখন মানুষ হবে
    ক্ষমাটাকে আঁকড়ে ধরে
    নিবিয়ে দেবে সমস্ত আগুন
    হাত বাড়িয়ে বন্ধন ডোরে।

    কাটুক কেক কাটুক ধর্মের রেশ
    ভুলে থাকুক এক পৃথিবী জমা আগুন
    আঁকড়ে ক্ষমা বাঁচুক মানবতা
    সুন্দর হোক মহা মিলনের ফাগুন।

  • কবিতা

    কবিতা-ভালোবাসা

    ভালোবাসা
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

     

    ভালোবাসা মানে সুদীর্ঘ পথ একসঙ্গে হাঁটা।
    ভালোবাসা মানে এক আকাশে এক পলকের দেখা।
    ভালোবাসা মানে অনেক দূর থেকে এক ঝলক হাসি।
    ভালোবাসা মানে একে অপরের কাছাকাছি আসি।
    ভালোবাসা মানে অন‍্য জগৎ আড়ে আড়ে চাওয়া
    ভালোবাসা মানে মধুর ধ্বনি হৃদয়ে হদয় পাওয়া।
    ভালোবাসা মানে ক্ষান্ত বর্ষণ বিকেলের এক চিলতে রোদ্দুর।
    ভালোবাসা মানে অগাধ ঢেউ এক সমুদ্দুর।
    ভালোবাসা মানে অদ্ভুত টান অদ্ভুত আকর্ষণ।
    ভালোবাসা মানে ধরিত্রীর বক্ষে উর্বর কর্ষণ।
    ভালোবাসা মানে শস্য-সুফলা রোশনাই আলো।
    ভালোবাসা মানে দৃষ্টি নন্দন সবই লাগছে ভালো।
    ভালোবাসা মানে গভীর গহন উচ্ছ্বসিত মন।
    ভালোবাসা মানে নতুন মানুষ আপনের আপন জন।
    ভালোবাসা মানে আমি আর তুমি আর সব মিছে।
    ভালোবাসা মানে ছুটছি ঘোরে দুজন দুজনের কাছে।

  • কবিতা

    কবিতা- সুপ্ত ইচ্ছা

    সুপ্ত ইচ্ছা
    -সুমিতা পয়ড়‍্যা

     

     

    রাত জাগা পাখি হতে হবে না
    আমি জাগব——-
    বালিশে নোনা জলের ক্ষার জমাতে হবে না
    আমি কাঁদব——–
    গভীর আবেগে ছুটতে হবে না
    আমি ছুটব———
    ঐ নরম ঠোঁটের পেলব পরশ দিও না
    আমি উপলব্ধি করব——–
    দুটি আনত চোখের মাদকতা রেখো না
    অনুভবে খুঁজব———-
    গুরুত্বহীন-মূল্যহীনকে হৃদয়ে স্থান দিও না
    আমি হৃদয়ে চয়ন করেছি, আবারও করব———
    হারিয়ে যাওয়া ভিড়ে সন্ধান কোরো না
    আমি ঠিক খুঁজে নেব——-
    ভলোবাসার মন ভোলানো গান শুনিও নাকো
    তুমি ভালো বাস নি, আমিই বাসব——-
    মুখ বন্ধ করে ঢোক গিলে দীর্ঘশ্বাস টুকু আর ফেলো না
    আমি ভালোবাসি, ভালোবাসব——

    ওটা আমার-ই থাক————
    শুধু একদিন রক্তিম গোলাপের অভিবাদনে
    সুপ্তিকালের সুপ্ত-ইচ্ছার প্রকাশে প্রকাশ্যে——-
    জড়িয়ে ধরে বোলো—-“তুমি আমার”——-
    “আমি তোমাকেই ভালোবাসি” ।

  • কবিতা

    কবিতা- একাকীত্ব

    একাকীত্ব
    -সুমিতা পয়ড়‍্যা

     

     

    এখন আর চিৎকার করতে ভালো লাগে না
      সেই অস্থিরতা মনকে নাড়া দেয় না; 

     কষ্টটাকে কেমন যেন মানিয়ে নিয়েছি মন্থর গতিতে
    এখন চুপ থাকাতেই এক অদ্ভুত ভালো লাগা লুকিয়ে থাকে।
    নিজের মনে কাজ করতে ভালো লাগে।
    এখন কেউ বকে না, কেউ জিজ্ঞাসা করে না কেন?
    নীললোহিতের মত আমি ও পাহাড় কিনতে চাই।
    সেখানে আমি সম্পূর্ণ একা; একাকীত্বই আমার সঙ্গী।
    আমি সেখানে চিৎকার করে কাঁদব-হাসব-বকবক করব
    কেউ আমার খোঁজ করবে না, কেউ কোনো কৈফিয়ৎ চাইবে না।
    সেখানে শুধু আমি আর আমার জগৎ।
    আমি শুধু লিখব আর লিখব—–
    এক পৃথিবী কবিতা লিখব; অন্তরের কথা
    বাহিরের কথা, গোপন কথা, নিরবিচ্ছিন্ন মনের কথা।
    কেউ হাঁকবে না-ডাকবে না-বাধা দেবে না—–
    পুরোটা আমার থাকবে আমার—-
    পাহাড়ের চূড়ায় বসে শান্তির সাথ সখ্যতা চাইতে কোন লজ্জা হবে না।
    আমার আমিত্ব আমার, স্বতন্ত্রতা আমার,আমিত্বতেই অহংবোধ।
    সর্বসুখের সঙ্গী একাকীত্ব; একাকীত্বের শান্তি হবে পরম শান্তি।

     

  • কবিতা

    কবিতা- পৃথিবীটা স্বপ্ন দেখছে

    “পৃথিবীটা স্বপ্ন দেখছে”
    -সুমিতা পয়ড়‍্যা

     

    পৃথিবীটা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছে
    আঁধার রাতে চাঁদ জ্যোৎস্না ছড়াচ্ছে,
    অনুভব করছে নক্ষত্রদের নৈসর্গিক প্রেম;
    দূরে পাহাড় চূড়ায় নীল আকাশ মিশেছে
    ঝর্ণার কলতান নিঃশব্দে নীরবে নিভৃতে কাঁদছে।
    প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পৃথিবীটা শুধু স্বপ্নই দেখছে।

    ধীরে ধীরে আঁধার ফুরিয়ে লাল রেখা টানছে উন্মত্ত জনতা,
    বুকের পরে পেটের পরে আঁকছে স্বদেশ গাঁথা….
    গাঁথতে গাঁথতে ঝরছে রক্ত যেন কসাই খানা।
    অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র, পট্টিবাঁধা গান্ধারীর চোখ দিয়ে দেখা
    বিদীর্ণ ধরণীতে ত্রাসের রাজত্ব গ্রাস করেছে
    তবুও পৃথিবীটা ঘুমিয়ে স্বপ্নই দেখছে!

    সুন্দরের স্বপ্ন, মানবিকতার স্বপ্ন, আশ্চর্য অলৌকিক স্বপ্ন।
    তারায় তারায় এক একটা ইচ্ছে পূরণের স্বপ্ন হাওয়ায় ভাসছে।
    ফুলের সুবাসে সুবাসিত হয়ে দুরন্ত পিপাসাটা মিটিয়ে নিচ্ছে।

    স্বপ্ন নাকি জীবন বাঁচায়, আশার আলোক জাগায়;
    স্বপ্নেরা গুটি গুটি পায়ে জয়ের মালা পরায়!
    এখানে কোন হার নেই কোন কঠিনতা নেই…
    শুধুই সমাচ্ছন্ন মনের ভেসে যাওয়াতেই আনন্দ।
    গোপনে অভিনন্দিত মরণেও পৃথিবীতে আনন্দ আর আনন্দ।
    তবুও পৃথিবীটা স্বপ্ন তো দেখছে!

  • কবিতা

    কবিতা- “পরজন্ম”

    “পরজন্ম”
    – সুমিতা পয়ড়্যা

     

    জন্মালে কি মানুষ হব!
    হলাম যদি; থাকবে তুমি কোনখানে?
    দূরত্বটা ঘুচবে বুঝি পরের জন্মে!
    সত্যি বলছ মাতলামিটা তেমনই হবে পরজন্মে!
    আমি তখন নবম শ্রেণী, তুমি তখন কত হবে?
    পড়বে মনে ওই জন্মান্তরের পরে!
    এক আকাশে উড়ন্ত মেঘে
    গাইব আমি বৃষ্টির গান,
    দুই চোখেতে জলের ধারা
    বুঝতে তুমি পারবে কি তা!

    এক নিমেষে সব ঘোচাবে সাধ্য নিয়ে জন্ম নিও।
    অনেক কষ্টের গভীর সুখে ভালো যেন বাসতে পার।
    পারবে তো!
    দু’জনেই মানুষ হব সাজিয়ে গুছিয়ে বলছ যে বেশ!
    অসম্ভবের অহংকারে কাব্যে মেলায় দারুণ রেশ।
    সত্যি বল! মানুষ হব আমি তুমি;
    মিলব যখন চিনব কিসে তুমি আমার তুমি হবে।
    বল না গো! বলতে এত লজ্জা কেন?

    বুকে আমার ভালোবাসার বন্যা ধারা,
    অনেক কথা, অনেক ভাষা,অনেক আশা
    পূর্ণ হবে সে সব কিছু;পরের জন্মে অনেক বেশি
    বলতে গেলে বাঁধছে বুঝি! সোজাসুজি

    আমার কিন্তু থাকবে মনে
    যেমন নদী পাহাড় খোঁজে।
    ভুলে গিয়ে সব ঘুচিয়ে পরিপাট্য জীবন খুঁজে
    হারিয়ে যেন যেও নাক চলে।
    সত্যি বলছো! মনে থাকবে?
    পরজন্মে চিনে নেবে?
    লজ্জাটাকে চুকিয়ে দিয়ে আসবে তুমি আমার কাছে।
    সত্যি বলছ? থাকবে মনে?
    বল না গো; থাকবে মনে?
    থাকবে মনে?

     

    (অনুপ্রাণিত কবি আরণ্যক বসুর ‘মনে রেখো’ কবিতাটি দ্বারা- সুমিতা পয়ড়্যা)

  • কবিতা

    কবিতা- অনাসক্ত

    অনাসক্ত

    -সুমিতা পয়ড়্যা


    আজ কোন আশ নেই
    আকাঙ্খাটাও হারিয়ে ফেলেছে মন
    হারিয়ে যাবার নেই ভয়,
    হারিয়ে তো ফেলেইছে ।
    নেই কোন মোহ;
    নেই বন্ধন-মায়াজাল,
    নেই কোন রঙ।
    তাই তো হয়েই আছে সর্বহারা।
    জন্মের ঘরে কতই না স্বপ্ন ছিল!
    ছিল কত বাহুপাশ,
    কত ছিল অহংকার;
    কত না আড়ম্বরের ঝাড়!
    পুড়েছে মন হয়েছে অঙ্গার
    যত ছিল অভিমান হয়েছে ছাই।
    কতশত অপেক্ষা-প্রতীক্ষার হয়েছে অবসান।
    অনলে পুড়ে পুড়ে আপনি আজ নিঃস্ব
    বিলিয়ে দিয়েছে যা ছিল আপনার সর্বস্ব।
    রাগে-অনুরাগে আহুতি দিয়েছে অন্তর-আত্মা,
    হবে তো সেই পঞ্চভূতে বিলীন
    সদাই বলছে আপন আপন সত্ত্বা ।

  • কবিতা

    কবিতা- এই ক্ষণে বল

    এই ক্ষণে বল 
    -সুমিতা পয়ড়্যা


    এই কিছু বললে না তো
    কাল যে অতগুলো মুখ দিলাম
    কি দেখতে পেলে?
    মুখ না মুখোশ ভিতরে বাইরে!
    নাকি চোখ বন্ধ করে অপার স্নেহে
    আলিঙ্গন করেছ বারংবার,
    নাকি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছ, খুঁজেছ ভালোবাসার পরিমাপ!
    অদৃশ্য দামি মূল্যবান সম্পদ
    এত সহজে দেখা দেয় নাকি?
    তার চেয়ে বরং এক কাজ কর।
    মুখের মুখোমুখি হয়ে হাজার ও প্রশ্ন কর।
    দেখবে কেমন জ্বল জ্বল করে তাকিয়ে থাকা চোখ দুটো কথা বলছে!
    অনুভব কর, ঠিক শুনতে পাবে।
    শুনতে পাচ্ছ, পাবে পাবে তখনই পাবে;
    যখন তোমার হৃদপ্রকোষ্ঠে এক অজানা সংকেত তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বলবে——
    আমি ভালোবাসি ভালোবাসি।
    উপলব্ধি করবে তোমার এক অদ্ভুত আকর্ষণ।
    উত্তর দাও।বলো না হলে তোমার চেতনা গুমরে গুমরে হারিয়ে যাবে দশদ্বিদিক ।
    চেতনার রাজ্যে তোমার বাস।
    ফুলের সৌরভে অদ্ভুত মাদকতায় সিক্ত তুমি,
    যার এমন সুন্দর ক্ষণ, এমন অরূপ সময় ,
    সে চুপ কেন!কথার অগ্রভাগে লকলকে সর্পিল জিহ্বা,
    ভালোবাসার বিচরণে রাজ তোমার
    চেতনার কাব্যে হাসনুহানা
    কেন নীরব?অন্তরে অন্তরে বল
    যেকথা এতকাল শুনিনি,তা শুনাও মোরে
    হে প্রিয়তম, শুধুমাত্র এই ক্ষণে।
    পশিব মোর কূহরে,
    তোমার দর্শন আমার এক আকাশের অনাবৃত ভালোবাসা।

  • কবিতা

    বিষ্ময় একটাই–কতটা

    বিষ্ময় একটাই–কতটা
    -সুমিতা পয়ড়্যা

     

    কতটা শিক্ষা পেলে মানুষের জ্ঞান হয়!
    কতটা জ্ঞান হলে চেতনার রাজ হয়!
    কতখানি চেতনা এলে মানুষ হুঁশ ফিরে পায়!
    সঠিক পথ না দেখলে কতই না অসহায়!
    কতটা ধারণ করলে ধার্মিক হবে লোকে!
    মনুষ্যত্বহীন মানব জাতি বাঁচে আঁকড়ে ধর্মকে!
    সব ধর্মের সার কথা নাকি এক!
    তবে কেন এত হানাহানি সঠিক পথের প্রতিবন্ধক!
    পৃথিবীর মানুষ স্বপ্ন দেখে ইচ্ছেপূরণের!
    জাতির ঐক্যে মানুষের মনুষ্যত্ব হবে সুন্দরের!
    কতটা অহংকারে মানুষ দাপট দেখায়!
    রহস্যময় পৃথিবীতে হাস্যকর ক্ষমতার বড়াই!
    প্রত্যেকে এক,প্রত্যেকে প্রত্যেকের তরে!
    হৃদয়ে মানবতা গান গায় মানবতার পরে!
    কতখানি ক্ষতি করলে মানুষের স্বার্থসিদ্ধি হয়!
    কাকে হারিয়ে কাকে পেল;হিসেবে পরাজয়!
    কতটা কাঁদলে সুখ পাওয়া যায়!
    নীরব ব্যথা, স্বার্থমগ্ন পৃথিবীতে তা কি বলে দেয়!
    সত্যই আনে কতটা মুক্তি দহনে মনুষ্যত্বের আগুনে!
    জীবনের পূর্ণতা আসে কতটা চেতনারই জ্ঞানে!!

  • কবিতা

    হলদে নাকি লাল গোলাপ

    হলদে নাকি লাল গোলাপ
    -সুমিতা পয়ড়্যা



    সদ্য প্রস্ফুটিত একটি গোলাপ টবের চারা গাছে
    রঙটা যে কি বলবো!শুধাই গোলাপ তোকেই;
    ফুটেছিস তুই সদ্য সদ্য প্রকৃতির মাঝে—-
    হলদে নাকি রক্তের ছিটেতে তুইও হয়েছিস লাল!
    একি নিয়তির অগ্নিবলয় শহীদদের রক্তের তাল!
    আচ্ছা গোলাপ তুইতো শুধুই হলুদটাই নিতে পারতিস

    রক্তের ছিটে ফোটায় নিজেকে কেমন রাঙালি একবারও যদি দেখতিস!
    শুনতে পেয়েছিস বুঝি ঐ গর্জনের আর্তনাদ!
    সীমান্তপারে কত প্রাণের প্রাণ হারানোর সুতীক্ষ্ণ চিৎকার।

    সদ্য ফোটা হলদে গোলাপ তুই রক্তে রাঙানো চৌদ্দই ফেব্রুয়ারি;
    ভালোবাসা বাসির সাথে নিয়তি কে এভাবে জড়ালি।
    প্রেমিকের মুগ্ধতায় ক্ষতের গভীর লোহিত কণিকা মেলি
    মৃত্যুর মর্মান্তিক বন্ধনে তুই কেমনে পৌঁছে গেলি?

    অপার সৌন্দর্য্য,অপার স্বপ্নসম্ভার,অপার সূক্ষ্ম অনুভূতি তোকে ঘিরেই গড়ে
    আজ তুই বঞ্চিত হয়েছিস বীর শহীদদের রক্ত ঘিরে।
    বেদনার রক্তিম আভায় পৃথিবীর হাহাকার——
    হলদে গোলাপ রক্তে ভিজে তুই কি হতে চেয়েছিস ভয়ঙ্কর সুন্দর বারংবার!
    ফুটেছিস তো ঝরবি বলে নির্জনে একাকীত্বে
    বিদায়ী মিলনে সেই তুই এলি শহীদদের বুকে আত্মসমর্পিতে।
    হলদে নাকি লাল গোলাপ আজ তুই মুখ লুকিয়েছিস ব্যথার অতলে আচম্বিতে।

    রক্তে স্নায়ী হলদে গোলাপ অভ্যর্থনা জানাস তোর উপলব্ধির ভেতরে,
    শহীদদের রক্তে রাঙানো লালচে আভায় তৃষ্ণার্ত হৃদয় কি বলে বাইরে!

You cannot copy content of this page