-
কবিতা- জেগে ওঠার গান
জেগে ওঠার গান
-সুমিত মোদকফিরে আসা বললেই , ফিরে আসা যায় না ;
নদীতে ঢেউ অনেকটাই বেড়ে গেছে ;
সামনেই ভেঙে ভেঙে পড়ছে মাটির বাঁধ ;
এ সময় মাটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা খুবই প্রয়োজন ;
জলের সঙ্গেও …ভেঙে পড়া ঘর-সংসার , সমাজ , সভ্যতায়
নতুন করে জেগে ওঠার গান …
অথচ , যে ক্ষ্যাপা জীবনের গান বাঁধল
তাকে সকলে দিল দূর করে ;মানুষ যখন নিজেকে আর খুঁজে পায় না
তখনই দেখে অন্যের দিকে ;
খুঁজে নিতে চায় অন্যের অন্ধকার দিক ;
হাঁটে সে দিকে …এখনও অনেকটা পথ বাকি বাড়ি ফিরতে ;
হয়তো এতো দিনে সেই চেনা জানা মানুষ গুলো
বদলে নিয়েছে নিজেদের মতো করে ;
বদলে নিয়েছে গতি পথ , মনুষ্যত্ব …নদীতে ভাসতে ভাসতে , ভাসতে ভাসতে
নাবিকও এক দিন মাটি ছুঁয়ে দেয় ;
মেতে ওঠে আনন্দ উৎসবে ;মাঠের সোনালী ধান খামার বাড়িতে
উঠে এলে , দুগ্ধবতী গাভী চরে বেয়ায় ;
একে একে উড়ে আসে সাদা সাদা বক ,
অতি পরিচিত পাখি ;
বাতাসে বাতাসে নবান্নের ঘ্রাণ …কুয়াশা আর ধোঁয়াশা সরিয়ে মেখে নেবো
প্রথম সকালের রোদ ;
তাই ফিরে আসা বললেই ফিরে আসা যায় না । -
কবিতা- প্রেম-কথা
প্রেম-কথা
-সুমিত মোদকসময় কি ভাবে চলে যায় জানে না প্রেমিক যুগল ;
নদির মতো গতি পরিবর্তন করা
খুই কঠিন হয়ে ওঠে ;তবুও তো স্বপ্ন দেখতে থাকে ভেসে থাকা
ছোট ছোট নৌকা গুলো ;যে দিন মাঝি হয়ে এপার থেকে ওপারে যাবো ;
ছুঁয়ে আসবো নিজেরই শিকড় ;
এখনও ঠিক ঠিক জানা হয়নি ঠিক কতটা
মাটির গভীরে ছড়িয়ে দিয়ে আছে ;সময় পেলেই অসময়ও ছুটে যায় নদীর কাছে ;
নিজস্ব প্রেম-কথা স্রোতে ভাসিয়ে দেবে বলে ;প্রেম জেগে থাকে বলেই বিকালের আলো
মায়াবী হয়ে যায় প্রতি বার , বার বার । -
কবিতা- মাটির সুর
মাটির সুর
-সুমিত মোদকনতুন করে শুরু করাটা মোটেই সহজ নয় ;
একটা একটা করে পুরানো সকল স্মৃতি মুছে ফেলে ,
আল্পনা দেওয়া উঠান জুড়ে ;দিগভ্রান্ত পাখি আকাশ পথে উড়তে উড়তে
নেমে আসে মাটির কাছাকাছি ;
তার পর খুঁটে খুঁটে তুলে নেয় শস্য দানা ;
মাদি ছাগলের পিঠে চড়ে কিছুক্ষণ রোদ্দুর
মেখে নেয় সারা শরীরে ;আলপথে কৃষকের পদ চিহ্ন থেকে যায় ;
সে পথেই এগিয়ে চলতে হবে সামনে ,
দিগন্ত রেখার দিকে ;
এক এক করে যখন সকলের ভুলে যাও চেনা মুখ ,
ঠিক তখনই ভেঙে পড়া কাকতাড়ুয়া
বড় বড় চোখ তুলে থাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে ;এই বুঝি কুয়াশা নেমে আসবে আবাদি জমি জুড়ে ;
হৃদয়ের অলিন্দ জুড়ে ;
তবুও তো কেউ কেউ এখনও মেঠো সুর তোলে ;
শুনিয়ে যায় মাটির সুর ,
আনন্দ উৎসব কথা ;ঘরে ঘরে নতুন চালের ঘ্রাণ ওঠে ;
শিশুরা মুখস্থ করে ধারাপাত , নামতা …এ সকল ছেড়ে , সুতি খালের ওপারে গিয়ে
পা ফেলাটা সহজ কাজ নয় ;
ওপারে অনেকটা জায়গা জুড়ে সবুজ ঘাস ;
সেখানেই ঘুড়ে বেড়ায় , উড়ে বেড়ায়
সেই পাখিটা ; -
কবিতা- সনাতন ভারত ভূমি
সনাতন ভারত ভূমি
–সুমিত মোদকঅন্ধকার সরিয়ে সরিয়ে বার করে নিতে হয়
সামনের এগিয়ে চলার পথ ;
পথিক বার বার পথ হারায় ;
তবুও পথে নামে পঞ্চপাণ্ডব ও পাঞ্চালী ;ঘোর অমাবস্যায় তন্ত্র সাধনায় মগ্ন অঘোরী-জীবন ;
গভীর জঙ্গলে থেকে উঠে আসে প্রেত-তত্ত্ব ,
মহাকাল …
অথচ , মুখোশের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যায় ;
দিকে দিকে চুরি হয়ে যায় শ্মশান ;
কেবলমাত্র পড়ে থাকে আধপোড়া চিতাকাঠ ,
ফুটোকলসি ;রাতচরাপাখি গুলো রাতের অসুখ দেখে
ভয়ে ভয়ে থাকে ;
এই বুঝি আকাশ থেকে ভেঙে ভেঙে পড়বে
সহজ সরল মানুষের কান্না ;
সে কান্নার শব্দ গুলোকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা
তাদের নেই ;
সে কারণে অপেক্ষায় থাকে নতুন ভোরের ;ডোম হরিশচন্দ্র এখনও খুঁজে বেড়ায়
একটা শ্মশান ;
চারপাশে তার হাজার হাজার মৃত দেহ ;এমনই অন্ধকারের মধ্যে দিয়েই হেঁটে যায়
গৌতম বুদ্ধ ;
খুঁজে পেতে বোধিবৃক্ষ , সুজাতা পায়স …এতো কান্না , এতো অন্ধকার , এতো নৈশব্দ
তবুও করা যেন দিকে দিকে , দিগন্তে
জ্বেলে যায় দীপ ;
আলোয় আলোয় ভরে উঠছে সনাতন ভারত ভূমি । -
কবিতা- জেগে থাকে
জেগে থাকে
-সুমিত মোদকমেরুদণ্ড ভেঙে পড়া মানুষ গুলো
সোজা হয়ে দাঁড়াবার ভাবনাটুকুও
হারিয়ে ফেলেছে ;
ধীরে ধীরে হয়ে পড়ছে সরীসৃপ ;
জন্ম নিচ্ছে বিষ থলি …মহাভারতের দেশে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হয়
বার বার , আজও …
মানুষের হাড় দিয়ে তৈরি পাশা খেলে ;
সময় যে বড় অসহায় ;গভীর রাতের বুক চিরে এগিয়ে চলেছে
আলো ছড়ানো মিছিল ;
স্লোগানে স্লোগানে দেহাতি জীবন কথা ;এ মাটির রাজা শ্মশানের ডোম হয় ;
এ মাটির রাজা বসে বোধিবৃক্ষের নিচে ;
সমুদ্র মন্থন থেকে উঠে আসে গরল , অমৃত ;আটপৌরে মানুষ গুলো জেগে থাকে
সারা রাত , রাত দিন …
ভেঙে পড়ে না তাদের সোজা মেরুদণ্ড । -
কবিতা- পুরুষের বুকে
পুরুষের বুকে
-সুমিত মোদকপাথর জন্ম নিতে নিতে নুড়ি । নুড়ির উপর প্রবাল । একটু একটু করে ঘিরে ধরে । সেখান থেকে উঠে আসে শব্দ তরঙ্গ ।
নদী নুড়িকে করে তোলে সঙ্গী । তার পর বহু বছর ধরে সঙ্গীত সাধনা । এগিয়ে চলার মন্ত্র । সাক্ষী থাকে আকাশ-বাতাস-সময় …
মহাভারতেরও আগের শ্রীকৃষ্ণ প্রেমিক হয়ে ধরা দিয়ে ছিল শ্রীরাধিকার কাছে । আর বাঁশিতে উঠে ছিল ধুন । কেবল মাত্র যমুনা নদী জানতো । আর জানতো নুড়ি জন্ম ।
এখন মহাপ্রস্থানের পথে হাঁটে অস্পষ্ট বর্ণমালা । একের পর এক শব্দ তরঙ্গ থেকে জন্ম নেয় হৃদয়-রেণু । ফুলেরা মেলে দেয় পাপড়ি । প্রজাপতি মেলে রঙ-বেরঙের ডানা ।
মহাকাশ থেকে ভেসে আসা আলোর তরঙ্গ , শব্দ তরঙ্গ মিশে যায় ব্যর্থ প্রেমিক পুরুষের বুকের ভিতর । নক্ষত্র-জল টুপটাপ ঝরে ।
নতুন করে খুঁজে নয় মহাকাল সাধন পীঠ । শুরু হয় সরস্বতী নদীর খোঁজ । চারিদিকে এতটাই অন্ধকার যে , বার বার হারিয়ে যায় ভবিষ্যৎ । অথচ , নুড়ি জন্ম দিতে থাকে আরেক নুড়ি ।
প্রেমিকা কোনও সময় জানবে না প্রবল-ভালবাসা ।
-
কবিতা- ভবিষ্যতের শব্দ
ভবিষ্যতের শব্দ
সুমিত মোদকঅভিমন্যু চিনতে পারেনি কুরুক্ষেত্র প্রান্তর । ভারতবর্ষ । আজও অভিমন্যুরা জন্মায় এ মাটিতে । যুদ্ধ করে । আবার শহীদ হয়ে যায় । কেবল চোখের জলে ভিজে থাকে সুভদ্রা । মা ।
সময় জেগে উঠে । আবার ঘুমিয়ে পড়ে যুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে । কখনও যুদ্ধ নিজের সঙ্গে । কখনও যুদ্ধ সভ্যতার সঙ্গে । মায়ের বুক শূন্য হয়ে পড়ে । মহাশূন্যে ভেসে চলে ভবিষ্যতের শব্দ ।
প্রজন্ম সে শব্দের সন্ধানে গভীর রাতকেও নাবালক করে দিয়েছে । একের পর এক শব্দ তরঙ্গ সাজিয়ে নেয় । খুলে চলে মহাশূন্যের শব্দ জাল । তথ্য । একটা মায়াজাল ঘিরে ধরতে চায় বার বার । কিন্তু , যত্নশীল প্রেমিক পুরুষের মতো প্রেমিকার ওড়না ঠিক করে দেয় ।
মহাকাশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে যে শব্দ সে গুলো নিয়ে গড়ে নিতে চায় ভবিষ্যতের পথ । বাউল যে ভাবে রাঙামাটির পথ চেনে , সে ভাবে কেউ চেনে না দেশের মাটি । যে মাটি থেকে সুর ওঠে । ভাসে বাতাসে বাতাসে । হৃদয়ে ।
সকলে তো হৃদয় পায় না । যে ভালবাসবে দেশকে । শুরু করবে অকাল বোধন । ফিরিয়ে নিয়ে আসবে দেশের সম্মান । আত্ম মর্যাদা ।
বোধ হারিয়ে ফেলা মানুষ গুলো বিকিয়ে দিয়েছে সব । সে কারণেই ঘিরে ধরে অন্ধকার । কুয়াশা । চেনা যায় না সামনের পিছনের চেনা অচেনা মানুষজন ।
মানুষ-ই হুঁশ হারিয়ে ফেলে । সে কারণেই নিজের মাকে শেষ বয়সে করে তোলে ব্রাত্য । অথচ , দুর্গা পূজায় মেতে ওঠে । অষ্টমীর অঞ্জলী দেয় ।
নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে আসে । আবার উড়ে যায় । কোনও এক অচিনপুরে । রেখে যায় কিছুটা সময়ের ভালবাসা ।
বোধনে জেগে থাকে শক্তি । শক্তির আধার । যেখানে খেলা করে অলৌকিক এক শব্দ তরঙ্গ । যার উৎস মহাজাগতিক সংসারে । প্রজন্ম , সন্ধি পূজার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ।
-
কবিতা- মানুষটি
মানুষটি
-সুমিত মোদকঅভিমান গুলো সাজিয়ে সাজিয়ে রামধনু
এঁকে দিয়েছে আকাশের বুকে ;
নিজের বুকটা কখন যে মহাকাশ হয়ে গেছে
বুঝে উঠতে পারে নি
মহাপ্রস্থানের পথে হেঁটে যাওয়া মানুষটি ;রাতের পর রাত জেগে শুনেছে
সন্তান হারা মায়ের কান্না ,
আতঙ্কে জেগে ওঠা শিশুর সংলাপ …পলেস্তরা প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে
সময়ের অলিন্দ থেকে ;
ভেঙে পড়ছে অলীক মানুষের মেরুদণ্ড ;মানুষটি বাতাসে ছড়িয়ে দেয় আগমনী সুর ।
-
কবিতা- সভ্যতার মেরুদণ্ড
সভ্যতার মেরুদণ্ড
-সুমিত মোদকবার বার মরে যায় , বার বার জেগে ওঠে মানুষ ;
কত বার যে মরে থাকে আবার জেগে উঠে ভিতর থেকে ;
সে কারণে শেষ বারের মতো মরে যাওয়ার সময় বুঝতে পারে না জীবনের বর্ণমালা ;
অথচ , মানুষ-ই মৃত্যুকে বেশি ভয় পায় ;সরস্বতী নদী মাটির গভীরে চলে গেলে ধ্বংস হয়ে পড়ে প্রাচীন এক সভ্যতার মেরুদণ্ড ;
একটু একটু করে নষ্ট হতে থাকে হৃদয়ের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতি গুলো ;
জন্ম নিতে থাকে আলো-অন্ধকারের গোপন রহস্য ;হয়তো মানুষ ভুলে যেতে চেয়ে ছিল সনাতন পরম্পরা সকল ;
তাই নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারেনি মাটি ;
যেখানে পা রাখতে পারে ;মাথার উপর আকাশ আছে ঠিকই ,
কিন্তু সেখানে যে গভীর কালো মেঘ …
গুহা মুখ থেকে বেরিয়ে এসে এক ভবিষ্যতের মা অন্ধকার আকাশের দিকে মুখ তুলে দেখার চেষ্টা করে চলেছে কালপুরুষ ;এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গল পথে পা রেখেছে
একটা জাতি , একটা সময় ;
যেখানে কোনও পাখির কলরব নেই ;
কেবলই নৈঃশব্দ্য এক ;
সূর্যের আলো ছুঁতে , রোদ্দুর মাখতে বেশ কিছু গাছ
মেঘ গুলোকেও ছুঁয়ে নেয় ,
মাটির গভীর থেকে আরও গভীরে ছড়িয়ে দেয় শিকড় ;অথচ মানুষ উপড়ে ফেলেছে তার শিকড় ,
তার ভবিষ্যৎ ;
আবার মৃত্যু ভয়ও পায় ;
আসলে বুঝে উঠতে পারে না কি সে চায় ;বার বার মরতে মরতে , সত্যিকারের মরে যাওয়ার সময়
বাঁচার প্রবল ইচ্ছা জাগে ;
আর তখন কিছু করার থাকে না ;যে জাতি সভ্যতা ছেড়েছে ;
যে জাতি সময় কে ছেড়েছে ;
ছেড়েছে অতীত , ভবিষ্যৎ , নিজেরই অস্তিত্ব …
সে জাতির কাছ থেকে কেবল মৃত্যু ছাড়া
আর কি আশা করা যায় ;প্রথম ভোরে আসনে ধ্যানস্থ হলে জেগে উঠে
মুলাধার চক্র , চৈতন্য …
তখনই ফিরে ফিরে আসে পূর্বপুরুষের চলার পথ
ভবিষ্যতের সুর ;একটু একটু করে সকালের আলো ফোটে ;
একটু একটু করে জীবনের স্বরলিপি সেজে ওঠে ;
আর তখনই উত্তর পুরুষ গেয়ে ওঠে জীবনের গান ;
গনদেবতার গান –
জাগো বোধ , জাগো বিবেক , জাগো মনুষ্যত্ব ,
জাগো চেতনা , জাগো হৃদয় , জাগো অমৃত … -
কবিতা- মেঘ মল্লার
মেঘ মল্লার
-সুমিত মোদকএক এক করে যখন সকলে ফিরে আসে মোহনায়,
তখন পূর্ণিমার চাঁদও নেমে আসে নদীর বুকে,
আর ঠিক সে সময় মহাকাশ নারী হয়ে ওঠে …পুরুষ কোনও দিনও জানলো না কখন
অমাবস্যার বুক চিরে বেরিয়ে আসে ধূমকেতু,
কেবল মাত্র এটুকুর খবর রাখে
সামনে আর কতটা পথ বাকি আছে।আকাশ থেকে নেমে আসা জ্যোৎস্না-রেণু
একটু একটু করে সোহাগ মাখিয়ে দিচ্ছে
সাদা সাদা ফুলের পাপড়ি,
আর সেখান থেকে শুরু হয় রূপকথারাা।যদিও মানুষগুলো এখন আরশি নগরে চলে গেছে
হারিয়ে ফেলেছে একের পর এক সভ্যতা;
তবুও কেউ কেউ খুঁজে চলেছে নীরবে,
প্রাচীন সভ্যতার পরম্পরার সূত্র…এখন এখানে এক টানা ঝিঁঝির শব্দ
দূরে, বহু দূরে চাপা ফিসফাস …
আশেপাশে কোথাও মানুষ দেখা যাচ্ছে না
শ্মশান জুড়ে অস্পষ্ট ছায়া …নদীর বুকে নারী ভাসছে
পুরুষ ভাসছে মেঘের দেশেে,
অথচ, কোথাও কোনও বৃষ্টির স্বরলিপি নেই ;ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আছে মেঘ মল্লার ।